আন্নাজির দুর্নীতি-বিরোধী আত্মা নীরব কেন?

শ্যামল কুমার মিত্র

বহুল প্রচারিত পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় অন্যান্যদের সঙ্গে অন্যতম অভিযুক্ত বিহারের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা জগন্নাথ মিশ্র৷ জগন্নাথ মিশ্র সে সময়ে বলেছিলেন, ‘কেলেঙ্কারির সময়ে আমি সরকার-বিরোধী দলের নেতা, সরকারে ছিলাম না, লালুপ্রসাদ যাদবের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম৷ এই সরকারি দুর্নীতিতে আমি কীভাবে যুক্ত থাকতে পারি? চক্রান্ত করে আমায় ফাঁসানো হচ্ছে৷ আমি নিরপরাধ৷’ কেউ তাঁর কথা শোনেনি৷ ২১ বছর ধরে মামলা চলছে, জগন্নাথ মিশ্র এবং কংগ্রেস দুর্নীতি কলঙ্কে জনঘৃণা অর্জন করেছেন৷ জগন্নাথ মিশ্রের রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে গেছে৷ ২১ বছর পর ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত রায় দিলেন৷ জগন্নাথ মিশ্র, প্রাক্তনমন্ত্রী বিদ্যাসাগর নিষাদ, পিএসির তৎকালীন চেয়ারম্যান ধ্রুব ভগত, প্রাক্তন আমলা এ সি চৌধুরীকে আদালত দুর্নীতির অভিযোগ থেকে শুধু সসম্মানে মুক্তিই দেয়নি, বলেছেন, এঁদের কেউ এই দুর্নীতির সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নন৷

২০১০ সালে ৭৭ পাতার ক্যাগ রিপোর্টে তৎকালীন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বিনোদ রাই বললেন, ‘২০০১ সালের বাজার দরের ভিত্তিতে ২০০৮ সালে টেলিকম সংস্থাগুলিকে যে টুজি লাইসেন্স দেওয়া হয়, তাতে সরকারি কোষাগারে ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে৷’ অভিযোগের তির সরাসরি চলে যায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের তৎকালীন টেলিকম মন্ত্রী ডিএমকে নেতা এ রাজা ও কানিমোঝির বিরুদ্ধে৷ কেউ খতিয়ে দেখলেন না না যে ‘ফাস্ট কাম, ফাস্ট সার্ভ’ নীতির ভিত্তিতে টুজি লাইসেন্স বণ্টন করেছিলেন তৎকালীন ইউপিএ সরকার, সেই নীতি নির্ধারণ করেছিলেন পূর্বতন অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রীত্বে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার৷ বিজেপি সেই টুজি নিয়ে ৫০০ ঘণ্টা সংসদ অচল করে রেখেছিল (সংসদ না চলায় ৭৫০ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে)৷ বিনোদ রাই বলেছিলেন, ‘সরকারের ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে৷’ ডেপুটি কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া আর পি. সিংহ বলেছিলেন, ‘সরকারের ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না৷ ক্ষতি হয়ে থাকলে বড়জোর ২,৬৪৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে৷’ আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল, ‘সরকারের ক্ষতির অঙ্ক ৩০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে৷’ আর পি. সিংহ এবং সিবিআইয়ের বক্তব্য খতিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হবে বিনোদ রাই কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই সিএজির নামে ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতির আষাঢে় গল্প ফেঁদেছিলেন৷ সংসদে দাঁড়িয়ে তৎকালীন যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী কপিল সিব্বল বারবার বলেছিলেন, ‘সরকারি কোষাগারের কোনও ক্ষতি হয়নি, কোনও দুর্নীতি হয়নি৷ পুরোটাই বিজেপির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় বিনোদ রাইয়ের কষ্টকল্পনা৷’ ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট ৮টি সংস্থার ১২২টি টুজি লাইসেন্স বাতিল করে৷ প্রতিক্রিয়ায় তৎকালীন ইউপিএ সরকার বলে, ‘সুপ্রিম কোর্টের এই রায় প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে বিচারবিভাগের অযাচিত ও অনভিপ্রেত হস্তক্ষেপ৷’ এই দুর্নীতির অভিযোগের অভিঘাতে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার এবং কেন্দ্রের ইউপিএ সরকার ক্ষমতা হারায়৷ এ রাজা ও কানিমোঝি সহ ১৭ জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে থাকেন৷ তার আগে পদত্যাগে বাধ্য হন এ রাজা৷ ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ১৫৫২ পাতার রায়ে বললেন, ‘কোনও দুর্নীতিই ছিল না৷ না-বোঝা থেকেই এমন ধারণার জন্ম৷ দ্বিধাহীনভাবেই বলছি, এই মামলায় সরকার পক্ষ কোনও অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি৷ কোনও প্রমাণ ছাড়া কাউকে দোষী বলা যায় না৷’


মাসের পর মাস সংবাদমাধ্যম যেভাবে এই টুজি কেলেঙ্কারি নিয়ে কংগ্রেস ও ডিএমকের বিরুদ্ধে লাগাতার ‘খবর’ পরিবেশন করে গেছে, সেই সংবাদমাধ্যম আদালতের রায় নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি৷ ২০১৪ থেকে ক্ষমতায় বিজেপি৷ সিবিআই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে৷ ক্ষমতাচু্যত ডিএমকে বা কংগ্রেস সিবিআইকে প্রভাবিত করে তাদরে অনুকূলে রায় বার করে এনেছেন এমনটাও বলা যাবে না৷ বিনোদ রাইকে অবসরের পর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ উপহার দিয়েছে বিজেপি সরকার৷ আজ দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, তৎকালীন সিএজি প্রধান বিনোদ রাইকে কোনও কিছুর বিনিময়ে প্রভাবিত করে সাংবিধানিক সংস্থা সিএজির চূড়ান্ত অপব্যবহারের মাধ্যমে তৎকালীন ইউপিএ সরকার এবং কংগ্রেস ও ডিএমকে দলকে মিথ্যা দুর্নীতির কলঙ্কে কলঙ্কিত করে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে তাঁকে দিয়ে এ কাজ করিয়েছিল বিজেপি৷ কেন বিনোদ রাইয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে না? অথচ এই এ রাজার টেলিকম নীতি, আক্ষরিক অর্থে দেশের টেলিকম জগত এবং মোবাইল দুনিয়ায় বিপ্লব এনেছে৷

১৯৮৬ সালের ২৪ মার্চ ৪০০টি ১৫৫ মিমি হাউৎজার কামান কেনার জন্য সুইডেনের এ বি বোফর্স কোম্পানির সঙ্গে ১৪৩৭ কোটি টাকার চুক্তি করে রাজীব গান্ধির নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার৷ ১৯৮৭ সালের ১৬ এপ্রিল সুইডিশ বেতারে অভিযোগ করা হয়, বোফর্স বিক্রির বরাত পেতে ভারতের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক ও প্রতিরক্ষা দফতরের কর্তাদের ৬৫ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছে এ বি বোফর্স কোম্পানি৷ সংসদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি বললেন, ‘বোফর্স কামান চুক্তিতে তাঁর পরিবার এবং কংগ্রেসের কেউ এক পয়সা ঘুষ নেয়নি৷ তাঁর পরিবার ও কংগ্রেস দল যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্ত্তত৷’ বিজেপিসহ তৎকালীন বিরোধীরা সিবিআই, ইডি, যৌথ সংসদীয় কমিটি, বিচারবিভাগীয় তদন্ত, সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত, সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত, সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত দাবি করতেই পারতেন, সরকার যে কোনও তদন্তে রাজি ছিল৷ কিন্ত্ত সে সবের মধ্যে না গিয়ে দিনের পর দিন সংসদ অচল করে রাখলেন বিজেপি সহ বিরোধীরা৷ দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা হল, ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, রাজীব গান্ধি চোর হ্যায়’৷ সংবাদমাধ্যমে তথাকথিত অন্তর্তদন্তের নামে মুখরোচক খবর পরিবেশনের প্রতিযোগিতা৷ মানুষ দুর্নীতির অভিযোগ বিশ্বাস করল৷ কেউ জানতেও চাইলেন না সুইডিশ বেতারের প্রকাশিত খবরের সপক্ষে কী তথ্যপ্রমাণ আছে? ১৯৮৯ সালে ক্ষমতা হারাল কংগ্রেস সরকার এই বোফর্স ইসু্যতে৷ ১৯৯০ সালের ২২ জুন বোফর্স ইসু্যতে এফআইআর করল সিবিআই৷ ১৯৮৯-র পর থেকে একের পর এক তীব্র কংগ্রেস-বিরোধী দল/জোট কেন্দ্রে শাসন ক্ষমতায় এসেছে৷ সিবিআই আজও দুর্নীতির সপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে পারেনি৷ অতিক্রান্ত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকারও বোফর্স ইসু্যতে কোনও পদক্ষেপ করেনি৷ অথচ ১৯৮৯ থেকে প্রতিটা নির্বাচনে তথাকথিত বোফর্স দুর্নীতি তুলে এনে কংগ্রেসকে জনমনে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হিসাবে চিহ্নিত করে গেছে বিজেপি, কিন্ত্ত বারবার একক বা জোট হিসাবে কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে নূ্যনতম উদ্যোগ নেয়নি একের পর এক বিজেপি সরকার৷ অভিযুক্ত রাজীব গান্ধি, উইন চাড্ডা, এস কে ভাটনগর দুর্নীতির কলঙ্ক মাথায় নিয়ে মৃতু্যবরণ করলেন, অথচ আজও এক নয়া বয়সা দুর্নীতির প্রমাণ হল না৷ কারগিল যুদ্ধে জয়ের কৃতিত্ব দাবি করে বিজেপি৷ কার্গিল যুদ্ধে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকার এই অতি উচ্চ গুণমানের বোফর্স কামানের মাধ্যমেই জয়টা পেয়েছিলেন৷ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা নিয়েও একইরকম খেলা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি৷ অপ্রমাণিত অভিযোগে কেন দশকের পর দশক ধরে শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেসকে (এই কংগ্রেসই স্বাধীনতা সংগ্রামে ঐতিহাসিক ভূমিকা নিয়েছে, এই কংগ্রেস দেশের স্বার্থে মহাত্মা গান্ধি, ইন্দিরা গান্ধি, রাজীব গান্ধিদের বলিদান দিয়েছে) দুর্নীতির দায়ে কলঙ্কিত করা হবে?

২০১৩ সালে সমাজকর্মী আন্না হাজারে তাঁর একপাশে মনীশ সিসোদিয়া, অন্যপাশে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বসিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলন শুরু করলেন৷ দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ এনে তাঁকে জনমনে দুর্নীতির মক্ষীরানি বানিয়ে দিলেন৷ যে মনমোহন সিংয়ের ব্যক্তিগত সততা, স্বচ্ছতা প্রশ্নাতীত, তাঁকেও দুর্নীতির ভিলেন বানালেন আন্না হাজারে৷ চারিদিকে ধন্য ধন্য রব৷ ভিলেন কংগ্রেস৷ সংবাদমাধ্যমে রোজ আন্না হাজারের আন্দোলন, মানুষকে গোয়েবলসীয় প্রচার কায়দায় আন্না হাজারে অ্যান্ড কোম্পানি বিশ্বাসই করিয়েই ছাড়লেন কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্ত৷ নির্বাচনে দিল্লির কংগ্রেস সরকারের পতন ঘটল, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন তীব্র কংগ্রেস বিরোধী আপ ক্ষমতায় এল৷ আজও তারা ক্ষমতায়৷ অতিক্রান্ত ১০ বছরে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালজি ভুলেও একটিবারের জন্য নির্বাচনের আগে শীলা দীক্ষিত ও কংগ্রেসের যে দুর্নীতির অভিযোগে সোচ্চার হয়েছিলেন, সেই তথাকথিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে নাম-কা-ওয়াস্তে হলেও কোনও তদন্তের নির্দেশ দেননি৷ আন্না হাজারেও তাঁর শিষ্যের সরকারের বিরুদ্ধে শীলাজি ও কংগ্রেসের দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে আন্দোলনে নামেননি৷ নিদেনপক্ষে সংবাদমাধ্যমে তদন্ত চেয়ে কোনও বিবৃতিও দেননি৷ শীলা দীক্ষিতের রাজনৈতিক জীবন শেষ, কংগ্রেস ক্ষমতাচু্যত, তাই বিজেপির কেনা পোষা তোতাপাখি আন্না হাজারিদের দুর্নীতি-বিরোধী বিপ্লব শেষ৷

একই কথা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷ মনমোহন সিংয়ের মতো আদ্যন্ত সৎ ব্যক্তির কপালে দুর্নীতির কলঙ্ক তিলক লাগিয়ে দেওয়া গেছে, কংগ্রেসের পতন ঘটিয়ে বিজেপি সরকারকে ক্ষমতায় আনা সম্ভব হয়েছে, তাই দুর্নীতি বিরোধী বিপ্লব শেষ৷ আন্না হাজারেজি যদি সত্যিই বিশ্বাস করতেন কংগ্রেস দুর্নীতি করেছে, তাহলে কংগ্রেস পরবর্তী দিল্লির আপ সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যখন কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করল না, তখন তো তাঁর দুর্নীতি-বিরোধী অবস্থানের জায়গা থেকেই প্রত্যাশিত ছিল তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেসী দুর্নীতির তদন্তের দাবিতে অনুরূপ একটি আন্দোলন৷

দুটি কারণে আন্নাজি নীরব হয়ে যেতে পারেন— (১) তিনি জানতেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর তোলা দুর্নীতির অভিযোগ ১০০% মিথ্যা, তাই তদন্ত হলে তা অশ্বডিম্ব প্রসব করবে, কংগ্রেস ক্লিনচিট পেয়ে যাবে অথবা (২) কংগ্রেসের থেকে অর্থ নিয়ে তিনি কংগ্রেসী দুর্নীতির বিরুদ্ধে আর সরব হননি, কারণ ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়াই তো দুর্নীতির শাস্তি হতে পারে না৷— কোনটি সত্য তা তো আন্নাজিকেই বলতে হবে৷ অতিক্রান্ত ১০ বছরে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, আন্নাজির দুর্নীতি-বিরোধী আত্মা সেগুলির সম্পর্কে একটি শব্দও খরচ করেনি৷

আসলে বিনোদ রাইয়ের মতো আন্না হাজারে ও তাঁর সঙ্গীরা উচ্চ বিনিময় মূল্যে বিজেপির সাজানো চিত্রনাচ্যে দুর্নীতি বিরোধী রাজনৈতিক নাটক মঞ্চস্থ করেছেন, আদৌ কোনও আন্দোলন করেননি বিজেপির এই পোষা তোতা৷ ইতিহাসের কি নিষ্ঠুর প্রত্যাঘাত, আন্নাজির তথাকথিত দুনীতি-বিরোধী আন্দোলনের দুই মুখ মনীশ সিসোদিয়া ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল আজ দুর্নীতির অভিযোগে জেলে৷