• facebook
  • twitter
Friday, 18 October, 2024

চূড়ান্ত আর্থিক অনটনকে নিত্যসঙ্গী করে ৯৩ শতাংশ, তাও চিন্তিত সঞ্চিতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ১৬ মে– বাবার মৃতু্য হয়েছে আগেই, পরিবারে চরম অভাব অনটন৷ তার মাঝেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বড়ো সাফল্য পেয়েছে সঞ্চিতা কর্মকার৷ সঞ্চিতা পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার মূলগ্রামের বাসিন্দা৷ এবারের পরীক্ষায় সে প্রায় ৯৩ শতাংশ নাম্বার পেয়েছে৷ কিন্ত্ত উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কি ভাবে আবার আর্থিক অনটনকে জয় করতে পারবে তা নিয়েই সে তার

নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ১৬ মে– বাবার মৃতু্য হয়েছে আগেই, পরিবারে চরম অভাব অনটন৷ তার মাঝেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বড়ো সাফল্য পেয়েছে সঞ্চিতা কর্মকার৷ সঞ্চিতা পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার মূলগ্রামের বাসিন্দা৷ এবারের পরীক্ষায় সে প্রায় ৯৩ শতাংশ নাম্বার পেয়েছে৷ কিন্ত্ত উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কি ভাবে আবার আর্থিক অনটনকে জয় করতে পারবে তা নিয়েই সে তার পরিবারের দুঃচিন্তা শুরু হয়েছে৷

কাটোয়া ২ নং ব্লকের শ্রীবাটি অঞ্চলের মেধাবী ছাত্রী সঞ্চিতা কর্মকার৷ তার বাবা দিনমজুরের কাজ করতেন৷ কিন্ত্ত নবম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময়ই তার বাবা জয়দেব কর্মকারের মৃতু্য হয়৷ যদিও আর্থিক অনটনের মধ্যেও লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে৷ এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করেছে সে৷ সঞ্চিতার বাবার মৃতু্যর পর সংসারের হাল ধরেন মা পম্পা কর্মকার৷ মায়ের সহযোগীতায় টাকা উপার্জন করে তা দিয়েই চলে পড়াশোনা এবং সংসার৷ সেই পরিবারের মেয়ে সঞ্চিতা কর্মকার উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৬৬ নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে৷ কাটোয়ার মেঝিয়ারী সতীশ চন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী সঞ্চিতা৷ তার প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৮০, ভূগোলে ৯১, ইতিহাসে ৯৩, পুষ্টিবিঞ্জান ৯৮ ও দর্শনে ৯৪৷ তার সাফল্যে খুশি স্কুলের শিক্ষক সহ এলাকার মানুষজন৷ পড়াশোনার ক্ষেত্রে গ্রামের শিক্ষকেরা যথেষ্ট সাহায্য করেছেন বলে জানালেন মা পম্পা কর্মকার৷ সঞ্চিতা আইএএস অফিসার হতে চায়৷ কিন্ত্ত আর্থিক প্রতিবন্ধকতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ সঞ্চিতার মা পম্পা কর্মকার জানান, মেয়ের জন্য গর্বিত হলেও আগামীদিনে তার উচ্চ শিক্ষার খরচ খরচা কিভাবে যোগাবেন তা নিয়ে চিন্তিত৷