• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

উদ্ধার হওয়া নিটের আধপোড়া প্রশ্নপত্রের সূত্রেই হদিস পেল সিবিআই

নিউ দিল্লি, ২৬ জুলাই: উদ্ধার হওয়া নিটের আধপোড়া প্রশ্নপত্রের সূত্র ধরেই মূল চক্রীর হদিস পেল সিবিআই। গত ২৩ জুন নিটকাণ্ডের তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তারপর থেকে তাঁদের হাতে এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা ২১। যদিও বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে আলাদা আলাদাভাবে ৩০ জনেরও বেশি গ্রেফতার হয়েছেন। কোথা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস

নিউ দিল্লি, ২৬ জুলাই: উদ্ধার হওয়া নিটের আধপোড়া প্রশ্নপত্রের সূত্র ধরেই মূল চক্রীর হদিস পেল সিবিআই। গত ২৩ জুন নিটকাণ্ডের তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তারপর থেকে তাঁদের হাতে এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা ২১। যদিও বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে আলাদা আলাদাভাবে ৩০ জনেরও বেশি গ্রেফতার হয়েছেন। কোথা থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল, তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর থেকেই সেই উৎসে পৌঁছতে চাইছিল সিবিআই। অবশেষে নিটের একটি আধপোড়া প্রশ্নই তদন্তকারী আধিকারিকদের সেই উৎসে পৌঁছতে সাহায্য করল। তদন্তভার নেওয়ার পর এই প্রথম বিবৃতি দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। নিট সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্যও প্রকাশ্যে এনেছে তারা।

সিবিআই জানিয়েছে, নিট-ইউজি-র পরীক্ষার দিন, অর্থাৎ ৫ মে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের ওয়েসিস স্কুল থেকে। ঘটনাচক্রে, হাজারিবাগের নিট পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি এই স্কুল। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর থেকেই এই স্কুলের নাম উঠে এসেছিল। স্কুলে অধ্যক্ষ, সহ-অধ্যক্ষ এবং এক কর্মীকে আগেই গ্রেফতার করেছিল।

সিবিআই সূত্রে খবর, নিটের বেশ কিছু আধপোড়া প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেছিল তারা। সেই প্রশ্নপত্র খতিয়ে দেখার পর ঠিক কোন কেন্দ্র থেকে ফাঁস হয়েছিল, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। পঙ্কজ কুমার ওরফে আদিত্য ওরফে সাহিলের সঙ্গে মিলিতভাবে ওয়েসিস স্কুলের অধ্যক্ষ, সহ-অধ্যক্ষ এবং এক কর্মী প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ। যে বাক্সের মধ্যে নিটের প্রশ্নপত্র স্কুলে এসেছিল, সেটিকে কন্ট্রোল রুমে রাখা হয়েছিল। ধৃতদের জেরা করে সিবিআই জানতে পেরেছে যে, সেই বাক্স স্কুলে আসার পরই পঙ্কজ কুমারকে ওই কন্ট্রোল রুমে প্রবেশ করার অনুমতি দেন অধ্যক্ষ এবং সহ-অধ্যক্ষ।

সিবিআই জানিয়েছে, সেই বাক্স খোলার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করেছিলেন অভিযুক্তরা। সেই বাক্স থেকে কিছু প্রশ্নপত্র বার করে নেওয়া হয়েছিল। তারপর সেগুলি সমাধান করার জন্য হাজারিবাগের বেশ কিছু ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের দিয়ে সেই প্রশ্নপত্র সমাধান (সলভার) করানো হয়। এরপর সেই উত্তরপত্র লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিট পরীক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করা হয়। এই কাণ্ডে জড়িত সেই সব ‘সলভার’-এর বেশির ভাগকেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই।