অনুত্তীর্ণ পড়াদের পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সােমবার দুপুরে বিদ্যাসাগর ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস ১০০ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াকে পাশ করিয়ে দেওয়ার কথা ঘােষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার মানবিক। তাই কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ছিল প্রায় ৯৮ শতাংশ। অকৃতকার্য হন প্রায় ১৮ হাজার পড়ুয়া। তা নিয়েই রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। তাতে পরিস্থিতি এতটাই তেতে ওঠে যে, বান্নে মহুয়াকে তলব পর্যন্ত করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
সংসদ সভানেত্রী জানান, এত দিন ধরে চলে আসা বিক্ষোভে সংসদের কোনও ভূমিকা ছিল না বলে সাফ জানিয়ে দেন। অভিযােগ করেন, পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপ করেননি, অথচ বিক্ষোভে নেমেছেন, এমন পড়ুয়াও আছেন। পদের তরফে মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে এত দিন যে যে অভিযােগ উঠে আসছিল, তাও খারিজ করেন মহুয়া।
তিনি বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের পাশ নম্বর ২১। কলা বিভাগের ২৪। কিন্তু অনেক পর প্রাপ্ত নম্বর এক সংখ্যাও পেরােয়নি। প্র্যাকটিক্যালে শূন্য পেয়েছেন অনেকেই। স্বাভাবিক ভাবেই মূল্যায়ন করতে গিয়ে পাশ করানাে যায়নি তাঁদের।
মহুয়া আরও জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের ৪০ শতাংশ, একাশের ৬০ শতাংশ এবং প্র্যাক্টিক্যালে প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন হবে, তা আগেই স্কুলগুলিকে জানিয়ে দিয়েছিল সংসদ। সেইমতাে স্কুল যা পাঠিয়েছিল, তার ভিত্তিতেই মূল্যায়ন করে সংসদ।
