• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

রানিগঞ্জ হাইস্কুলে তুলকালাম কান্ড! সহ-শিক্ষকের মারে আঙুল ভাঙল প্রধান শিক্ষকের

নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমান যুগে অনেকরকম সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষ। দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ। কিন্তু তাই বলে দুই শিক্ষকের সংঘর্ষ খুব কমই শোনা যায়। শনিবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জ হাইস্কুল এরকমই এক নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল। প্রধান শিক্ষককে মারধর করে হাতের আঙুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ক্লাস নেওয়াকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমান যুগে অনেকরকম সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষ। দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ। কিন্তু তাই বলে দুই শিক্ষকের সংঘর্ষ খুব কমই শোনা যায়। শনিবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জ হাইস্কুল এরকমই এক নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল। প্রধান শিক্ষককে মারধর করে হাতের আঙুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ক্লাস নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রধানশিক্ষক এবং সহ-শিক্ষকের মধ্যে ঝগড়ার সূত্রপাত। সেই তর্কাতর্কি গড়ায় মারামারিতে। শিক্ষকদের মধ্যে এই তুঘলকি কান্ড দেখে একদল পড়ুয়া রানিগঞ্জ থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সহ-শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায়। আহত প্রধান শিক্ষকের নাম প্রতিম চট্টোপাধ্যায়। রানিগঞ্জের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। তিনি সহ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন।

যদিও যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই মারধরের অভিযোগ, সেই বিজয় দাস উল্টে প্রধানশিক্ষকের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘অন্যায়, অত্যাচার এবং নির্যাতন চালিয়েছেন উনি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’’ পুলিশ অবশ্য মারধরে অভিযুক্ত ওই সহ-শিক্ষককে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে খবর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রধান শিক্ষক হিসাবে ২০১৯ সালে রানিগঞ্জ হাইস্কুলের দায়িত্ব নেন প্রতিম। প্রথম থেকেই নাকি বেশ কয়েক জন সহ-শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। প্রধান শিক্ষক স্কুলের সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’। কয়েকজন শিক্ষকের অভিযোগ, কে কোন ক্লাস নেবেন, তা নিয়ে প্রায় দিনই তাঁদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হত প্রধানশিক্ষকের। সহ-শিক্ষকের মারে প্রধানশিক্ষকের রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনার নিন্দা করেছেন অভিভাবকরা। তাঁদের কথায়, ‘‘শিক্ষকরাই যদি এমন ব্যবহার করেন, তা হলে বাচ্চারা কী শিখবে!’’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানিয়েছেন, মারধরে ‘অভিযুক্ত’ শিক্ষক বিজয় দাসের স্ত্রী পাপিয়াও ওই স্কুলে পড়ান। তিনি ক্লাসে যাননি। তাই নিয়ে প্রধান শিক্ষক তাঁকে কড়া কথা বলেন। তখনই সেখানে উপস্থিত হন বিজয়। শুরু হয় বচসা, সেখান থেকে হাতাহাতি। পাপিয়া বলেন, ‘‘প্রধানশিক্ষক সব সময় সহ-শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। যেখানে-সেখানে অভিযোগ করেন। কখন কাকে কোন ক্লাস দেন, কাউকে কিছু জানান না। কারও সঙ্গে কোনওরকম বনিবনা হয় না। সেইজন্য স্কুলের পঠনপাঠন ঠিক ভাবে হচ্ছে না।’’ প্রধানশিক্ষকের দাবি, ‘‘ক্লাসে যাননি এক শিক্ষক। প্রধানশিক্ষক হিসাবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। তাই নিয়ে আমাকে মারধর করা হল।’’