• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ফি না মেটালে ছাত্রদের সাসপেন্ডও করতে পারে স্কুল : হাইকোর্ট

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখার্জি এবং বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে বকেয়া স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলা।

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখার্জি এবং বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে বকেয়া স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পরিস্কারভাবে জানিয়ে দেয়, ‘আগামী ৩ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে বকেয়া স্কুল ফির ৫০ % না মেটালে পড়ুয়াকে কোন আগাম নােটিশ ছাড়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড কিংবা বিতাড়িত করতে পারে।

শুধু তাই নয় মাধ্যমিক ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের শংসাপত্র স্কুল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে নাও দিতে পারে। কোভিড ও লকডাউনে অনেক পড়াই স্কুল ফি জমা করেনি। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে – ‘আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া স্কুল ফির ৫০ % মেটাতে হবে অভিভাবকদের। তা না হলে ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, এটা খুব দুঃখজনক যে, বহু অভিভাবক সরকারি চাকরি করছেন। তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা রয়েছে। তাও তারা স্কুল ফি দিচ্ছেন না। স্কুল ফি ছাড়া তারা অন্য সব ব্যাপারে খরচ করছেন। কিন্তু এ ব্যাপারেই তাদের সব অনিহা।

নুন্যতম স্কুল ফি না দিলে বেসরকারি স্কুল চলবে কিভাবে? শিক্ষক শিক্ষিকা স্কুল কর্মীদের বেতন সহ পরিকাঠামােগত খরচ আছে। সেটা কেন বুঝছেন অভিভাবকেরা’? এ কড়া পর্যবেক্ষণ জানিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় – ‘আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া স্কুল ফি এর ৫০ % জমা দিতে হবে অভিভাবকদের।

না দিলে স্কুল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট পড়াকে সাসপেন্ড কিংবা বিতাড়িত করতে পারে আগাম কোন নােটিশ ছাড়াই। এমনকি মাধ্যমিক ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের শংসাপত্র স্কুল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে নাও দিতে পারে।

এর আগের নির্দেশে বকেয়া স্কুল ফি-এর ৮০ % জমা দিতে বলা হয়েছিল। আজ তা ৫০ % করলাে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি শংসাপত্র প্রদান থেকে সাসপেন্ড বিতাড়িত করার ক্ষমতা স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেওয়ায় খুশি বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষগুলি।