• facebook
  • twitter
Tuesday, 7 January, 2025

মনুবাদীরা দলিতপ্রেমী হলেন কবে?

নেহরুকে প্রতিপক্ষ খাড়া করে মিথ্যা কথা বলে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করাটা সঙ্ঘ বাহিনী ও তাদের পোস্টার বয়দের জরুরি কর্তব্য। এবং এই প্রশ্নে তাঁরা একশ শতাংশ সফলও। মনুবাদী সংস্কৃতির ধারক বাহকদের দলিত প্রশ্নে যে এতটুকুও সহানুভূতি নেই, অতীত দিনে রোহিত ভেমুলা (আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া) সহ অন্যান্যদের যে নিপীড়ন (মানসিক ও শারীরিক) করেছে, তা আগেই প্রকাশিত। অমিত শাহজির বক্তব্যে আম্বেদকর ও ভারতীয় সংবিধান প্রশ্নে তাঁদের মনোভাব হাতেনাতে ধরা পড়েছে। তাই তাঁদের এত ঘৃণা ও মিথ্যা ভাষণের ফুলঝুরি কংগ্রেস ও বিরোধীদের লক্ষ্যে।

ফাইল চিত্র

নিত্যানন্দ ঘোষ

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) বিশ্বস্ত প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি আম্বেদকর প্রশ্নে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন। অমিত শাহজি ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪-এ সন্ধ্যায় রাজ্যসভায় সংবিধানের পঁচাত্তর বর্ষ পূর্তি নিয়ে বিতর্কের শেষে জবাবি ভাষণে বলে ওঠেন— ‘এখন একটা ফ্যাশন হয়েছে, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর… এতবার ভগবানের নাম নিলে সাত জন্ম পর্যন্ত স্বর্গ লাভ হত’। অমিত শাহজির এই ভাষণের পরপরই বিরোধী দলনেতা জাতীয় কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি অভিযোগ করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকরকে অমর্যাদা করেছেন, তাই তাঁকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমতা চাওয়া ছাড়াও তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করতে হবে। অমিত শাহজির ড. বাবাসাহেব আম্বেদকরকে অপমান ও মর্যাদা করার প্রতিবাদে ‘ইন্ডি’ জোট রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে এককাট্টা হয়ে সংসদের অভ্যন্তরে ও সংসদের বাইরে আন্দোলনে প্রবলভাবে সরব হয়। সংসদ চত্বরে ঘটে ধুন্ধুমার কাণ্ড। সাংসদরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আম্বেদকরকে নিয়ে বক্রোক্তির জেরে বিজেপি সাময়িক পিছু হটলেও পরে ছলে বলে ইস্যুটিকে (বিষয়) কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দেওয়া মরিয়া অপচেষ্টা করে। আপাতভদ্র প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুকে বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে সংঘ বহিনী নামিয়ে ঔদ্ধত্য দেখায়।

অতীতে জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বে জাতীয় কংগ্রেস দল ড. আম্বেদকরকে কীভাবে বাধ্য করেছে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে সেই সংক্রান্ত একগুচ্ছ মিথ্যা অভিযোগ জনসমক্ষে এনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপকর্মের উল্টো তাঁরা সাফাই দিয়ে অতীতচারী হয়ে বর্তমান সময়ের আম্বেদকরকে অপমান বিষয়টি ভুলিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন। কিছু কলমচি দৈনিকে লিখেছেন ড. আম্বেদকর প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র মুখোশ খসে পড়ল। সত্যিই কি তাই? বিজেপি-সংঘবাহিনী উপর্যুপরি তিনবার কেন্দ্রে জোট সরকার (যার চালিকাশক্তি বিজেপি) গঠনের পর তাদের মুখ আর মুখোশ কি সত্যিই কি আলাদা করা যায়? প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীজির সময় ও বিজেপি-আরএসএসের মুখ ও মুখোশ ছিল আলাদা।

নরেন্দ্র মোদিজি ২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতা কেন্দ্রে জোট সরকার তথা জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ)-এর তরফে দখল করার পর তাঁদের মুখোশের আর দরকার পড়েনি। মনুবাদী দলের ক্ষমতা দখলের জন্য (কেন্দ্রে বা রাজ্যে রাজ্যে) মুখোশের সাময়িক প্রয়োজন পড়লেও পড়তে পারে। কিন্তু উপর্যুপরি ক্ষমতা দখলে (কেন্দ্রে বা একাধিক রাজ্যে) আরএসএস-বিজেপির সত্যিই কি মুখোশের প্রয়োজন পড়েনি? পড়েনি বলেই প্রত্যাশামতো মশগুল হয়ে বিগত দুই দশক ধরে দলিত-সংখ্যালঘু নিপীড়ন সবচেয়ে বেশি করেছে সংঘ বাহিনীর চ্যালা-চামুণ্ডারা। এটি তারা করেছে ভারতবর্ষকে হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করার সংকল্পে যা তারা এক শতক ধরে (১৯২৫-এ আরএসএসের জন্মকাল ধরে) লালনপালন করে এসেছে। এবং সেটি করতে গেলে ড. ভীমরাও বাবাসাহেব আম্বেদকর প্রণীত সংবিধান, যা ভারতবর্ষে চালু আছে ৭৫ বছর ধরে, তার পরিবর্তন করতে হবে। আর সংবিধান পাল্টে ফেলতে মূল আঘাতটা ড. ভীমরাও বাবা সাহেব আম্বেদকরের উপর অনিবার্য হয়ে ওঠে। সংঘ বাহিনীর বিশ্বস্ত প্রতিনিধি অমিত শাহজি ঠিক সেটিই করেছেন। এই প্রশ্নে সংঘ বাহিনীর তাত্ত্বিকরা কি পীড়িত? উত্তর হল না।

সংঘ বাহিনীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করা এবং মনুস্মৃতিকেই ভারতবর্ষের সংবিধান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা। ড. আম্বেদকর কেবলমাত্র সংবিধান প্রণেতাই (সংবিধান রচনাকারী কমিটির প্রধান ছিলেন) ছিলেন না, তিনি সেই সংবিধান রচনার মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষকে সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ, গণ প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করে সব নাগরিকের জন্য ন্যায়, স্বাধীনতা, সাম্য ও সংহতি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন। সংবিধান চূড়ান্ত করার দু’দশক আগেই তিনি প্রকাশ্যে মনুস্মৃতিকে সামাজিক দাসত্বের প্রতীক হিসাবে নিন্দাও করেছিলেন এবং তা পুড়িয়েওছিলেন। সংঘ-বিজেপি স্বভাবতই আম্বেদকর ও তাঁর উত্তরাধিকার সম্পর্কে বিষোদগার ছাড়া আর কী-ই বা করতে পারত বা করতে পরে? সুতরাং অমিত শাহজি ড. আম্বেদকরকে রাজ্যসভায় ভাষণে বিদ্বেষ, বক্রোক্তি, অমর্যাদা যে করবেন তা তো তাঁদের পক্ষে স্বাভাবিক।

এও তো ঘটনা যে সংঘবহিনী যতদিন না ভারতবর্ষের সংবিধান পাল্টে ফেলতে পারছে, ততদিন তাদের গোপন ইচ্ছাকে গোপনে রেখেই বর্তমান সংবিধান প্রণেতা আম্বেদকরের প্রশংসা করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প থাকছে না। তাই তারা কতটা আম্বেদকর-প্রেমী, তা জানাতে জাতীয় কংগ্রেসকেই আম্বেদকরের প্রধান শত্রু হিসেবে প্রতিপন্ন করা তাদের আবশ্যিক কর্তব্য হয়ে উঠেছে। আম্বেদকরকে তারা কতটা সম্মান করে, তা বোঝাতে একদিকে প্রতিপক্ষ তৈরি করা, অন্যদিকে তাঁর মূর্তি স্থাপন, স্মৃতি রক্ষা— তা করার জন্য ড. আম্বেদকরের নামে রাস্তা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা— সব করতে হচ্ছে বা করতে হয়েছে। এসবও প্রচারে নিয়ে যেতে হচ্ছে যে তারাই দেশের সর্বোচ্চ পদে একজন জনজাতিকে বসিয়েছে, দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে আছেন একজন অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জাতি (এক্ষেত্রে নরেন্দ্র দমোদরদাস মোদি— যিনি ওবিসি)। এছাড়াও কংগ্রেসের পাল্টা হিসেবে তারাও একজন দলিত নেতাকে দলের (বিজেপি) সর্বোচ্চ পদে বসাতে চাইছে! এভাবেই তারা ড. আম্বেদকরকে নিজেদের পক্ষে নিতে চাইছে সংসদীয় আঙিনায় লাভ-লোকসানের অঙ্ক কষে। এবং এটি করতে গিয়ে তারা চিরাচরিত ঘৃণা ও মিথ্যা প্রচারের ফানুসে ফ্যাসিবাদী কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বা তা ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদী কর্মসূচিকে চ্যাম্পিয়ন করার দিকে এগোচ্ছে।

ড. আম্বেদকারের ভাবমূর্তিকে সংঘবহিনী ততদিনই কাজে লাগাবেন, যতদিন তাঁরা সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা এককভবে দুই কক্ষেই অর্জন করতে না পারছে। ফ্যুয়েরার-ফ্রাঙ্কো-মুসোলিনির পথে নাজিবাদ-ফ্যাসিবাদ তারা কায়েম করতে না পারলেও কর্পোরেট পুঁজির সঙ্গে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, সামন্ততন্ত্রের অবশেষের মিশেলে যে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয়েছে, তা ভারতীয় সংস্কৃতিতে নতুন এক ফ্যাসিবাদের জন্ম দিতে চলেছে। সেটি করতে গিয়ে স্বৈরতন্ত্রে বলীয়ান হয়ে সংসদের উভয় কক্ষকে তাঁরা পরিচালিত করতে চাইছে। আর একবার যদি তারা তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সংবিধান পাল্টে ফেলতে পরে, তাহলে ভারতীয় সংস্কৃতিতে ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়ে যাবে। ভারতবর্ষে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সংঘবাহিনী তার রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপিকে দিয়ে হিন্দু রাষ্ট্র গড়ে তুলতে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি (পলিটিক্যাল অ্যাজেন্ডা) ধাপে ধাপে রূপায়ণ করে চলেছে।

এমনিতেই সংগঠিতভাবে সংখ্যালঘু বিদ্বেষ (এক্ষেত্রে মূলত মুসলিম বিদ্বেষ) তাদের ঠ্যাঙারে বাহিনীকে (অনেকটা বিগত শতাব্দীর ত্রিশের দশকের জার্মানির গেস্টাপো বাহিনীর মতো) কাজে লাগিয়ে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ঘৃণা ও ভয়ের রাজ কয়েম করেছে। জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে ওই রাজ্যকে বিভাজন করেছে। দেশে এনআরসি লাগু করার চেষ্টারত। ইউনিফর্ম শিথিল কোড (সমরূপের দেওয়ানি আইন) প্রয়োগ করতে চায়। আর দেশে তারা ‘এক দেশ এক ভোট’ লাগু করতে চায়। এবং শেষোক্ত বিষয়টি (অর্থাৎ একযোগে সংসদ ও বিধানসভার ভোট) করতে সংবিধান সংশোধনী (১২৯তম) বিল উত্থাপন করে। সেটির জন্য অর্থাৎ বিল পাশের জন্য সংসদে উপস্থিত দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তা নেই জেনে বিলটিকে দ্রুত যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেয়। এটি ঘটে ২০২৪-এর শীতকালীন অধিবেশনের শেষে। বিলটি উত্থাপনের সময় পক্ষে ২৬৩ এবং বিপক্ষে ১৯৮টি ভোট পড়েছিল কিন্তু উপস্থিত সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন ছিল না। বিজেপির তরফে ‘এক দেশ এক ভোট’ অর্থাৎ একযোগে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করার সপক্ষে যুক্তির জালবিন্যাস থাকলেও আরএসএস এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় যে এই রাজনৈতিক কর্মসূচি জনসমক্ষে এনেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আলোচনায় আসা যাক পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে বাবাসাহেব আম্বেদকরের ঠিক কী বিষয়ে বিতর্ক বেঁধেছিল? গণপরিষদে হিন্দু কোড বিল পেশ করা হয় যার খসড়া তৈরি করেছিলেন বাবাসাহেব আম্বেদকর। নেহরু এই বিল পাশের পক্ষে জারালো সওয়াল করেন। সংবিধানের প্রস্তাবিত আইনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সমাজের (হিন্দু) অভ্যন্তরের অসাম্য ও বৈষম্য দূর করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, যিনি নেহরু পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ওই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেন। বিলে উল্লেখ ছিল, সম্পত্তিতে ছেলে-মেয়ে ও বিধবাদের সমান অধিকার থাকবেষ পুরুষদের বহুবিহাহ রোধ, মহিলাদের বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার, স্বজাতের মধ্যে বিয়ের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার মতো সংস্কার ইত্যাদির সংস্থান হিন্দু কোড বিলে ছিল। সুতরাং মনুবাদী জনসঙ্ঘী নেতারা পুরুষতন্ত্রের, সামন্ততন্ত্রের বেড়াজালে বন্দি নেতারা যে এই বিল আইনে পরিণত হয়ে নারীদের অধিকারে বাধ সাধবে, তা ছিল স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার।

দিল্লির রামলীলা ময়দানে ১৯৪৯ সালে সুবিশাল জন জমায়েতে সঙ্ঘীরা নেহরু এবং আম্বেদকরের কুশপুতুল দাহ করে বিলের প্রতিবাদ জানাতে। নেহরুকে নিজের দলের (জাতীয় কংগ্রেস) অন্দরেও বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়। নেহরু ধীরে চলার নীতি গ্রহণের কৌশল নেন। বিলটি ১৯৪৮ সালের এপ্রিলে গণপরিষদ সিলেক্ট কমিটিতে পাঠায়। নভেম্বর ১৯৪৯-এ সংবিধান প্রস্তুত হয়, জানুয়ারি ১৯৫০-এ তা কার্যকর হয়। ফলে বিলটি ঠান্ডা ঘরে চলে যায়। হতাশ হয়ে ড. আম্বেদকর সেপ্টেম্বর ১৯৫১ সালে পদত্যাগকরেন মন্ত্রিসভা থেকে। স্মর্তব্য, ১৯৫১-৫২ সালে প্রথম সাধারণ লোকসভা নির্বাচনে জাতীয় কংগ্র্সে বিপুল জয়ের পর চারটি পৃথক বিলের মাধ্যমে পণ্ডিত নেহরু ড. আম্বেদকরের হিন্দু কোড বিল পাশ করিয়ে নেন। ড. আম্বেদকর বন্ধু নেহরুর প্রশংসাও করেছেন সেই কারণে।

সুতরাং নেহরুকে প্রতিপক্ষ খাড়া করে মিথ্যা কথা বলে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করাটা সঙ্ঘ বাহিনী ও তাদের পোস্টার বয়দের জরুরি কর্তব্য। এবং এই প্রশ্নে তাঁরা একশ শতাংশ সফলও। মনুবাদী সংস্কৃতির ধারক বাহকদের দলিত প্রশ্নে যে এতটুকুও সহানুভূতি নেই, অতীত দিনে রোহিত ভেমুলা (আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া) সহ অন্যান্যদের যে নিপীড়ন (মানসিক ও শারীরিক) করেছে, তা আগেই প্রকাশিত। অমিত শাহজির বক্তব্যে আম্বেদকর ও ভারতীয় সংবিধান প্রশ্নে তাঁদের মনোভাব হাতেনাতে ধরা পড়েছে। তাই তাঁদের এত ঘৃণা ও মিথ্যা ভাষণের ফুলঝুরি কংগ্রেস ও বিরোধীদের লক্ষ্যে।