• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বাড়িতে বসেই পরীক্ষা, নাকি বাতিল? জানা যাবে শীঘ্রই

এক পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কোভিড পরিস্থিতি বিচার করে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে নয়,তার চেয়ে বরং বাড়িতে বসে পরীক্ষা দিতে পারে কিনা,তা নিয়ে আলােচনা শুরু হয়েছে।

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

উচচমাধ্যমিক শ্রীক্ষা বাতিল হবে, নাকি অন্য কোনও ফর্মুলার কথা ভাবছেন বিশেষজ্ঞ কমিটি, তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। এক পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কোভিড পরিস্থিতি বিচার করে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে নয়, তার চেয়ে বরং বাড়িতে বসে ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারে কিনা, তা নিয়ে আলােচনা শুরু হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র পাঠানাে হবে বাড়িতে।

বুধ ও বৃহস্পতিবার বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে দু’দফায় বৈঠক করে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এমন ভাবনার কথা জানিয়েছে। এদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অবশ্য লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে গাণিতিক ফর্মুলায় ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন। ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে প্রশ্নপত্র পাঠানাের ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

এক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির বক্তব্য, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়িতে বসেই ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দেয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থা করা যায় কিনা, তা নিয়ে তিনি বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন।

এক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আরও একটি যুক্তি হল, ইতিমধ্যে প্র্যাকটিক্যাল ও প্রজেক্টের নম্বর সংসদের কাছে জমা পড়েছে। তাই ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের কথা ভেবে পরীক্ষা নেওয়া উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন বিশেষজ্ঞ কমিটির তৃতীয় দফার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ঠিক কী হয়, তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে।

আবার এও জানা যাচ্ছে সম্প্রতি সিবিএসই এবং আইসিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। খােদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি সিবিএসই’র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিলের কথা ঘােষণা করেন। তারপর ওই পথেই হাঁটে আইসিএসই বাের্ড।

সিবিএসই’র পরীক্ষা হবে কিনা, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। কেন্দ্রকে তার অবস্থান জানাতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। এমনই এক আবহে রাজ্যে উচচমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলেরও সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।

সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটের কথা মাথায় রেখে ছাত্র ছাত্রীদের স্বার্থে বিশেষত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কীভাবে মূল্যায়ন সম্ভব, তা নিয়েও বিশেষজ্ঞ কমিটি আলােচনা করছে। যদি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা একান্তই বাতিল করতে হয়, সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের হােম অ্যাসাইনমেন্ট কী দেওয়া যায়, তা নিয়েও বিশেষজ্ঞ কমিটি ভাবছে।

অন্যদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মাধ্যমিকে লিখিত পরীক্ষা নিতে চাইছে না। পরীক্ষার বিকল্প হিসেবে গাণিতিক ফর্মুলায় ছাত্রছাত্রীদের নম্বর দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কমিটির কাছে। কী সেই ফর্মুলা? নবম শ্রেণির সামগ্রিক নম্বর ও দশম শ্রেণিতে যত অবধি পড়াশুনা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে মূল্যায়নের সুপারিশ করা হয়েছে।