পর্ব-৩
আগের পর্বে আমরা পড়েছি, ১৮৯১-এ অক্টোবরের শেষের দিকে পোল্যান্ড থেকে প্যারিসে পৌঁছেছে মানিয়া। এই সেই প্যারিস, যার ল্যান্ডমার্ক ‘আইফেল টাওয়ার’ তৈরি হয়েছে মানিয়া সে দেশে আসার দু-বছর আগে। প্রথমে এসে দিদি (ব্রোনিয়া) জামাইবাবুর (কাজিমি) বাসায় উঠেছে মানিয়া। দিদি জামাইবাবুর বাসস্থান ছিল একটি শ্রমিকপল্লীতে। কাজিমি ও দিদি ওই অঞ্চলের মানুষদের চিকিৎসা করে। মানিয়া এসে তাঁদের সঙ্গে থাকাতে, ব্রোনিয়া আর কাজিমি দু’জনেই দারুণ খুশি। সন্ধেতে সবাই ফিরে এলে শুরু হত গল্প-গুজবের আসর। কতদিন পরে বোনের সঙ্গে দেখা হয়েছে, গল্প আর শেষ হয় না দুই বোনের। ওই বাড়িতে স্থানীয় নির্বাসিত পোলিশ ছেলে মেয়েরাও আড্ডা দিতে আসত মাঝে মধ্যেই। সেখানেও ডাক পড়ত মানিয়ার। ওই পরিস্থিতিতে তার পক্ষে যে পড়াশোনা চালানো বেশ মুশকিল, মানিয়া তা বুঝেছে। তরুণ ডাক্তার কাজিমি মাঝেমধ্যেই মাঝ রাত্রিতে অসুস্থ রোগী ডাকলে, রোগী দেখার জন্যে বেরিয়ে যেত। এতে অন্যদের ঘুমের ব্যাঘাত হত। তাছাড়া, যেদিন বাইরের কেউ বাড়িতে আসত না, সেদিন পিয়ানো বাজাতে বসত কাজিমি। এসব কিছু চলতে থাকলে, বাড়িতে পড়াশোনায় মন বসানো খুব কঠিন ছিল। কিছু দিনের মধ্যে মানিয়া আরও বুঝতে পারে, প্যারিসে থাকা পোলিশ বিপ্লবীদের সঙ্গে কাজিমি সক্রিয়ভাবে যুক্ত। কাজিমির অ্যাক্টিভিস্ট বন্ধুরা প্রায়ই সন্ধ্যেতে তাঁদের বাসায় আসত। তাঁদের নানান কথাবার্তা ও কর্মপন্থা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা কানে আসত মানিয়ার।
এ দেশে আসার আগে মানিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন বাবা; দেশপ্রেমীদের প্রতি মনে প্রাণে সমর্থন করলেও, সে যেন তাঁদের সঙ্গে সংযোগ না রাখে। পোলিশ অ্যাক্টিভিস্টদের সঙ্গে সংযোগের কথা রাশিয়ান গুপ্তচররা ঠিক খবর পেয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে, মানিয়ার পড়াশোনাই বন্ধ করে দেবে এবং নানা ভাবে নির্যাতন করবে। এমনকি আত্মীয়স্বজনদের জীবনও নানা ভাবে অতিষ্ঠ করে তুলবে।। বাবার এই পরামর্শ মনে আছে মানিয়ার। মানিয়া বুঝতে পারে, দিদির বাসায় থাকলে তার কেরিয়ার বিপন্ন হয়ে পড়বে।
মানিয়া ইতিমধ্যেই ভর্তি হয়েছে সুপ্রসিদ্ধ ঐতিহ্যশালী সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে (Sorbonne University)। ঠিক সময়ে ক্লাসও শুরু হয়ে গেছে। কত বছরের স্বপ্ন ছিল মানিয়ার, আজ তা সফল হয়েছে। কত কষ্ট সহ্য করে সে প্যারিসে আসতে পেরে সরবোন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পেরেছে। আর শুরুতেই সে সব কিছু শেষ হয়ে গেলে, কখনোই উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণ সম্ভব হবে না। কিন্তু, দিদি জামাইবাবুকে তো, ওদের বাড়িতে না-থাকার আসল কারণটা সে বলতে পারবে না। তাই, দিদিকে অন্য ভাবে বোঝাল। ঘোড়ায়-টানা বাসে ইউনিভার্সিটি যেতে আসতেই অনেকটা সময় চলে যায়, ঘরে ফিরে আর পড়াশোনার সময় পাওয়া যায় না। তাই ইউনিভার্সিটির কাছাকাছি কম ভাড়ার একটা বাসা খুঁজে সে উঠে যাবে এবার। যাওয়া আসা করতে বেশি টাকা লাগছে, ইচ্ছে করেই দিদিকে সে কথা বলেনি। সে কথা শুনলে দিদি নিশ্চিত ‘টাকার কথা তোকে চিন্তা করতে হবে না’, বলে থামিয়ে দিত বোনকে।
সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে— মানিয়া থেকে মেরি
বিশ্ববিদ্যালয়ে মানিয়ার ক্লাস শুরু হয়েছে ৩ নভেম্বর, ১৮৯১। এখন সে আর ‘মানিয়া’ নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রশন কার্ডে তার নাম— “Marie Sklodowska” (‘Maria’-র ফরাসি ভাষান্তরণে Marie)। মেরি (মারি) স্কলদোভস্কা। আমরা এই লেখায় ‘মেরি’-ই লিখব। মোট ১৮২৫ জনের মধ্যে মানিয়াকে নিয়ে সেখানে ২৩ জন ছাত্রী পড়ে। তার মধ্যে বেশ কিছু পোলিশ ছাত্রও পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিদেশিনী হিসেবে মেরির কাছে ইউনিভার্সিটি জীবন নানান চ্যালেঞ্জে-ভরা। কয়েকদিন ক্লাস করেই সে বুঝতে পারে, বিশেষ করে অঙ্ক এবং বিজ্ঞানে তার খামতির কথা। হবে না-ই বা কেন, হাই স্কুল পাশ করে তো আর সেভাবে পড়াশোনা করার সুযোগ পায়নি। তাছাড়া, বেশ কয়েক বছর তাকে থাকতে হয়েছে বাড়ির বাইরে, গভর্নেসের কাজ করার সময়। ওই সময়ে যা কিছু পড়াশোনা সবই তো নিজে নিজে করা। এই কারণেই এই গ্যাপ-টা হয়েছে। তাছাড়া, ফরাসি ভাষায় ভালো জ্ঞান থাকলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরাসি সহপাঠীদের তুলনায় ‘টেকনিক্যাল ফ্রেঞ্চ’-এ কথাবার্তার ক্ষেত্রে মেরি ততোটা সক্ষম নয়, মেরি সে কথা বুঝেছে। খুব তাড়াতাড়ি এসব কিছুর ঘাটতি পূরণ করে উঠতে হবে— ঠিক করে নেয় মেরি।
লাজুক প্রকৃতির মানিয়া চুপচাপ ক্লাস করে এবং বাসায় ফিরে আসে। ক্লাসের সহপাঠীদের সঙ্গে পরিচয় হতে তাই বেশ কয়েকটা মাস সময় লাগল। কত নামজাদা জ্ঞানী অধ্যাপক পড়ান এখানে। কত নতুন নতুন বিষয় জানতে পারছে। কী তাঁরা প্রত্যেকেই কী চমৎকার ভাবে জটিল বিষয়গুলি কত সহজে বুঝিয়ে বলেন। তা যেন একদম মনে গেঁথে যায়। এমন অভিজ্ঞতা তার আগে হয়নি। ক্লাস করতে খুব ভালো লাগছে মেরির। অধ্যাপকদের ক্লাস করে বিজ্ঞানের কত অজানা বিষয় শিখছে, তাতে আরও আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে মেরির। লাইব্রেরিতে সারি সারি কত অজস্র বই! এতো বড় লাইব্রেরি সে প্রথম দেখছে। লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করা সম্পর্কে মেরি লিখেছেন, ‘বিজ্ঞানের একটা নতুন জগৎ খুলে গেছিল যেন আমার চোখের সামনে।’ আর রয়েছে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগের ল্যাবরেটরি। বিদ্যাচর্চার এত ব্যবস্থা দেখে নিজেকে ধন্য মনে করে মেরি, এখানে পড়ার সুযোগ পেয়েছে বলে।
মেরির বাসস্থানের নতুন ঠিকানা
দিদির বাড়িতে কয়েক মাস থাকার পরে একটি ছোট্ট ঘর ভাড়া নিল। ইউনিভার্সিটি থেকে কিছুটা দূরে ছিল ঘরটি। হাতে বেশি টাকা নেই বলে, হিসেব করে চলতে হয়। ঘরভাড়া, কলেজ যাওয়া আসা, খাওয়া-দাওয়ার খরচ— সব কিছু ওই টাকাতে করতে হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে জোরকদমে ক্লাস শুরু হয়েছে তখন। কিছু ভাবার সময় নেই। শুধু পড়া আর পড়া। শুরুতে বাড়ির সকলের জন্যে মন খারাপ করত। তাছাড়া, সম্পূর্ণ অপরিচিত জায়গা— তাই সমস্ত মনপ্রাণ ঢেলে পড়াশোনা করতে পারা বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। ক্লাস করা, পরীক্ষাগারের কাজ এবং লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করা— সব কিছুর জন্যে এখন তাই সময় ভাগ করে নিয়েছে মেরি। সন্ধ্যেতে ঘরে ফিরে বেশি রাত অবধি পড়াশোনা করতে হয়।
কাজিমি আর ব্রোনিয়া মাঝে মধ্যে খবর নিত বোনের। তবে দিদিকে নিজের অসুবিধার কোনও কথাই বলত না। তাই কিছু জানতেও পারত না দিদি। মেরি যেখানে ঘর ভাড়া নিয়েছিল, সেটা কলেজ থেকে দূরে ছিল বলে আসতে-যেতে অনেকটা সময় চলে যেত আর যাতায়তে ভারা বেশি লাগত। তাই এবার কলেজের কাছাকাছি লাতিন কোয়ার্টারে একটা ঘর ভাড়া নিয়েছে সে। ওই সব ঘরে গরীব শিল্পী এবং ছাত্র ছাত্রীরা থাকে বলে ওই অঞ্চলে ঘর ভাড়া কম। নতুন ভাড়া নেওয়া এই ঘরটি ছিল ছ-তলার ওপরে একটি চিলেকোঠায়। খুবই ছোটো আর স্যাঁতস্যাঁতে সেই ঘর। ঘরে আলো বাতাসও খুব কম ঢোকে। তবে কোনও কিছু নিয়ে ভাবার সময় নেই। মেরির কাছে প্রত্যেকটা মিনিট আর ঘন্টা খুব দামি। ক্লাস করা, তারপর ছ-তলার সেই ছোট্ট ঘরটিতে এসে পড়াশোনা। অন্য কোনও দিকে তাকানোর সময় ছিল না। পড়তে বসলে আর কোনও দিকে মন থাকত না তার।
খাওয়া-দাওয়ার কোনও কিছুর ঠিক নেই। এমনও হয়েছে, টাকা বাঁচানোর জন্যে শুধু চা-বিস্কুট খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছে সারাদিন। শীতের সময় অসহ্য কষ্ট। ফ্রান্সে হাড় কাঁপানো শীত পড়ে। বেসিনের কলের জল পর্যন্ত জমে যায়। এখন হেঁটে ইউনিভার্সিটি যাওয়া আসা করে বলে যানবাহনের খরচাটা বেঁচেছে। এক ঘন্টা ঘরদোর পরিষ্কার করার জন্যে টাকা লাগবে। টাকা দিয়ে পরিচারিকা রাখার কোনও প্রশ্নই নেই। তাই ছ-তলার ওপরে ‘কয়লা’ তোলা হয়ে উঠত না। তার চিলেকোঠার ঘরটি গরম রাখার ব্যবস্থা করা হয়ে উঠত না। ওই, অসহ্য শীত সহ্য করে থাকা ছাড়া উপাই ছিল না মেরির। রাত্রে আলো জ্বালানোর জন্যে তেল আনতে হত নীচ থেকে। যেটুকু তেল আনত, তাতে রাত দুটো অবধি ঘরে আলো জ্বালিয়ে রাখা যেত। তারপরেই ক্লান্তিতে মেরির লাল দু-চোখ বন্ধ হয়ে আসত। বই রেখে বিছানায় নিজেকে ছড়িয়ে দিত। পরবার মতন সম্বল একটাই মাত্র গরম জ্যাকেট। সেটাও অনেকবার পরা আর কাচার জন্যে, খুব খারাপ অবস্থা। তাই, শীতের রাত্রে ঘরে, যতগুলো জামাকাপড় ছিল,সব একসঙ্গে গায়ে পরে নিত। এতো কষ্টের জীবন, তবু সব কিছু উপেক্ষা করে পড়াশোনা করে গিয়েছে সে।
সেই সময়ের কথা পরবর্তী সময়ে মেরি লিখেছেন, ‘ওই জীবন এক দিকে যত কষ্ট যন্ত্রণার ছিল, তবু সব কিছু ছাপিয়ে আমার কাছে তা ছিল অদ্ভুত এক ধরণের আনন্দেরও। মুক্তির স্বাদ আর স্বাধীনতা বোধ আমার কাছে ছিল খুব মূল্যবান। অপরিচিত বিশাল শহর প্যারিস, যেখানে আমি একা থাকি, নিজেই নিজের দেখাশোনা করি— মুক্তির এই আনন্দে আমি যেন অনেক কষ্ট যন্ত্রণা ভুলে থাকতে পেরেছিলাম। যখন মন খারাপ হত, তখন আমি এইসব কথা ভেবে মনে প্রশান্তি নিয়ে আসতাম।’
আবার দিদি জামাইবাবুর বাড়ি
খুব খিদে পেলে, পোল্যান্ড থেকে সঙ্গে নিয়ে আসা স্পিরিট-ল্যাম্পটা জ্বালিয়ে এক কাপ চা করে খেয়ে আবার পড়তে বসে যেত। খাওয়া বলতে— ব্রেড আর চা। কখনও চকোলেট, ডিম অথবা ফল খেয়ে থাকত। অনেক সময় খেতেও ভুলে যেত। প্রায় দিন এভাবে না-খেয়ে খেয়ে এক সময় শরীর খুব দূর্বল হয়ে পড়ল মেরির। একদিন কলেজে বন্ধুদের সামনেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল মেরি। সহপাঠীরা দিদিকে খবর দিল। কাজিমি আর দিদি দু-জনেই ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে তারপর বোন যেখানে থাকে সেই ছ’তলার ঘরে গেল। সেখানকার অবস্থা দেখে দিদি ‘হাঁ’ হয়ে গেল! দিদি দেখল, খাওয়া-দাওয়া করার কোনো ব্যবস্থাই নেই! কিছু চকলেট, বিস্কুট, ফল আর ক’টি ডিম পড়ে রয়েছে। দিদি বুঝতে পারল, বেশির ভাগ সময় এইসব খেয়েই থাকে বোন। অথচ জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘না, ঠিক মতন খাওয়া দাওয়া করি তো।’
মানিয়ার কোনো কথাই শুনল না দিদি। অসুস্থ বোনকে জোর করে নিজেদের কাছে নিয়ে গেল। দিদির সেবা শ্রুশুষা এবং যথাযথ খাওয়া দাওয়া করার পরে কয়েক সপ্তাহ যেতেই সুস্থ হয়ে উঠল বোন। ডাক্তার দিদি বুঝতে পারে বোন এখন অনেকখানি সুস্থ হয়ে গেছে। মুখ-চোখের যা অবস্থা হয়েছিল, সেটা এখন চলে গেছে। আর কিছু দিন যেতেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল সে। সুস্থ হয়ে যেতেই, আবার নিজের জায়গায় ফিরে যাওয়ার জন্যে দিদিকে বারবার বলতে থাকে। দিদি শেষে রজি হল, তবে বারবার প্রতিজ্ঞা করতে হল বোনকে, এরপর থেকে শরীরের যত্ন নেবে এবং সময় মতন খাওয়া দাওয়া করবে সে। এইভাবে দিদি জামাইবাবুর হাত থেকে ছাড়া পেল সে।
এতসব কিছুর মধ্যেও পরীক্ষা খুব ভালো হল। তারপর পরীক্ষার ফলাফলের জন্যে উৎকণ্ঠায় দিন কাটতে লাগল কিছুদিন। একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে জানতে পারে পরীক্ষার রেজাল্ট বেরিয়েছে। মেরি জানতে পারে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সে প্রথম হয়েছে। নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছিল না মেরির। সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮৯৩ সালে ফিজিক্সে মাস্টার্স ডিগ্রি পরীক্ষায় প্রথম স্থান পেয়েছে মেরি স্কলদোভস্কা। সেই লাজুক আর গরীব বিদেশি মেয়েটি ‘ফার্স্ট’ হয়েছে! সহপাঠীরা কেউই ভাবতে পারেনি এমন কথা। সকলেই অবাক হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পরে সহপাঠীরা একে একে এগিয়ে এসে অভিনন্দন জানাতে থাকে মেরিকে। কম কথা বলা লাজুক মেরি, বেশিক্ষণ সেখানে না-থেকে, চুপিচুপি সরে পড়ল একসময়। ফিরে গেল চিলেকোঠার ছোট্ট ঘরটিতে।
প্রথম স্থান পাওয়ার জন্যে মেরি একটি স্কলাশিপও পেয়েছে, দ্বিতীয় ডিগ্রি করার জন্যে। পরের বছর সে অঙ্ক পরীক্ষা দিল এবং ‘সেকেন্ড’ হয়ে পাশ করল অঙ্ক পরীক্ষায়।
(ক্রমশ)