• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

৮০০-র পর ২৫০ জনকে প্রাথমিকে নিয়োগের ছাড়পত্র দিলেন বিচারপতি মান্থা

মোল্লা জসিমউদ্দিন: সপ্তাহের শুরুতেই কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ এক আদেশনামায় ২৫ হাজারের বেশি চাকরি বাতিল করেছে৷ ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দু’দফায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা হাজারের বেশি নিয়োগে ছাড়পত্র দিলেন, যা সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের কাছে অত্যন্ত সুখকর৷ প্রাথমিকে বৃহস্পতিবার প্রায় ৮০০ প্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর

মোল্লা জসিমউদ্দিন: সপ্তাহের শুরুতেই কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ এক আদেশনামায় ২৫ হাজারের বেশি চাকরি বাতিল করেছে৷ ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দু’দফায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা হাজারের বেশি নিয়োগে ছাড়পত্র দিলেন, যা সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের কাছে অত্যন্ত সুখকর৷ প্রাথমিকে বৃহস্পতিবার প্রায় ৮০০ প্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা৷ শুক্রবার আরও ২৫০ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন তিনি৷ ২০০৯ সালের প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ শুক্রবার নির্দেশ হয়েছে মালদা জেলার প্রার্থীদের জন্য৷ এদিন আদালত জানিয়েছে, ‘২০০৯ সালে প্রকাশিত প্রাথমিকের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে প্যানেলভুক্ত ২৫০ জনকে ২ মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে’৷ এদিন বিচারপতি বলেন, ‘দুর্নীতি হয়েছে৷ তদন্ত হলে তো পুরো প্যানেলই বাতিল হয়ে যাবে৷ তার থেকে অন্তত কিছু প্রার্থী চাকরি পাক’৷ মামলাকারীদের অভিযোগ, ‘২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রাথমিকে নিয়োগে প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক ছিল না৷ এমনকী টেট পরীক্ষাও ছিল না৷ ২০১০ সালে জেলাভিত্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তারা৷ প্যানেলে নামও বেরোয়৷ কিন্ত ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার এসে টেট পরীক্ষা চালু করে ওই প্যানেল বাতিল ঘোষণা করে’৷ দীর্ঘ ১৫ বছর আইনি লড়াই লডে় অবশেষে চাকরি পেতে চলেছেন তাঁরা৷ গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় উত্তর ২৪ পরগনার প্রায় ৮০০ প্রার্থীকে চাকরি দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা৷ ২০০৯ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উত্তর ২৪ পরগনায় দুর্নীতি হয়েছিল৷ যার ফলে ৮০০ জনের বেশি প্যানেলভুক্ত প্রার্থী চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন৷ সেই চাকরিতে তাঁদের ২ মাসের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা৷ ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে দুর্নীতি হয়েছিল তা আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ৷ এর পর বিচারপতি সংসদের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘তদন্ত চান, না কি বঞ্চিতদের নিয়োগ দেবেন?’ জবাবে সংসদের আইনজীবী জানান, নিয়োগ দিতে প্রস্তুত তারা৷ ২০০৯ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও দুর্নীতি হয়েছিল৷ আদালতের নির্দেশে সেখানেও ১৫০০ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে বাধ্য হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ৷ গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি দুর্নীতিতে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়৷ এর পর আদালতের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আক্রমণ শানিয়ে ‘চাকরি খেয়ে নেওয়া’র অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে শুক্রবার আদালতেরই নির্দেশে ১৫ বছর পর নিয়োগ পেতে চলেছেন প্রায় আরও ২৫০ চাকরিপ্রার্থী৷ গত বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলার নিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হয়, শুক্রবার মালদহের চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার৷ প্রাথমিকে ২০০৯ সালে মালদহের পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা৷ দু’মাসের মধ্যে এই চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এর ফলে চাকরি পেতে চলেছেন প্রায় ২৫০ পরীক্ষার্থী, যাঁরা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত আদালতের দারস্থ হয়েছে৷ বিচারপতি মান্থা মন্তব্য করেছেন, ‘দূর্নীতি হয়েছে, তদন্ত হলে পুরো প্যানেল বাতিল হতে পারতো৷ সেই জায়গায় কিছু লোক অন্তত চাকরি পাক৷’ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানিয়েছে, ‘আমরা চাকরি দিতে প্রস্তুত৷’ চাকরি বাতিল নির্দেশের মাঝে দু-দুটি নিয়োগের ছাড়পত্র মেলায় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই খুশি৷