• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পড়ুয়াদের আত্মহত্যা রুখতে রাজ্যের পদক্ষেপ কী? শুনানি বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি— প্রায় সব অভিভাবকই চান তাঁর সন্তান যেন সেরা হয়৷ এতে বাড়ছে প্রতিযোগিতা৷ বাড়ছে মানসিক চাপ৷ এই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতাও ক্রমশ বাড়ছে৷ গত বছর সংসদে পেশ করা একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত ৯৮ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন৷ এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়,

নিজস্ব প্রতিনিধি— প্রায় সব অভিভাবকই চান তাঁর সন্তান যেন সেরা হয়৷ এতে বাড়ছে প্রতিযোগিতা৷ বাড়ছে মানসিক চাপ৷ এই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতাও ক্রমশ বাড়ছে৷ গত বছর সংসদে পেশ করা একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত ৯৮ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন৷ এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি, এনআইটি বা আইআইএম-সহ নানা ধরনের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ এছাড়াও এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন এইমস-এ কমপক্ষে আরও ১৩ জন ছাত্রছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন৷ এই আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা৷

মনস্তাত্ত্বিকবিদদের মতে, ‘সময়ের সঙ্গে বেডে় চলা প্রতিযোগিতায় নিজেদের উপযুক্ত করে তুলতেই পড়ুয়াদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে’৷ বিশেষত বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর পড়ুয়ারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন৷ সংশ্লিষ্ট বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে৷ মামলাকারীর দাবি, ‘আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে ২০১৭ সালে একটি আইন তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ মেন্টাল হেলথ কেয়ার নামক সেই আইনের ১০০ নম্বর ধারায় আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে৷ একইসঙ্গে আইন প্রণয়নের জন্য প্রতিটি জেলাকে ৮৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে৷ মামলাকারীর দাবি, ‘সাত বছর কেটে যাওয়ার পরও কেন্দ্রের আইন প্রণয়ন করেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার’৷ আর এই আইন প্রণয়নের দাবি এবং আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে রাজ্য কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানতে চেয়েই মামলা হয়েছে হাইকোর্টে৷ আগামী বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে৷