মঙ্গলবার বারাসত গার্লস স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি দিলেন। চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, এই মূল্যায়ন পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা করা হােক।
কারণ একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলের উপর নির্ভর করবে উচ্চমাধ্যমিকের ফল, বিষয়টা জানত না পড়ুয়ারা। তা ছাড়া অনেকেই একাদশ শ্রেণির পরীক্ষাকে খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে দেয় না।
ফলে এই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হলে সেটা পদের জন্য ভাল হবে না। অভিভাবকদের মতে, উচ্চমাধ্যমিকের ফল এক জন পড়ার জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই ফলের ভিত্তিতেই কোন কলেজে সে ভর্তি হবে বা কোন বিষয়কে সে বেছে নেবে সেটা সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে। কাজেই একাদশ শ্রেগ্রি ফলের উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা ঠিক হবে না বলেই তাঁদের মত।
শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠানাে চিঠিতে বিকল্প একটা উপায় হিসেবে বলেছেন, মাধ্যমিকের স্ব চেয়ে ভাল নম্বর পাওয়া চারটি বিষয়ের নম্বরের বেশি শতাংশ উচচ মাধ্যমিকের পুনর্মূল্যায়নে কাজে লাগালে পড়াদের সুবিধা হবে। তা ছাড়া প্রতি বছর একাদশ শ্রেণির পদের প্রাপ্ত নম্বর উচ্চশিক্ষা সংসদে পাঠানাে হয় সংশ্লিষ্ট স্কুল থেকে।
কিন্তু এ বার অতিমারির কারণে অনেক স্কুল সেই নম্বর পাঠাতে পারেনি। তাই মূল্যায়ন পদ্ধতি ঘােষণার দিনই সংসদ জানিয়ে দিয়েছিল, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল দ্রুত স্কুলগুলােকে তাদের কাছে পাঠাতে হবে।
এ বিষয়ে ওই অভিভাবকদের সংশয়, যে স্কুলগুলাে সময় মতাে একাদশ শ্রেগ্রি ফল পাঠায়নি সংসদে তারা এখন তাদের পড়ালের বেশি বেশি নম্বর দিয়ে দিতে পারে।
সামগ্রিক কারণ এবং সম্ভাবনাগুলাে একত্রিত করে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়নে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছেন ওই অভিভাবকরা। কোভিড আবহে এ বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে কি না তা নিয়ে বিস্তর সংশয় ছিল।
সেই সংশয় কাটাতে রাজ্য সরকার ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। পাশাপাশি পরীক্ষা হওয়া উচিত কি না তা নিয়ে জনমতও চাওয়া হয়। সরকারের তরফে শেষমেশ পরীক্ষা বাতিলের পক্ষেই রায় গিয়েছে।
পরীক্ষা বাতিল হলেও পড়ুয়াদের নম্বর কীসের ভিত্তিতে দেওয়া হবে তা নিয়েও একটা সংশয় তৈরি হয়। শেষমেশ মূল্যায়ন পদ্ধতিতেই পরীক্ষার নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।