দুর্গাপুরের নার্সিং পড়ুয়ার রহস্যময় মৃত্যু বেঙ্গালুরুতে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তদন্তের আর্জি পরিবারের

সত্যি ঘটনা জানতে এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাতর আর্জি পরিবারের

সীতারাম মুখোপাধ্যায়, আসানসোল: বঙ্গ তনয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু বেঙ্গালুরুতে। দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুরের উত্তরপাড়ার দিয়া মন্ডল বেঙ্গালুরুতে নার্সিং পড়তে গিয়েছিলো বছর দুয়েক আগে। এবার দ্বিতীয় বর্ষে পড়েছিল তার পড়াশোনা। শনিবার সন্ধ্যে ছ টা সাড়ে ছ টা নাগাদ দিয়ার ফোন আসে মায়ের কাছে, কথাও হয়, কিন্তু এর দশ মিনিটের মধ্যে গোপালপুরের দিয়ার এক স্কুলের বন্ধুর কাছে বেঙ্গালুরু থেকে খবর আসে দিয়া আর নেই, তার ঝুলন্ত দেহ বেঙ্গালুরু পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে, সেখানেই তার মৃত্যু হয়। যে মেয়ে সবাইকে খারাপ সময়ে আশা ভরসা দিতো সেই মেয়ে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারেনা, তার মৃত্যু রহস্যময়, অবিলম্বে সেই সত্যি উদ্ঘাটন করুক রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাতর আর্জি দিয়ার মা ও পরিবারের।পরিবারের একমাত্র মেয়ে ছিল দিয়া।

বাবা হোটেল ম্যানেজমেন্ট করে কর্মসূত্রে বাইরেই থাকতেন, এখন দিল্লিতে আছেন তিনি, মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বেঙ্গালুরু পৌঁছেচেন। কিন্তু দুর্গাপুরের দিয়ার শোকর্ত পরিবার মেনে নিতেই পারছেন না দিয়া আর নেই, এই মৃত্যুর পেছনে রহস্য রয়েছে দাবি পরিবারের।পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের বাসিন্দা রাহুল নামে একটি ছেলে তার সাথে বেঙ্গালুরুর ঐ কলেজেই পড়তো,দিয়াকে সে ভালোবাসতো, খুব ডিসটার্বও করতো তাকে, এই রহস্য মৃত্যুর পেছনে তার কোনো হাত নেই তো? সন্দেহ দিয়ার পরিবারের।


অভিযোগ, সেমিস্টারে সময়মতো টাকা জমা করতে না পারলে মানসিক চাপ তৈরী করতো জরিমানার কথা বলা হতো সময়ে টাকা দিতে না পারলে, এই মানসিক চাপ কি নিতে পারেনি বাড়ির কথা ভেবে? এইসব হাজারো প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে দুর্গাপুরের গোপালপুর উত্তরপাড়ার মৃত নার্সিং পড়ুয়া দিয়ার শোকর্ত মা ও তার পরিবার। ইতিমধ্যে দুর্গাপুরের কাঁকসা থানায় গতকাল পরিবার গিয়েছিলো অভিযোগ জানাতে কিন্তু যেহুতু ঘটনাস্থল বেঙ্গালুরু সেহেতু পুলিশ পাশে থেকে সহযোগিতা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাই দিয়ার শোকগ্রস্থ দিয়ার পরিবার।পাড়া পড়শী থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজন সবাই বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না দিয়ার এই রহস্য মৃত্যু।যোগা তিরন্দাজী থেকে সব ক্ষেত্রেই পারদর্শী ছিল দিয়া, গোটা গ্রাম এখন শোকে আচ্ছন্ন দিয়ার রহস্য মৃত্যুতে।