• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

নির্বাচিত স্কুল কলেজের ইতিহাসের আলোকে শিক্ষার অভিমুখ নির্ণয়

ধনী ও উচ্চবর্ণের লোকের সন্তানদের জন্য এ প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিল। প্রথম ক্লাস শুরু হয় গরানহাটার গোরাচাঁদ বসাকের বাড়িতে। পরে উঠে যায় চিৎপুর রোডের ভাড়া বাড়িতে। বৌবাজারে একসময় সরে যায়, শেষে আসে কলেজ স্ট্রিটে।

রামপ্রসাদ বিশ্বাস

একেবারে গোড়া থেকে ধরা যাক। পৃথিবীর সম্ভাব্য প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় তক্ষশিলা। জনশ্রুতি রামায়ণ মহাকাব্যের মহানায়ক শ্রীরামচন্দ্রের ভ্রাতা ভরত – মান্ডবীর পুত্র, রাজা তক্ষ শিলাপাথর কেটে এই বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়েছিলেন। আনুমানিক ষষ্ঠ শতকে  প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় নগরীতে পড়ানো হতো বেদ ও  বৌদ্ধ বিষয়। এ দুটি ছাড়াও শিল্পকলা, বিজ্ঞান, চিকিৎসা শাস্ত্র। আর বৃহত্তর পাঠ্য ছিল অস্ত্রোপচার, ধনুর্বিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, জ্যোতিষশাস্ত্র, বাণিজ্য, কৃষিকলা, দৈব, বিদ্যা, সর্পবিচার, সর্পবশ, কুস্তি প্রভৃতি।

শিক্ষা যে ধীর ধারাবাহিক সামাজিক প্রক্রিয়া, এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন কারো নেই কিন্তু শিক্ষার লক্ষ্য ও অভিমুখ নিয়ে নানা মুনি নানা মতামত দিয়ে গেছেন। এটা ঠিক শিক্ষা কখনো কখনো যুগ-নির্ধারক, কখনো আবার বিশেষ যুগ, বিশেষ শিক্ষার দাবিপত্র দেয়। তবে শিক্ষা যে সমাজ-বদলানো, যুগন্ধর মনীষী-চরিত্র তৈরি করে থাকে, সেই সব ব্যাপার সব দেশের সব ইতিহাসেই সুলভ।

আর শিক্ষার বিষয়বস্তুও যুগের দাবি মেনে নির্ধারিত হয়। আমরা প্রথমে প্রাচীন ভারতের প্রথম শ্রেণির কয়েকটি শিক্ষালয়কে বিহঙ্গ-বীক্ষণ করবো, পরে আধুনিক ভারতের রাজধানী ও  তার সন্নিহিত কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত প্রতিনিধি স্থানীয় শিক্ষাসত্রের কথা বলে উপসংহারে যাব।

পৃথিবীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দা। হিউয়েন সাং ভারতের অতিথি পর্যটক হিসাবে নালন্দাকে দেখার এবং এখানে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর মতে ‘নালন্দা’ মানে ”ন অলম দা’: উপহার দানে যার বিরাম নাই’। ই সিং বলেছেন এখানে নাকি নাগ নন্দ নামক সর্পের অস্তিত্ব ছিল। আবার কেউ কেউ বলেন, এখানে নাল বা পদ্মের মৃণালের প্রাচুর্য ছিল। তবে নামের অর্থ যাই হোক, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি পদ্মফুলের সৌরভের মতোই সর্বদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, এতে কোনো সন্দেহ নেই। ৪২৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম কুমারগুপ্ত (শক্রাদিত্য) এটি প্রতিষ্ঠা করেন।

তক্ষশিলার প্রাক্তনী তালিকা সম্ভ্রমাত্মক : বৈযাকরণ পাণিনি ও আত্রেয় (শিক্ষক), অর্থশাস্ত্রবিদ চাণক্য, ঋষি পতঞ্জলি, কোশলরাজ মহাকোশল-পুত্র প্রসেনজিৎ, লিচ্ছবি গোষ্ঠীপতি মাথলি, মল্লরাজকুমার বন্ধুলা, প্রবাদপ্রতিম চিকিৎসক জীবক, চরক, আরুণি, শ্বেতকেতু প্রমুখ। এখানের অনেক কিছুই যেমন উচ্চস্তরের, তেমনি সাধারণের নাগালের বাইরে। এক সহস্র মুদ্রা অগ্রিম দান করতে হতো। রাজপুত্রদের জন্য ১০৩টি আসন সংরক্ষিত থাকতো।

রাওয়ালপিন্ডি শহর থেকে ৩৫ কিমি দূরে এই তক্ষশিলায় শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে বয়স সীমা ছিল ১৬ বছর। ভিক্ষা করেও গুরু প্রণামি দিতে হতো। আশ্চর্য বিষয়, এখানে কোনো পরীক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। আটটি সভাগৃহ, তিনশত শ্রেণি কক্ষ, ১০,০০০ আবাসিক ছাত্র বিশিষ্ট ২০০০ শিক্ষক সমন্বিত এই আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে আসতেন তিব্বত, ইন্দোনেশিয়া, চীন, মধ্য প্রাচ্যের দেশ থেকে। নাম করা অধ্যাপক ছিলেন চন্দ্রকীর্তি, ধর্মপাল, চন্দ্রপাল, প্রভামিত্র, জ্ঞানচন্দ্র, শিঘ্রবুদ্ধ, স্থিরমতি, গুণমতি সর্বোপরি শীলভদ্র প্রমুখ। ভর্তি হতে গেলে দ্বার পন্ডিতের কাছে পরীক্ষা দিতে হতো। এতে ১০ জনের মধ্যে ২/৩ জন কৃতকার্য হতেন। ১২০৫ সালে এটি সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বঙ্গবিজয়ী তুর্কি হানাদার ইখতিয়ার উদ্দিন বিন বখতিয়ার খিলজি এর জন্য দায়ী। অষ্টম শতকে বিহার শরীফে ওদন্তপুরী বিহার পাল সম্রাট গোপাল প্রতিষ্ঠা করেন। বিক্রমশিলা মহাবিহার ধর্ম পালের কীর্তি। বিহারের ভাগলপুরে এই মহাবিহারে অধ্যাপনা করতেন কমল রক্ষিত, ভব্যকীর্তি, বোধি ধারা, ভাবভদ্র এবং বরেণ্য বাঙালি শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠানের মহাচার্য। তিব্বতের রাজা তাঁকে তিব্বতে নিয়ে যান এবং বরণ করেন বিনয় ও স্বর্ণ দিয়ে। নেপালের রাজা তাঁকে গুরুর সম্মান দিয়েছিলেন।

এইসব প্রতিষ্ঠানে বৌদ্ধ বিষয় গুরুত্ব পেতো। আর টোল চতুষ্পাঠিতে সংস্কৃতজ্ঞ ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের প্রাধান্য ছিল। অব্রাহ্মণের অধিকার তেমন ছিল না। নামকরা পূর্বোক্ত প্রতিষ্ঠান যেমন রাজানুকূল্যে হয়েছিল, টোলগুলিও তেমনি স্থানীয় রাজা বা ধনী জমিদারদের দয়া বা মর্জির উপর দাঁড়িয়েছিল। এ বিষয়ে আদর্শ উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বুনো রামনাথ।

টোল ছাড়া নিম্নস্তরে সংস্কৃত শিক্ষার জন্য চতুষ্পাঠি, আর বাংলার জন্য পাঠশালা। নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস ছিল না। নামতা, কড়াকিয়া, শতকিয়া এই সব গণিত। পাঠশালা বসত জমিদারের কাছারি বাড়িতে, চন্ডী মণ্ডপে বা মুদি দোকানে বা ধনী ব্যক্তির বারান্দায়।চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ নয়, তালপাতার চাটাই বা চটের আসন বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হতো। লেখার উপকরণ খাগের কলম, ভুসোকালি, কলাপাতা বা তালপাতা। বই নয়, পুঁথিই তখন সম্বল। সে পুঁথি থাকত পাঠশালার গুরুর কাছে। কিছু জিনিস পড়াতেন স্মৃতি থেকে। একসময় বঙ্গদেশে শুভঙ্করী আর্যার প্রতাপ ছিল।

রেজের ক্ষমতা দখলের পর বাংলার কতিপয় প্রগতিশীল ব্যক্তি অনুভব করলেন ইংরাজি ভাষাই নবযুগের নকিব। সুতরাং সংস্কৃত, ফারসি ছেড়ে ইংরাজি ধরা দরকার। এ মতের প্রথম প্রবক্তা রাজা রামমোহন রায়। নবযুগের নব ভগীরথ। বুনো রামনাথের আসল নাম রামনাথ তর্ক সিদ্ধান্ত। তিনি খ্যাতনামা নৈযায়িক, তার্কিক, যথার্থ পন্ডিত। কোনো রাজানুকূল্যে টোল চালাতেন না, রাজপুরুষের কাছে অন্য পন্ডিতের মতো বার্ষিক বৃত্তি গ্রহণ করতেন না। বনের ভিতর নিজ উদ্যোগে বিনা বেতনে পড়াতেন। দারিদ্র্যের কারণে ছাত্রদের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিতে পারতেন না।

একবার শোভা বাজারের রাজা নবকৃষ্ণদেবের সভায় দিগ্বিজয়ী তার্কিক নবদ্বীপ ও ত্রিবেণীর দুই পরাক্রান্ত পন্ডিতকে পরাস্ত করেন। তখন বুনো রামনাথ গিয়ে সেই বিজয়ী পন্ডিতের দর্প চূর্ণ করেন। নবকৃষ্ণদেব রামনাথকে পুরস্কৃত করতে চান কিন্তু তিনি একে ‘কাক-বিষ্ঠা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি কৃষ্ণনগর রাজের সাহায্য-প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তাঁর স্ত্রী একবার গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে গেলে নবদ্বীপ-রাজের রানীর গায়ে ঈষৎ জল ছিটিয়ে দিয়ে প্রস্থানোদ্যত হতেই রাজ মহিষী বলে ওঠেন, ‘হাতে মাত্র দুগাছা লালসুতো, তার আবার এত দেমাক। এ সুতো ছিঁড়তে কতক্ষণ’। পন্ডিত-ঘরণী দৃপ্ত কণ্ঠে জানান ‘এই সুতো যেদিন ছিঁড়ে যাবে, নবদ্বীপ অন্ধকার হয়ে যাবে।’ রামনাথকে বাদ দিলে অধিকাংশ টোলে, ন্যায় শাস্ত্র, শাস্ত্র বিধি, তর্কের কচকচিই প্রাধান্য পেত। কোনো নতুনত্ব ছিল না। থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়। কূপমণ্ডূকতা ও জাতপাত বিচারের উপর শিক্ষা দাঁড়িয়ে ছিল। কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে ব্রাহ্মণ ছাড়া সংস্কৃত চর্চার সুযোগ ছিল না বললেই চলে। বুনো রামনাথরা ব্যাতিক্রমের দলে পড়েন। ভাষা শিক্ষার দিক দিয়ে ফার্সির বিশাল গুরুত্ব ছিল। কারণ ইংরেজ-পূর্ব বাংলায় ফারসি ছিল রাজ ভাষা। বিজ্ঞান, ইতিহাস ভুগোল শিক্ষার বিষয়টি ছিল সংকুচিত। কাব্যের চেয়ে ব্যাকরণ ও স্মৃতি শাস্ত্র জ্যোতিষ চর্চায় বেশি জোর ছিল।

অখণ্ড বাংলায় মধ্যযুগীয় শিক্ষার অঙ্গণে সকল সম্প্রদায়ের আহ্বান ছিলনা। সার্বজনীন শিক্ষা শব্দটি তখনো সৃষ্টিই হয়নি।

ইংরাজি ভাষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির প্রধান কারণ ১৭৭৩  খ্রিস্টাব্দে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হলে প্রচুর ইংরাজি জানা লোকের দরকার হয়। এর ফলে বহু হিন্দু ইংরাজি শিখতে চেয়েছিল। আর ইংরাজি শিখতে ও শেখাতে স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন।

ভারতীয়দের জন্য ইংরেজের প্রথম প্রচেষ্টার সূত্রপাত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮০ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন মাদ্রাসা-ই-আলিয়া। এটির প্রথম ক্লাস হয় প্রথম প্রধান  শিক্ষক মোল্লা মাজ দুদ্দিনের বাড়িতে।

১৮৫০ সাল পর্যন্ত ফার্সির প্রাধান্য ছিল কিন্তু যেটি নতুন সেটা হলো কোরআন হাদিসের সঙ্গে ইউক্লিডিয় জ্যামিতি গণিত ও জ্যামিতি, এরিস্টটলের পুরোনো দর্শন, যুক্তি বিদ্যা স্থান পায়।

বঙ্গদেশে ভারতীয়দের উদ্যোগে গড়া প্রথম বিদ্যালয় হিন্দু স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজ। তবে ইংরেজ সাহেবদের সহযোগিতা এর সঙ্গে যুক্ত ছিল।

মূল উদ্যোক্তা রামমোহন রায়, রাধাকান্তদেব, রসময় দত্ত, বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়, ডেভিড হেয়ার, স্যার এডওয়ার্ড হাইড ইস্ট।

১৮১৬ সালে বাবু বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায় প্রধান বিচারপতি হাইড ইস্টের অধীনে ‘ইউরোপীয় ও হিন্দু ভদ্রলোকদের, একটি সভা ডাকলে একলক্ষ টাকা অনুদানের প্রতিশ্রুতি মেলে।

১৮১৭ সালের ২০ জানুয়ারি, সোমবার ২০জন ছাত্র নিয়ে। রাজা রামমোহনের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধান করতো ফাউন্ডেশন কমিটি। কমিটির গভর্নর ছিলেন দু’জন। বর্ধমানের মহারাজ তেজ চন্দ্র বাহাদুর ও গোপীমোহন ঠাকুর।

প্রেসিডেন্সি কলেজের সঙ্গে সংস্কৃত কলেজের বিপুল পার্থক্য ছিল। এটি জেমস টমাস ব্যারিংটন ম্যাকাওলের সুপারিশের ভিত্তিতে লর্ড আমহার্স্ট-এর সময় ১৮২৪ খৃষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রাক্তনী তালিকাও বেশ উজ্জ্বল। ভারতের ক্রিকেটের জনক সারদারঞ্জন রায়, আধুনিক ভারতের চিত্র শিল্পের প্রবর্তক পুরুষ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ধর্ম সংস্কারে বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, খায়াতনাম দর্শন শাস্ত্রের পন্ডিত সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত প্রমুখ বঙ্গের অলংঙ্কার ও অহংকার।

ধনী ও উচ্চবর্ণের লোকের সন্তানদের জন্য এ প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছিল। প্রথম ক্লাস শুরু হয় গরানহাটার গোরাচাঁদ বসাকের বাড়িতে। পরে উঠে যায় চিৎপুর রোডের ভাড়া বাড়িতে। বৌবাজারে একসময় সরে যায়, শেষে আসে কলেজ স্ট্রিটে। ১৮৫৫ সালে নাম হয় প্রেসিডেন্সি কলেজ। আসলে পাঠশালা অংশের নাম হয় হিন্দু স্কুল আর মহাপাঠশালার নাম দাঁড়িয়ে যায় প্রেসিডেন্সি কলেজ।

এই কলেজ হয়ে ওঠে বাংলা তথা ভারতের নবজাগরণের ভরকেন্দ্র। এখানকার প্রাক্তনীরাই নবজাগরণের সঞ্চালক। ইয়ং বেঙ্গলের গুরু  ডিরোজিও, ভারতের প্রথম আই সি এস সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি উমেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, বাংলার প্রথম মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, মহাভারত অনুবাদক হুতোম প্যাঁচার নকশা-খ্যাত কালীপ্রসন্ন সিংহ, বাগ্মী ব্রাহ্ম কেশব সেন, বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও মেঘনাদ সাহা প্রমুখ প্রেসিডেন্সির প্রাক্তনী।

১৮৫৫ সালে নাম হয় প্রেসিডেন্সি কলেজ। আসলে পাঠশালা অংশের নাম হয় হিন্দু স্কুল আর মহাপাঠশালার নাম দাঁড়িয়ে যায় প্রেসিডেন্সি কলেজ।

এই কলেজ হয়ে ওঠে বাংলা তথা ভারতের নবজাগরণের ভরকেন্দ্র। এখানকার প্রাক্তনীরাই নবজাগরণের সঞ্চালক। ইয়ং বেঙ্গলের গুরু  ডিরোজিও, ভারতের প্রথম আই সি এস সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি উমেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়…