নেতাজি কীভাবে অন্তর্ধান করে আফগানিস্তান হয়ে জার্মানিতে পৌঁছেছিলেন, তা আমরা ১৯৪৬ সালেই জেনেছিলাম। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সম্পর্কে যাদের কিছুমাত্র ধারণা নেই। একমাত্র তারাই কখনও শোলমারির সাধুকে, কখনও গুমনামি বাবাকে আত্মগোপনকারি নেতাজি হিসাবে কল্পনা করতে পারেন। যাঁরা বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুকে স্বীকার করতে চান না, তাঁরা কিন্তু কখনও বিমান দুর্ঘটনা স্থলে গিয়ে প্রকৃত তথ্য জানার চেষ্টা করেনি বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে গিয়ে আজাদহিন্দ ফৌজ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে সচেষ্ট হননি।
বিদেশের যেসব অধ্যাপক আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং সেজন্য বিমান দুর্ঘটনার স্থলে গিয়ে, এবং পরে পাকিস্তানে গিয়ে মৃত্যুর সময়ে নেতাজির সঙ্গী হবিবুর রহমানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, তাঁদের বই ভারতে পাওয়াই যায় না। রেজার রেসান্টের ‘দি হিডেন ট্রুথ ইন থাইল্যান্ড’ ছাপা হয়েছে সিডনি, লন্ডন এবং আটলান্টায়। ব্যাঙ্ককের আজাদ হিন্দফৌজের সৈনিকদের বুট জুতো সরবরাহকারী দর্শন সিং বাজাজের সাংবাদিক কন্যা তাঁর বাবার বই থেকে জেরক্স করে একটি কপি আমাকে দিয়েছিলেন। আর এক অস্ট্রেলিয়ান অধ্যাপক ড্যানিয়েল মাচসটোনের আজাদ হিন্দ ফৌজের উপর গবেষণা-পুস্তক ‘দি ইন্ডিয়ান আর্মি অ্যান্ড দি এন্ড অব রাজ’ প্রকাশ করেছে কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। দাম চার হাজার টাকা। আমি জাতীয় গ্রন্থাগার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের লাইব্রেরি এবং রাজভবনের লাইব্রেরিকে দিয়ে বইটা কেনাতে পারিনি। পশ্চিমবঙ্গের তিনটি রাজভবনের জন্য বার্ষিক বরাদ্দ এক কোটি টাকা হলেও বিজেপির গভর্নরদের চিঠি নিয়ে রাজভবন লাইব্রেরি থেকে বইটা কেনাতে সমর্থ হইনি। জাতীয় গ্রন্থগারের এক সহকারি লাইব্রেরিয়ানের সাহায্যে কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট মারফত মাচসটোনের বইটার কিছু অংশ পড়তে পেরেছিলাম।
জাপানের সেনাবাহিনী বার্মা থেকে থাইল্যান্ডে চলে যাওয়ার পর নেতাজি আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানী ও লোকদের নিয়ে থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। তাঁদের বেশিরভাগ বৃটিশ সেনাবাহিনীর নিকট ব্যাঙ্ককে আত্মসমর্পন করে। কাজেই থাই সেনাবাহিনীর কাগজপত্রে আজাদ হিন্দ ফৌজের তথ্য পাওয়া যাবে মনে করে আমি ২০০৭ সালের মার্চ মাসে ব্যাঙ্ককের ন্যাশানাল আর্কাইভকে যাই। আমার ছোট ছেলে থাই মিডিয়ামে পড়েছে বলে তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে যাই থাই ভাষায় সূচিপত্র এবং কাগজপত্র পড়ে আমাকে শোনানোর জন্য ‘ন্যাশনাল আর্কাইভস চলে সেনাবাহিনীর কাগজপত্র সেনাবাহিনীর আর্কাইভসে পাঠিয়ে দেওয়া হেয়েছে। সেনাবাহিনীর আর্কাইভস বলে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়কার কোনো কাগজপত্র আমাদের নিকট নেই। আমরা সব ন্যাশনাল আর্কাইভসে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা আবার ন্যাশানার আর্কাইভসে যাই। তখন ন্যাশানাল আর্কাইভস বলে, আমরা সেনাবিভাগের আর্কাইভসের একটি বিভাগে ওগুলি পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা আবার সেখানে গেলে জানতে পারি যে, ওই পিরিয়ডের কাগজপত্র পড়ার ব্যাপারে বিশেষ শর্ত আছে। কোন্ প্রকাশক বই ছাপবে, সেই প্রকাশকের নিকট থেকে চিঠি আনতে হবে, গবেষককে নিজেই থাই ভাষায় পড়তে হবে। তার হয়ে কেউ পড়তে পারবে না। থাইল্যান্ড এবং জাপান সরকারের গোপন চুক্তির মাধ্যমে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। জাপান সিঙ্গাপুর দখলের পর বৃটিশ বাহিনী এবং বৃটিশ ভারতীয় বাহিনীর ১ লক্ষ ৩০ হাজার অফিসার ও সেনা জাপানের নিকট আত্মসমর্পণ করে। এদের মধ্যে ৫০ হাজার ছিল শ্বেতাঙ্গ। জেনারেল মোহন সিং ইন্ডিয়ান ন্যাশানাল আর্মি গঠন করেন ৪০ হাজার ভারতীয় সৈন্য আইএনএ’তে যোগদান করে।
আগে যে দুটি বই-এর উল্লেখ করেছি, তার তথ্যের ভিত্তিতে ‘ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুসলিম শহীদ’ গ্রন্থের (সুশিক্ষা, কলেজ স্ট্রিট) আজাদ হিন্দ ফৌজের অধ্যায়ের ভূমিকায় যা লিখেছিলাম, তাতে দুটি প্রশ্নের উত্তর মিলবে-বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল কিনা, আজাদ হিন্দু ফৌজের তথ্য প্রকাশিত হলে ইংল্যান্ড এবং আমেরিকা ভারতের উপর যাবে কিনা।
১৯৪৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সুভাষচন্দ্র বসু সহকর্মী আবিদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন জার্মান বন্দর থেকে জার্মান ডুবো জাহাজে। ডুবো জাহাজটি উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে ভারত মহাসাগেরে এসে সুভাষচন্দ্র ও আবিদ হোসেনকে জাপানী ডুবো জাহাজে তুলে দেয়। ওই ডুবো জাহাজে তিনি সুমাত্রা পৌঁছান। ৯৩ দিন পরে সোখান থেকে প্রথমে সিঙ্গাপুর এবং তারপর তাঁদের টোকিও নিয়ে যাওয়া হয়। জাপনের প্রধানমন্ত্রী তোজোর সঙ্গে দেখা করার জন্য টোকিওতে তাঁকে তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করেতে হয়। সুভাষচন্দ্র বসু টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর নিকট জানতে চান, ভারতের স্বাধীনতার জন্য জাপানের সেনাবাহিনী ভারত আক্রমণ করবে কিনা। … সুভাষচন্দ্র ১৯৪৩ সালের দুই জুলাই টোকিও থেকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান। চারদিন পরে রাসবিহারি বসু আইএনএ এবংম ইন্ডিয়া ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগের নেতৃত্ব সুভাষচন্দ্র বসুকে হস্তান্তর করেন। সুভাষচন্দ্র বসুর মতো বিখ্যাত নেতা আইএনএ’র নেতৃত্বে আসায় গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ভারতীয়দের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। জাপান যুদ্ধে সর্বত্র হারছে। সুভাষচন্দ্রের হাতে বেশি সময় নেই। তিনি মেজর জেনারেল ভোঁসলেকে আইএনএ’র চীফ অব স্টাফ নিয়োগ করেন। অন্য সিনিয়র কমান্ডার হন শাহনওয়াজ খান।
আজাদ হিন্দ ফৌজ বৃটিশের বিরুদ্ধে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করতে রাজি হলেও, জাপানিরা আজাদ হিন্দু ফৌজকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেনি। প্রশিক্ষণের জন্য আস্ত্র দেয়নি। পোশাক, বুট এসব আজাদ হিন্দ ফৌজকে সব কিছু সংগ্রহ করতে হয়েছে। খাদ্যের যতেষ্ট সরবরাহ ছিল না। ১৯৪৪ সালে দেবনগরিতে এক লক্ষ সৈন্য নিয়ে ভারত আক্রমণ করে আজাদ হিন্দ ফৌজের ছিল মাত্র সাত হাজার সৈন্য। জাপানীদেরও খাদ্য ছিল না, আজাদ হিন্দ ফৌজেরও খাদ্য ছিল না। কলেরা, বেরিবেরি, আমাশয় প্রভৃতি রোগ চিকিৎসার জন্য ডাক্তার ছিল না। শত শত সৈনিক মারা যায়। আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈনিকরা তিনদিন না খেয়েও ইম্ফলে যুদ্ধ করেছে। জাপানী বাহিনীর সঙ্গে ৮ মার্চ আজাদ হিন্দ ফৌজও মণিপুরে অভিযান করে। ১৯৪৪ সালের এপ্রিলে গান্ধী ব্রিগেডের শৌকত আলি মালিক ইম্ফলের ৪৫ মাইল দূরে খাইবারে আজাদ হিন্দ ফৌজের পতাকা উত্তোলন করেন।
১৯৪৪ সালের ২ মে আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈনিকেরা চারবার বৃটিশ বাহিনীকে আক্রমণ করে। ড্যানিয়েল মার্সটোন লিখেছেন, বৃটিশরা বিমান থেকে লিফলেট ছুঁড়ে না খেতে পাওয়া আজাদ হিন্দু ফৌজের সৈনিকদের প্রলুব্ধ করে আত্মসমর্পণ করতে। ইম্ফল রণাঙ্গণে একদিনেই ৭১৪ জন বৃটিশ বাহিনীর নিকট আত্ম সমর্পণ করে। কতজন যে আত্মহত্যা করে, তা জানা নেই। বৃটিশ বাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর মস্তিষ্ক এমন ভাবে ধোলাই করেছিল যে আজাদ হিন্দ ফৌজের আহত ও আত্মসমর্পণ করা সৈনিককেও গুলি করে হত্যা করেছিল। জাপানী সেনাবাহিনী ও আজাদ হিন্দ ফৌজ ১০ জুলাই খাদ্যাভাবের জন্য ব্রহ্মদেশে পশ্চাদপসারণ করে। রেঙ্গুনে আজাদ হিন্দু ফৌজের সব সরবরাহ আসত ব্যাঙ্কক থেকে। মিত্রশক্তির ক্রমাগত বোমাবর্ষণের জন্য লোকে আর আগের মতো টাকা দিয়ে আজাদ হিন্দ গভর্নমেন্টকে সাহায্য করছিল না। ফলে আজাদ হিন্দ সরকারের সমস্যা বেড়ে যায়। ১৯৪৫ সালে ১০ জানুয়ারি মার্কিন বিমান বাহিনী রেঙ্গুনে আজাদ হিন্দ হাসপাতালের উপর ছয়বার বোমাবর্ষণ করে। ২৩ এপ্রিল আজাদ হিন্দ ফৌজের এক ডিভিশন রেঙ্গুনের কাছে বৃটিশ বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করে। তখনও রেঙ্গুনে মেজর জেনারেল লোগানাথানের নেতৃত্বে আজাদ হিন্দু ফৌজের কোনও খবরই রাখে না। আত্মসমর্পণ করলে দেশের লোক আজাদ হিন্দ ফৌজের উদ্দেশ্য, কাজ ও ত্যাগের কথা জানতে পারবে।
২৩ এপ্রিল জাপানি বাহিনী রেঙ্গুন ছেড়ে থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। নেতাজি ২৪ এপ্রিল গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা ৪টি গাড়ি, ৩২৮টি ট্রাকে ঝাঁসির রানি বাহিনীর সৈনিক ও স্বেচ্ছাসেবিকা, ২৪০ জন সৈনিক এবং মেজর জেনারেল ভোসলে, জেনারেল কিয়ানি, জেনারেল চ্যাটার্জি, কর্নেল গুলজার সিং, কর্নেল মালিক ও কর্নেল চোপরাকে সঙ্গে নিয়ে ৩০০ মাইল দূরে ব্যাঙ্ককের উদ্দেশে যাত্রা করেন। শত্রু-পক্ষের বিমান থেকে বোমাবর্ষণ এড়ানোর জন্য দিনের বেলায় গাছের ছায়ায় লুকিয়ে রাত্রের অন্ধকারে চলে ২১ দিন পরে ব্যঙ্ককে পৌছান। বৃটিশ বাহিনী রেঙ্গুন দখল করেন। তাঁদের বলেন, বৃটিশ বাহিনী ব্যাঙ্ককে এলে তাঁদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে। নেতাজি পরবর্তী পর্যায়ে সংগ্রামের জন্য রাশিয়া যেতে চান জাপানী জেনারেল নেতাজিকে নিরাপদ এলাকায় পৌঁছে দিতে রাজি হন।
হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে আমেরিকা পারমাণবিক বোঝা বর্ষণের পর জাপান ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট মার্কিন জেনারেলের নিকট আত্মসমর্পণ করে। তার দুদিন পরে নেতাজি ও আজাদ হিন্দ ফৌজের কয়েকজন নেতা জাপানিদের দুটি বিমানে সায়গন পৌঁছান। সায়গন থেকে নেতাজিকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় সাঞ্চুরিয়ায় জাপানি বাহিনীর লেফটেনান্ট জেনারেল সিদাইকে। সায়গন থেকে যে বোমারু বিমানে নেতাজি যাবেন, তাতে একটি আসন খালি ছিল। বহন ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি ওজন ওই বিমানে চাপানো হয়েছে। তাই বিমান চালক আর কাউকে ওই বিমানে তুলবেন না। কিন্তু নেতাজি তো একা যাবেন না। বিমান চালক শেষ পর্যন্ত আর একজনকে নিতে রাজি হন। নেতাজির সঙ্গী হলেন হবিবুর রহমান। সায়গনের ভারতীয়রা নেতাজির ব্যবহাররের জন্য সোনাদানা ভর্তি একটি বড় বাক্স এনেছিল হবিবুর রহমান ওই বাক্স নিয়ে বিমানে চড়েন। ওইদিন বিকেল পাঁচটায় বিমানটি ফরমোজার তাইহোকু বিমান বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। কিন্তু দুই ঘণ্টা পরে বিমানটি সায়গন ও হ্যানয়ের মাঝখানে তুরেন বিমান বন্দরে নামে। বিমানের চালক বিমানটি হাল্কা করার জন্য ৬০ পাউন্ড ওজনের মালপত্র নামিয়ে দেয়। পরের দিন সকালে বিমানটি তাইহোকু বিমান বন্দরে পৌঁছানোর জন্য তুরিন বিমান বন্দর ছাড়ে। দুটোর সময়ে তাইহোকু পৌঁছে চালক ইঞ্জিনটি ভাল করে দেখেন এবং এক হাজার মাইল দূরে দারিবান বিমান বন্দরে পৌঁছানোর জন্য ভাল করে তেল ধরে নেন।
হাবিবুর রহমানের কথায়, বিমানটি রানওয়ে ছেড়ে দুই-তিন মিনিট আকাশে ওড়ার পর শব্দ করে বিমানের একাংশ ভেঙ্গে পড়ে। ইঞ্জিনের আগুনে পাইলট ও কো-পাইলট মারা যান। বিমানের পিছনের দরজা মালপত্রে ঠাসা। সামনের দরজাতে আগুন। ভেঙ্গে পড়া বিমানের জ্বলন্ত আগুনের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসার সময়ে নেতাজির পোশাকে আগুন লাগে। তিনি গড়াগড়ি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। শহরে মিলিটারি হাসপাতালে হবিবুর রহমানের জ্ঞান ফিরেলে তিনি পাশের বিছানায় নেতাজিকে দেখতে পান। তাঁর শরীর পুড়ে গিয়েছে। রক্ত দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেও তাঁর শরীরে সূচ ঢোকানো যায়নি। তিনি ছয় ঘণ্টা পরে মারা যান। হবিবুর রহমান জানান, মৃত্যুর আগে রাত নটায় নেতাজি বলেন, ‘হবিব, আমি শীগগিরই মারা যাব। আমি সারা জীবন দেশের জন্য লড়েছি, আমি দেশের জন্য মারা যাচ্ছি। দেশে ফিরে দেশের লোককে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করতে বলো। ভারত স্বাধীন হবে এবং কিছুদিনের মধ্যেই।’ লেখক দাবি করেছেন, ‘এই বইটি লেখার জন্য গবেষণার প্রয়োজনে তিনি দুর্ঘটনা-এলাকায় প্রথম যান। এদেশে অনেকে এখনও বিশ্বাস করেন, নেতাজি দুর্ঘটনায় মারা যাননি।’ লেখক পাকিস্তানে গিয়ে হবিবুর রহমানেরও সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।
মোদী সরকার জিএসটি ট্যাক্সের উপর উচ্চশিক্ষার জন্য সেস আদায় করছেন, যার ভাগ রাজ্যগুলি পায় না, সেই টাকা কেন জাতীয় গ্রন্থাগারের বই কেনা, ক্যাটালগিং করতে খরচ হবে না? পশ্চিমবঙ্গ থেকে যারা পার্লামেন্টের সদস্য/সদস্যা হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে জ্ঞানচর্চার সম্পর্ক খুব কম বলেই বিদেশে প্রকাশিত নেতাজি সম্পর্কে প্রশংসিত বইগুলি দেশের লোক পড়তে পারে না এবং আজগুবি চিন্তার জাবর কাটে।