• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

প্রাথমিক স্কুলে বসেছে এসি,পড়ুয়াদের উপস্থিত নজরকাড়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া, ১২ জুন– তীব্র দহনে নিয়ম করে স্কুলে যান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু পড়ুয়ারা আসে না। এটাই এ রাজ্যের বহু প্রাথমিক স্কুলের চেনা ছবি। এই ছবিতে বদল আনতে এবার হবিবপুরের দোহার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসঘরে বসল এসি। পোড়া গরমে শরীর জুড়োতেও যদি স্কুলে আসে ছোটরা, তাহলেও কিছুটা অন্তত শেখানো যায় তাদের। এতে ফলও মিলেছে বলে

নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া, ১২ জুন– তীব্র দহনে নিয়ম করে স্কুলে যান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু পড়ুয়ারা আসে না। এটাই এ রাজ্যের বহু প্রাথমিক স্কুলের চেনা ছবি। এই ছবিতে বদল আনতে এবার হবিবপুরের দোহার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসঘরে বসল এসি। পোড়া গরমে শরীর জুড়োতেও যদি স্কুলে আসে ছোটরা, তাহলেও কিছুটা অন্তত শেখানো যায় তাদের।
এতে ফলও মিলেছে বলে দাবি এই স্কুলের শিক্ষিকাদের। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সরকার জানান, এই প্রবল দাবদাহে এবার অনেক আগেই স্কুলে ছুটি পড়ে যায়। স্কুল খোলার পরেও গরমের তীব্রতা কমেনি। বহু অভিভাবকই এই গরমে ছোটদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। অনেকসময় ছোটরাও খেলে বেড়াচ্ছে, কিন্তু স্কুলে আসতে চাইছে না। এই পরিস্থিতিতেই ক্লাসঘরে এসি বসানোর চিন্তাভাবনা মাথায় আসে তাঁদের।

তিনি বলেন, “পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরানো যাবে কী করে, এই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই আমরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা বসে আলোচনা করে এসি বসানোর কথা ভাবি। তারপরেই আমরা পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলি। কথা বলি ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টরের সঙ্গে। তাঁদের অনুমতি নিয়েই স্কুলের ক্লাসঘরে এসি বসানো হয়। স্কুলের জন্য যে ফান্ড আসে তার সঙ্গে আমরা শিক্ষক শিক্ষিকারাও হাত মিলিয়ে এই ব্যবস্থা করি।”

বিদ্যুতের বিল কে দেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বারো মাস তো আর এসি চালাব না। ইদানিং এতটাই তীব্র গরম পড়েছে যে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলমুখ হচ্ছে না। এসি চলবে এক মাস। বাড়তি বিল বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের অর্থ থেকেই মেটানো হবে।”হবিবপুরের দোহারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব মিলিয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫২। স্কুলের একটি ঘরেই চলছে ওয়ান থেকে ফাইভ পর্যন্ত ক্লাস। ঠান্ডা ঘরে বসে ক্লাস করতে মজা পাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। ক্লাসে আসছে নিয়মিত। পড়াতে পেরে খুশি শিক্ষক শিক্ষিকারাও।