সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল এসএসসি মামলা, আজ শুনানি?

নিজস্ব প্রতিনিধি— সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানির কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গেল৷ সোমবারের বদলে মঙ্গলবার হবে এসএসসি মামলার শুনানি৷ আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ শুনবে প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিলের মামলা৷ গত শুনানিতে এই মামলায় চাকরি বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত৷ যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ৷ সোমবার বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত শুনানি হওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা৷ ইতিমধ্যেই যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দি৷ গত ২২ এপ্রিল ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ওই রায়ের ফলে ২৫, ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়৷ ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য৷ সেখানে রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে৷ সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরিহারাদের একাংশও৷ সোমবার একত্রে এই সংক্রান্ত প্রায় ১০টি মামলা শোনার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চের৷ প্যানেল থেকে কী ভাবে যোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব হবে, গত শুনানিতে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি৷ নিয়োগ প্রক্রিয়ার একাধিক ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের পাশাপাশি যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে ওই চাকরিপ্রাপকদের৷ হাইকোর্ট এর বৃহত্তর বেঞ্চ জানায়, -‘এসএসসি দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগুলি নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই৷ প্রয়োজনে তারা সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে’৷ অভিযোগ ছিল, অযোগ্যদের চাকরি দেওয়ার জন্য বাড়তি পদ তৈরি করা হয়েছিল এসএসসিতে৷ সেই পদ তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রিসভা৷ কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানায়, সিবিআই চাইলে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে৷ যদিও এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের৷ হাইকোর্টের এই রায়ের খবর প্রকাশ্যে আসতে অসন্তোষ ছডি়য়ে পডে় চাকরিহারাদের মধ্যে৷ তাঁদের প্রশ্ন, কয়েক জনের দুর্নীতির জন্য সকলের চাকরি কেন বাতিল করা হবে? বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নেমেছেন তাঁরাও৷ এ বার সেই মামলায় দেশের শীর্ষ আদালত কী করে, সে দিকে নজর ছিল সব পক্ষের৷ রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ গত শুক্রবার বর্ধমানের সভা থেকে তিনি বলেন, ”যোগ্যদের আইনি সাহায্য দেবে বিজেপি”৷ আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে৷