• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

দুর্নীতির তদন্তের খরচ বহনে অপারগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, চিঠি সিবিআইকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের খরচ বহন করতে অপারগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সিবিআইকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে পর্ষদ। সম্প্রতি পর্ষদের তরফ থেকে নিজাম প্যালেসে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তারা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের খরচ বহন করতে পারবে না। এর আগে তদন্তের এই খরচ রাজ্য সরকার কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বহন করার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের খরচ বহন করতে অপারগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সিবিআইকে চিঠি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে পর্ষদ। সম্প্রতি পর্ষদের তরফ থেকে নিজাম প্যালেসে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তারা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের খরচ বহন করতে পারবে না। এর আগে তদন্তের এই খরচ রাজ্য সরকার কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বহন করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

সংশ্লিষ্ট ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, প্রয়োজনে তাঁরা এই বিষয়টি হাইকোর্টকেও জানাবে। সেক্ষেত্রে পর্ষদের তরফ থেকে এরকম একটি চিঠি পাঠানোর পর তদন্তের অভিমুখ এখন কোন দিকে এগোবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ২০১৪ সালের প্রাথমিকের নষ্ট করা ওএমআর শিটের ডিজিট্যাল কপিগুলোকে, যে কোনও মূল্যে উদ্ধার করতে হবে।

বিচারপতি আরও নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, এই তদন্তের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিদেশি সংস্থারও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। সেই খরচ রাজ্য সরকার কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বহন করবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

ওদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ আসার পরই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি ও পর্ষদের অফিসে হানা দিয়ে প্রচুর সার্ভার ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছিল, পর্ষদে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি হার্ড ডিস্ক হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা।

সুত্রের খবর, সেগুলোর মধ্যে ডিজিটালাইজড্ মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ তালিকা, সমস্তটাই উদ্ধার করা হয়। এর পর সেই তথ্যগুলোকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কথা ছিল। শুধু তা-ই নয়, এখনও পর্যন্ত এটাও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি যে, কোন সংস্থাকে দিয়ে ওএমআর শিটের ডিজিট্যাল কপি ও তথ্য পরীক্ষা করানো হবে। তাতে কতই বা খরচ পড়তে পারে। কিন্তু তার আগেই পর্ষদের তরফ থেকে হাত তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে, তদন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে তদন্তকারীদের মধ্যেই।