রাজস্থানের কোটায় ফের আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া

রাজস্থানের কোটায় ফের ছাত্রের মৃত্যু। শুক্রবার সন্ধ্যায় হস্টেলের নিচ থেকে এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। হস্টেলের সাত তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে ওই ছাত্র আত্মঘাতী হন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম বিবেক কুমার। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘শনিবার, তিনি চরম পদক্ষেপ নেন। খবর পাওয়ার পর তাঁর হস্টেলের কর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’ পুলিশ আরও জানিয়েছে যে এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।

 
বিবেক কুমার মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। রাজস্থানের কোটার রাজীব গান্ধী নগরের হস্টেলে থাকতেন তিনি। সেই হস্টেলের বাইরে থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। কোটার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিলীপ সাইনি  জানিয়েছেন, কয়েক মাস আগেই মধ্যপ্রদেশে থেকে কোটায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসেন ওই ছাত্র। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, হস্টেলের সাত তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
 
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিবেকের সহপাঠী এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কারণ খোঁজার চেষ্টা চলছে। ঘটনার দিন ওই ছাত্রের মধ্যে কোনও রকম অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা গিয়েছিল কি না, বা হস্টেলের অন্য কোনও পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর কোনওরকম বাদানুবাদ হয়েছিল কিনা তা সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
 
বিবেকের মৃত্যুর পর কোটায় চলতি বছরে আত্মঘাতী পড়ুয়াদের সংখ্যা বেড়ে হল ১৯। ২০২৩ সালে কোটায় এই সংখ্যা ছিল ২৯। অন্যদিকে চলতি বছরে রাজস্থানের কোচিং হাব জুড়ে এমন ঘটনার সংখ্যা দাঁড়াল ২১। এর মধ্যে ১৯ টি ঘটনা ঘটেছে কোটায়, এবং ১টি সিকার এবং ১টি জয়পুরে। গত বছর, এই রাজ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এমন ২৭ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন।