নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ২ মে — মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবছর প্রথম দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ৭ জন ছাত্র ছাত্রী৷ তার তার মধ্যে আছে পঞ্চম, সপ্তম, অস্টম, দশম স্থানাধিকারিরা৷ শুধুমাত্র পাঠ্য বই ফলো করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বড়ো সাফল্য পেল অর্ঘ্যদীপ বসাক৷ অর্ঘ্য পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার পূর্বস্থলীর পারুলডাঙ্গা নসরৎপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র৷ এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম জেলার মধ্যে প্রথম স্থান লাভ করেছে সে৷ মেধা তালিকায় তার প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৯৷ স্বাভাবিকভাবেই তার এই সাফল্যের কারণে পূর্বস্থলী এলাকা জুডে় খুশির হাওয়া৷
জেলার প্রথম অর্ঘ্যদীপ অতি সাধারণ পরিবারের ছেলে৷ তার এই সাফল্য এসেছে একেবারে পাঠ্যপুস্তককে বেশি গুরুত্ব দিয়ে৷ এমনটাই সে জানিয়েছে৷ মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান দখল করার পর তার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাড়াও বহু মানুষজন তাকে শুভেচ্ছা জানাতে বাডি়তে হাজির হন৷ বাডি়তে এসে শুভেচ্ছা জানালেন এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ৷ প্রথম দিকে তার পাঁচ জন প্রাইভেট টিউটর থাকলেও শেষের দিকে সে প্রাইভেট টিউশনি না পডে়ই পাঠ্যবই পডে় বাজিমাৎ করে৷ অর্ঘ্যদীপ জানায় তার সাফল্যের পেছনে রয়েছে বাবা মা৷ এছাড়াও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও তাকে সব রকমের সাহায্য করেছেন বলে জানায়৷ অন্যদিকে শহর বর্ধমানের নামি বিদ্যালয় মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র দেবজিৎ ভট্টাচার্য৷ তার প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৬৷ ভবিষ্যতে সে ডাক্তার হতে চায়৷ এছাড়াও বর্ধমান শহরের রাধানগর পাড়ার বাসিন্দা ইন্দ্রনী চক্রবর্তী অষ্টম স্থান পেয়েছে৷ ইন্দ্রানী বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী৷ তার প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৬৷ সেও চিকিৎসক হতে চায়৷ অন্যদিকে জেলার মধ্যে মুগ্ম দশম স্থানে রয়েছে কাটোয়া শহরের কাশিরাম দাস বিদ্যায়তনের ছাত্র অনিশ কোনার৷ তার স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়া৷ অন্যজন বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সম্পূর্ণা তা রাজ্যের মেধা তালিকায় দশম স্থানে পেয়েছে৷ সে চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা চালাবে বলে জানিয়েছে৷