ইস্তাহারে পরিবেশ ও বাস্ত্ততন্ত্র সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কোনও কথাই নেই

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪

নিত্যানন্দ ঘোষ

অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলি পরিবেশ, বাস্ত্ততন্ত্র সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আদৌ কী চিন্তিত? ডান, বাম, অতিডান, মধ্যবাম বা বিপ্লবী দলগুলি নির্বাচনী ইস্তেহারে ২০২৪-এ পরিবেশ, বাস্ত্ততন্ত্র সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কিছু বক্তব্য পেশ করলেও সে সম্পর্কে নীতি, পরিকল্পনা ও রূপায়ণ কিভাবে হবে তার উল্লেখ নেই৷ গত দু’দশকে ভারতবর্ষে ২৩ লক্ষ হেক্টরের বেশি অরণ্য ধ্বংস হয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের কী মাথা ব্যথা আছে? গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ উপগ্রহ চিত্র সহ নানা সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখিয়েছে যে ভারতবর্ষে ২০০০-২০২৩ সালের মধ্যে ২৩ লক্ষ ৩০ হাজার হেক্টর বনাঞ্চল হারিয়ে গিয়েছে যা এই বৃহৎ দেশের সবুজে আচ্ছাদিত অঞ্চলের ৬ শতাংশ৷


সাধারণভাবে যে কোনও দেশে সবুজের আচ্ছাদন ৩৩ শতাংশের কাছাকাছি থাকার কথা৷ বর্তমানে তা ২০-২৪ শতাংশের কাছাকাছি আছে কিনা পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এ সম্পর্কে সন্দিহান৷ ইন্ডিয়ান স্টেট অবড় ফরেস্ট রিপোর্ট ২০২১ অনুযায়ী ভারতবর্ষের মোট বনাঞ্চল ও বৃক্ষরাজির আচ্ছাদন ছিল সমগ্র ভৌগোলিক অঞ্চলের ২৪.৬২ শতাংশ৷ বন্য অগ্নিকাণ্ডে(ওয়াইল্ড ফায়ার) বন ধ্বংস হওয়ার ঘটনা তো ঘটেই চলেছে৷ ভারতবর্ষের উত্তরাঞ্চলে এই বছরই তো ঘটে গেল অগ্নিকাণ্ডে বন ধ্বংস হওয়ার ঘটনা৷ এটি বাদ দিয়ে মানুষ্যঘটিত বন ধ্বংস (ডিফরেস্টেশন) তা তো লেগেই আছে৷ বন্যঅগ্নিকাণ্ড ও মনুষ্যঘটিত বিপর্যয়৷ ফলে বনাঞ্চল ক্রমশ কমছে৷ তা নিয়ে কোনও সরকার খুব বেশি চিন্তিত?

উল্লেখ্য, ভারতবর্ষে অরণ্য ধ্বংস নিয়ে গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়ার-এর তথ্য প্রকাশ সামনে আসতেই ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (এনজিটি) স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে যেখানে বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি অরুণকুমার ত্যাগীর বেঞ্চ জানায়, বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে বন সংরক্ষণ আইন, ১৯৮০, বায়ু (দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং পরিবেশ সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন হয়েছে৷ এর জবাব চেয়ে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক, সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে ২৮ আগস্ট ২০২৪-এ৷ গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ জানিয়েছে ২৩ লক্ষ ৩০ হেক্টর অরণ্য ধ্বংসের সঙ্গে ৪ লক্ষ ১৪ হাজার হেক্টর হিউমিড প্রাইমারি ফরেস্টও (স্যাতসঁ্যাতে প্রাথমিক বন) হারিয়ে গিয়েছে৷ সংস্থাটির আরও পর্যবেক্ষণে জানা যাচ্ছে ভারতবর্ষের উত্তর পূর্বাঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি অরণ্য ধ্বংস হয়েছে যা প্রায় ৬০ শতাংশ৷ অসম, নাগাল্যান্ড ও মণিপুরেই সবচেয়ে বেশি অরণ্য নিধন হয়েছে বলেও গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ জানিয়েছে৷ প্রতিদিন প্রতি রাতে একটু একটু করে যে সবুজের আচ্ছাদন কমে যাচ্ছে তা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়ও ধরা পড়ে৷ তিন ধসকেরও বেশি সময় সুন্দরবনে যাওয়ার অভিজ্ঞতায়ও বলা যায় কিভাবে জঙ্গল হাসিল করে জনপদ গড়ে উঠেছে৷

শেষ হতে চলা ভারতবর্ষের অষ্টাদশ ভারতবর্ষের লোকসভা নির্বাচনে শাসক বা বিরোধী দলগুলি কী এসব জানে না, জেগে ঘুমিয়ে থাকা যাকে বলে দলগুলির অবস্থাও তাই দাঁড়িয়েছে৷ সবচেয়ে মজার বিষয় হল সবুজ মঞ্চ (পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় গড়ে ওঠা পরিবেশ আন্দোলনের এক যুক্ত মঞ্চ— নব দত্ত যার সম্পাদক এবং মঞ্চটি ২০০৯ সালে তৈরি হয়েছে) প্রতিবার নির্বাচনের আগে (লোকসভা, বিধানসভা এমন কি কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচন) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের পরিবেশ সংক্রান্ত ভাবনা চিন্তা জানানোর জন্য কলকাতা প্রেস ক্লাবে ডাকে৷ এ বছর ২০২৪ সালে ১৬ এপ্রিল প্রেস ক্লাবে একইভাবে রাজনৈতিক দলগুলিকে ডাকা হয় তাদের বক্তব্য পেশ করার জন্য৷ পরিবেশ সংক্রান্ত ‘ভোটের ২৪-এ পরিবেশের ১৫ দফা’ দাবি সম্বলিত এক প্রচার পুস্তিকা (৩১ পৃষ্ঠার) সবুজ মঞ্চ প্রকাশও করে৷ ওই দিনে উপস্থিত দলগুলির অধিকাংশ প্রতিনিধিই জানান পরিবেশের বিষয়ে তাঁদের বিশেষ ভাবনা চিন্তা নেই৷ অথচ প্রতিটি দলই বিশেষ করে ক্ষমতাসীন বা ক্ষমতায় পেঁৗছতে অপেক্ষামানরা তাদের ইস্তেহার পরিবেশ নিয়ে কিছু বাক্য ব্যয় করেছে৷ জাতীয় কংগ্রেস যেমন তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে ‘গ্রিন নিট ডিল’ নামক বিনিয়োগের প্রস্তাব রেখেছে যাতে বলা হয়েছে ২০৭০ এর মধ্যে ‘নেট জিরো’য় পেঁৗছনোর লক্ষমাত্রা রাখার কথা৷ অর্থাৎ গ্রিন গ্যাস এমিশন জিরো-তে পেঁৗছতে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি ক্ষেত্রকে সঙ্গে নিয়ে ‘গ্রিন ট্রানজিশন তহবিল’ তৈরি করবে৷ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব দেওয়ার কথা মাথায় রেখে এটি বললে কী পন্থায় তা ঘটবে তা বলা হয়নি৷ যদিও বনাঞ্চলের পক্ষে ‘বিপজ্জনক’ সংশোধিত বনসংরক্ষণ আইন (ফরেস্ট কনজারভেশন অ্যামেন্ডেড অ্যাক্ট-এফসিএএ, ২০২৩) পর্যালোচনা করবে বলে কংগ্রেস ইস্তেহারে উল্লেখ আছে৷ পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত একটি স্বাধীন সংস্থা তৈরির কথাও তারা বলেছে৷ ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে ‘ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরির কথা বলার সঙ্গে ৫০০ গিগা ওয়াট পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তি উৎপাদন করার কথাও বলেছে৷ কিন্ত্ত কিভাবে এসব পরিকল্পনা তৈরি হবে সে সম্পর্কে ইস্তেহারে উল্লেখ নেই৷ জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ‘মৌসম’ নামে প্রকল্প তৈরির কথাও বিজেপি বলেছে৷

গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব ঠেকাতে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে ‘ন্যাশনাল অ্যাডাপশন প্ল্যান’ তৈরির কথা সিপিআই(এম) ইসতেহারে বলা হয়েছে৷ এফসিএএ-র বিভিন্ন ধারার বিরোধিতাও করা হয়েছে৷ সিপিআই(এমএল) লিবারেশন বনাধিকার আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করার কথা ইস্তেহারে বলেছে৷ বনবাসীদের জমি (যেখানে তাঁরা বাস করেন) ও বনজসম্পদের উপর অধিকার খর্ব করা চলবে না বলেছে৷ ছত্তিশগড়ের হাসদেও অরণ্যে আদানিদের প্রকল্প অবিলম্বে বাতিল করার দাবি তুলে আদিবাসীদের বন ও তাঁদের জমি থেকে উৎখাত করার কথাও লিবারেশন বলেছে৷ হিমালয় সহ সংবেদী অন্যান্য অঞ্চলের (যা অত্যন্ত ভঙ্গুর বা ফ্রাজাইল) বাস্ত্ততন্ত্রে বৃহৎ নির্মাণ প্রকল্প নিষিদ্ধ করা সব যোশিমঠের বিপর্যয়ে বিপন্ন মানুষের জন্য বিশেষ পুনর্বাসন, পুনর্গঠন সুস্থিতির প্যাকেজের দাবিও ইসতেহারে লিবারেশন করেছে৷ উল্লেখ্য যোশিমঠ বিপর্যয়ের (২০২৩ এর জানুয়ারিতে সংঘটিত) পর দলের উত্তরাখণ্ড রাজ্য কমিটির সদস্য অতুল সতীর নেতৃত্বে যোশিমঠ বাঁচাও হিমালয় বাঁচাও আন্দোলন (১০৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ) জাতীয় ইসু্য (বিষয়) হয়ে উঠেছিল৷

এই রাজ্যের (প.ব.) শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তাদেরই ইস্তেহারে রাজ্যে বনভূমি বৃদ্ধির কথা বলেছে৷ দাবি করেছে ২০৩২ সালের মধ্যে ধ্বংস হওয়া জলাভূমির পুনর্বাসনের৷ বাস্তব কিন্ত্ত উল্টো কথা বলছে৷ পুর্ব কলকাতার জলাভূমি যা ২০০২ সালে ‘রামসার সাইট’ তালিকাভুক্ত হয় তা ক্রমশ বেআইনিভাবে ভরাট হয়ে নির্মাণ গড়ে উঠেছে ও উঠছে৷ স্মর্তব্য জলাভূমি বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী প্রয়াত ধ্রুবজ্যোতি ঘোষের উদ্যোগে পূর্ব কলকাতার জলাভূমির বাস্ত্ততন্ত্র ‘রামসার সাইট’ তালিকাভুক্ত হয়৷ সেই জলাভূমির রক্ষকরা (এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার-শোভন চট্টোপাধ্যায় মেয়র ও পরিবেশ মন্ত্রী থাকাকালীন জলাভূমি বুজিয়ে নির্মাণ হয়েছে—বর্তমানেও তা অব্যাহত আছে) এখন ভক্ষক৷ কলকাতার এই বৃক্ক (কিডনি)-কে ড. ঘোষ চোখের মণির মতো রক্ষা করেছিলেন৷ আন্তর্জাতিক আঙিনায় তিনি এই জলাভূমিকে তুলে ধরেছেন৷

কোনও রাজনৈতিক দলই পরিবেশ ও বাস্ত্ততন্ত্র সংরক্ষণে সদিচ্ছা দেখায় না—এমনই অভিযোগ পরিবেশ বিজ্ঞানী ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলির৷ তাঁদের অভিযোগ বিষয়টি ভোট ব্যাঙ্কের কাজ করে না বলেই রাজনৈতিক দলগুলি পরিবেশ ও বাস্ত্ততন্ত্র সংরক্ষণে গুরুত্ব দেয় না৷ সবুজ মঞ্চ ‘ভোটের ২৪-এ পরিবেশের ১৫ দফা’র চতুর্দশ দফায় সঠিক অর্থেই অরণ্য সংরক্ষণ আইন সংশোধন— অরণ্য ধ্বংসের প্ররোচনা শীর্ষক বিন্দুতে স্পষ্টভাবে দাবি করেছে এখনই অরণ্য (সংরক্ষণ) সংশোধন—অরণ্য ধ্বংসের প্ররোচনা শীর্ষক বিন্দুতে স্পষ্টভাবে দাবি করেছে এখনই অরণ্য (সংরক্ষণ) সংশোধন আইন ২০২৩ বাতিল করার৷ সবুজ মঞ্চ বলেছে যুগ যুগ ধরে যাদের প্রহরায় অরণ্য সংরক্ষিত ছিল, তাদের অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা৷ বনাধিকার আইন ২০০৬ যথাযথভাবে কার্যকর করার দাবিও তারা করেছে৷

অবিলম্বে দেশেজুড়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করার দাবি জানানো হয়েছে বারো দফায়৷ এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে আইনানুগভাবে দায়বদ্ধ থেকে আইনের সঠিক প্রয়োগের কতা বলা হয়েছে৷ প্লাস্টিক দূষণ নাগরিক জীবনকে যে দুর্বিসহ করে তুলে তা নিয়েও সজাগ সবুজ মঞ্চ৷ ওই বারো দফাতেই বলা হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্লাসটিকের ব্যবহার কমানোর কথা, প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার, সংগ্রহ করে পুনরায় চালু করা (ইংরেজিতে রিডিউস, রিইউজ ও রিসাইকল) এবং যেগুলি রিসাইকল করা যায় না সেগুলির ব্যবহার বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে৷

পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর দাওয়াই দেওয়া হয়েছে৷ হয়তো পাট শিল্পের উন্নতির সঙ্গে পাটশিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের শ্রমের গ্যারান্টির কথাও সবুজ মঞ্চ ভেবেছে৷ এটি তো ঘটনা সাড়ে তিন দশক ধরে শ্রমিক স্বার্থে নাগরিক মঞ্চ কাজ করে চলেছে৷ ওই সংগঠনেরও সাধারণ সম্পাদক নব দত্ত৷ নাগরিক মঞ্চের অভিজ্ঞতা সবুজ মঞ্চে তাঁরা কাজে লাগাচ্ছেন প্লাস্টিকের জায়গায় জৈব পচনশীল পাট (বায়ো ডিগ্রেডেবল জুট) ব্যবহার করার দাওয়াই বাতলে দিয়ে৷ রাজনীতি সচেতন সবুজ মঞ্চের সম্পাদক ও তার টিমের এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাতেই হয়৷

বায়ু দূষণ কমাতে সবুজ মঞ্চ শেজ মডেল প্রয়োগের কথা বলেছে৷ নদী, জলা ও জলাভূমি সংরক্ষণে পর্ষদ তৈরি ও নদী সংযুক্তিকরণ প্রকল্প বন্ধ করার কথাও মঞ্চ বলেছে৷ শব্দদূষণ অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করতে বাজির আইন কঠোরতর করার কথাও বলেছে ১১ দফা দাবিতে৷ সবুজ মঞ্চের অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে আড়াই দশক ধরে বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবেল থাকলেও সম্প্রতি বাজি ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দিতে রাজ্যদূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদ তা ১২৫ ডেসিবেল মাত্রা নির্ধারণ করেছে৷ এর সঙ্গেই চলছে সব নিয়ম ভেঙে বাজি তৈরি, ডিজে, মাইক বাজানো, যখন খুশি বাজি ফাটানো এটি শুধু পশ্চিমবঙ্গের চিত্র নয় সারা দেশে কম বেশি একই চিত্র পাওয়া যাবে বলেও সবুজ মঞ্চ জানিয়েছে৷

সবুজ মঞ্চ হিমালয় সুরক্ষায় অবিলম্বে সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য ‘এক হিমালয় সংরক্ষণ নীতি’র কথা যেমন বলেছে সেই সঙ্গে হিমালয় সুরক্ষায় পড়শি দেশগুলির সঙ্গে অন্তর্দেশীয় পরিকল্পনা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছে৷ গ্রামের পরিবেশ রক্ষায় পরিকল্পনা করে যথেষ্ট বাজেট অনুমোদনের দাবিও জানানো হয়েছে৷ গঙ্গা দূষণ নিয়ে দুর্নীতি বন্ধের দাবিও সবুজ মঞ্চ জানিয়েছে৷ ইলেকটোরাল বন্ড সংক্রান্ত মামলায় যে কোম্পানিগুলি ও প্রকল্পের নাম উঠে এসেছে তার মধ্যে বেশ কয়েকটির সঙ্গে পরিবেশ দূষণের প্রত্যক্ষ যোগ আছে৷ সবুজ মঞ্চ দাবি জানিয়েছে অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে ইলেকটোরাল বন্ড এবং পরিবেশ অনুমতির সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত করার এবং অপরাধের প্রমাণ পেলে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের৷ সামগ্রিকভাবে সবুজ মঞ্চের পরিবেশ রক্ষায় ১৫ দফা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলির প্রতি সতর্কবার্তা