‘সমাজকে কিছু দিতে হবে’, উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর সাথে দেখা করে উপদেশ দেন কাকলি

নিজস্ব প্রতিনিধি— এবারের উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র সৌম্যদীপ সাহা৷ ৪৯৫ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মেধা তালিকার দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে সে৷ এবার সৌম্যদীপের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে শুভেচ্ছা জানাতেই তার বাড়ি গেলেন বারাসতের তিনবারের সাংসদ তথা চতুর্থবারের তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী ড. কাকলি ঘোষ দস্তিদার৷ সৌম্যদীপ নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের আবাসিক ছাত্র হলেও তার বাডি় বারাসতে৷ বৃহস্পতিবার বারাসতে সৌম্যদীপের বরিশাল কলোনির বাডি়তেই যান কাকলি৷ ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানান সৌম্যদীপকে৷ তারপরই কৃতি ছাত্রের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেন শ্রীমদ্ভাগবত গীতা এবং আরও প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী৷ কেবল শুভেচ্ছাবার্তা নয়, পাশাপাশি সৌম্যদীপকে দেন উপদেশ এবং কিছু শিক্ষণীয় বার্তাও৷ ভবিষ্যত উজ্জ্বল করার চাবিকাঠি যে একমাত্র পড়াশোনা, সেই বিষয়টিও সৌম্যদীপকে এদিন বুঝিয়ে বলেন কাকলি৷ কৃতি ছাত্রকে সমাজের সাধারণ মানুষের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর বার্তা দেন তিনি৷

কাকলি কেবল একজন সাংসদ তথা রাজনৈতিক নেতৃত্ব নন, পাশাপাশি তিনি একজন ডাক্তার৷ সেই হিসেবেই সৌম্যদীপকে কাকলির উপদেশ, ‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরত্ব বজায় রেখে পড়াশোনায় অধিক গুরুত্ব দিতে হবে৷ পাশাপাশি খেলাধুলাও করতে হবে৷ তবে যতই বড়ো হয়ে যাও না কেন সর্বদা মনে রাখতে হবে, বাবা এবং মা জীবনের সবচেয়ে বড়ো শিক্ষক৷ তাই বাবা, মা-কে সবসময় দেখে রাখতে হবে৷ সাথে সমাজকেও কিছুটা দিতে হবে৷ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, তাদের জন্যও কিছু করতে হবে৷ যে সমাজ আমাদের এত কিছু দিয়েছে, সেই সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব৷’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘আমার সংসদীয় এলাকা থেকে উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় হওয়ায় খুব ভালো লাগছে৷ সৌম্যদীপের জন্য আমরা গর্বিত৷’ সৌম্যদীপের স্বপ্ন, অংকের মারপ্যাঁচকেই জীবনসঙ্গী করার অর্থাৎ স্ট্যাটিসটিক্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে তার৷ এ প্রসঙ্গে কাকলি বলেন, ‘ভালো ছাত্ররা এই বিষয়টি আয়ত্ত করতে পারে খুব সহজে৷ সৌম্যদীপও স্ট্যাটিসটিক্স নিয়ে পড়াশোনা করে অনেক দূর যাবে৷’ কাকলির বাড়ির পরিবেশেও পড়াশোনা এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ তাঁর ভাষায়, ‘আমরা বাড়িতে সবাই পড়াশোনা করি এখনও৷ আমার বেউমারাও পিএইচডি করছে৷’ তাই সৌম্যদীপের সাথে দেখা করার ক্ষেত্রে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও উৎসাহিত, এমনটাই জানান কাকলি৷ পাশাপাশি এদিন কাকলি কথা বলেন ছাত্রের বাবা, মায়ের সঙ্গেও৷ আগামীদিনে স্ট্যাটিসটিক্স নিয়ে কোন কলেজে পড়বে সৌম্যদীপ, সে বিষয়েও উপদেশ দেন কাকলি৷ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সান্নিধ্য পেয়ে আপ্লুত সৌম্যদীপও৷ এ প্রসঙ্গে সৌম্যদীপ বলে, ‘আমি খুব গর্বিত৷ আমি রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় উনি আমার বাডি়তে এসেছেন৷ আমায় সংবর্ধনা দিয়েছেন৷ আমি এবং আমার পরিবার খুব খুশি হয়েছি৷’