• facebook
  • twitter
Monday, 31 March, 2025

সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরে আসা মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন মাইলস্টোন

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত মহাকাশচারী দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ অভিযানে গিয়েছেন ফিরে আসার স্বাস্থ্যের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলেছে।

ফাইল চিত্র

রতন ভট্টাচার্য

আট দিনের জন্য মহাকাশে গিয়ে ২৮৬ দিন আটকে রইলেন সুনীতা ঊইলিয়ামস আর বুচ উইলমোর। বিরাট প্রতীক্ষার পর ১৯শে মার্চ ভোর ৩.২৭ শান্ত অতলান্তিকে নিরাপদে অবতরণ সুনীতাদের। ১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রথম প্যারাসুট এবং দ্বিতীয় প্যারাসুট খুলে গেল। আর তার সঙ্গে উন্মোচিত হল মহাকাশ বিজ্ঞানে সাফল্যের এক নবদিগন্ত। পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতারা নয় মাস মহাকাশযাপনের পর।ইলন মাস্কের স্পেস X এর সহযোগিতায় এ অসম্ভব সম্ভব করল নাসা। ক্রু নয় উদ্ধার করে আনল নভোশ্চরদের। ফ্লোরিডার কাছে ড্রাগন ক্যাপসুল নামিয়ে আনল তাদের। অবতরণের শেষ পর্য়ায়ে নামার গতি ঘন্টায় দশ কিলেমিটার। নীল আকাশ থেকে সোজা নীল সমুদ্রে। মার্কিন নৌবাহিনীর সহায়তায় সমুদ্রের গভীর থেকে ক্যাপসুল বের করা হল। হাসিমুখে ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে এলেন সুনীতা সহ চার নভোশ্চর আর হাসি ফুটল সুনীতার গুজরাতের মেহসানা জেলার ঝুলসান গ্রামের পরিবারের সবার মুখে বিশ্বের সব মানুষের সঙ্গে। ভারতের সুনীতার নাম স্বর্ণাক্ষরে খচিত হল মহাকাশ গবেষণায়। আপাতত: বিশেষ চেয়ারে বের করে হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে রাখা হয়েছে সুনীতাদের। পৃথিবীতে ফিরলেও এখনই বাড়ি যাওয়া হবে না।সুনীতাদের প্রত্যাবর্তনে বিশ্বজুড়ে উচ্ছাস। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সুনীতাকে ভারতকন্যা বলে অভিহিত করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী খোলা চিঠি তে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

দেশবাসীকে গর্বিত করেছেন তিনি। ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ ও জানিয়েছেন সুনীতাকে। মহাকাশ বিজ্ঞানে নূতন মাইলস্টোন স্থাপনের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন ইলন মাস্ক এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যিনি নির্বাচনী প্রচারে কথা দিয়েছিলেন সুনীতাদের নিরাপদে ঘরে ফেরানোর।বোয়িংয়ের CST-100 স্টারলাইনার মহাকাশযানে করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) থেকে নভোচারী বুচ উইলমোর এবং সুনিতা উইলিয়ামসকে কীভাবে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা যায় তা বর্তমানে নাসা মূল্যায়ন করছে।শেষ অবধি ট্রাম্প সরকারের উদ্যোগে ইলন মাস্কের সহায়তায় এই রুদ্ধশ্বাস অভিযান সফল হল। ১৭ ঘন্টা যাত্রার পর মহাকাশ থেকে মর্ত্যে অবতরণের পর নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে দীর্ঘ দিন নানা শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলবে সুনীতাদের। তারপর সম্ভব হবে স্বাভারিক জীবন যাপন। নাসার কম্যান্ডার হিসেবে ২৮৬ দিনের সুমিতার এই বন্দিদশা মহাকাশ বিজ্ঞানের কি কি দিক উন্মোচিত করবে। তিনি ভারতকে গর্বিত করেছেন।মার্কিনমহাকাশচারী ও নৌবাহিনী কর্মকর্তা ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সালে জন্ম তার।সুনীতা উইলিয়ামসকে অভিযান ১৪ এবং অভিযান ১৫ এর সদস্য হিসাবে আন্তর্জতিক মহাকাশ স্টেশনে নিয়োগ করা হয়েছিল।২০১২ সালে তিনি অভিযান ২৯ এ এ ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার এবং তারপরে অভিযান ৩৩ এর কমান্ডার হিসাবে কাজ করেছেন।

২০২৪ সালে তিনি বোয়িং ক্রু ফ্লাইট টেস্টে যোগদান করেন, ২০২৪ সালে তিনি বোয়িং ক্রু ফ্লাইট টেস্টে যোগদান করেন,  সুনিতা ওহাইও –এর ইউক্লিডে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা দিপক পান্ডে, একজন ভারতীয়-আমেরিকান স্নায়ুতন্ত্রবিদ এবং মাতা উরসুলিন বনি পান্ডে। যিনি ম্যাসাচুসেটসর ফ্যালমাউথে বসবাস করেন। তিন সন্তানের মধ্যে তিনি হলেন সবার ছোট। তার ভাই জে থমাস চার বছরের বড় এবং তার বোন দিনা আনাদ তিন বছরের বড়। সুনিতার পিতার পরিবার ভারতের গজরাতের মেহসানা গ্রামের বাসিন্দা।সুনিতা ১৯৮৩ সালে নিডহাম হাই স্কুল থেকে স্নাতক হন। তিনি ১৯৮৭ সালে ইউনাইটেড স্টেটস নেভাল একাডেমি থেকে ভৌত বিজ্ঞানে ব্যাচেলর ফ সায়েন্স ডিগ্রি এবং ১৯৯৫ সালে ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।১৯৮৭ এর মে মাসে উইলিয়ামস যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল অ্যাকাডেমি থেকে উত্তীর্ন হয়ে ইউ এস নেভি তে একজন অ্যাসাইন হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ সালে তিনি নৌ-বায়ু সেনার পদ লাভ করেন এবং ১৯৯৩ এ নেভাল টেস্ট পাইলট স্কুল থেকে স্নাতক হন।জুন ১৯৯৮ এ নাসা কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে উইলিয়ামস অগাস্ট ১৯৯৮ এ তার প্রশিক্ষণ শুরু করেন।

[১] তার মহাকাশচারী প্রার্থির প্রশিক্ষণের অন্তর্গত ছিল, পারিপার্শ্বিকের উপর উপদেশাবলী ও ভ্রমণ এবং অসংখ্য বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উপদেশাবলী, শাটেল (অল্প সময়ের ব্যবধানে চলাচলকারী যান) ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের নিয়মাবলীর উপর গভীর নির্দেশিকা, শারীরবৃত্তিয় প্রশিক্ষণ ও গ্রাউন্ড স্কুলে টি-৩৮ উড়ানোর প্রশিক্ষণ এবং জল ও নিঃসঙ্গ স্থানে জীবন-রক্ষার উপায়ের প্রশিক্ষণ প্রভৃতি। তিনি এনইইমো অভিযানের একজন কুশলী সদস্য ছিলেন এবং জলতলে জলজ প্রানির বাসস্থানে ২০০২ সালের মে মাসে ন’দিন কাটান।ভারতে তার পৈতৃক গ্রাম ঝুলসান পরিদর্শন করার সময় তিনি ওয়ার্ল্ড গুজরাটি সোসাইটি দ্বারা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিশ্ব প্রতিভা পুরস্কারে ভূষিত হন, ।ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ব্যক্তি যিনি এই পুরস্কার প্রদানের জন্য ভারতীয় নাগরিক ছিলেন না। ২০০৭ সালে ৪ অক্টোবর তিনি আমেরিকান দূতাবাস স্কুলে বক্তৃতা করেন।২০২০ সালের কোভিড -১৯ মহামারি চলাকালীন ভারতের দূতাবাস, ওয়াশিংটন, ডিসি- তে স্টুডেন্ট হাব দ্বারা আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল সাক্ষাত্কারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০০,০০০ এরও বেশি ভারতীয় এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ছাত্রদের সম্বোধন করেছিলেন তিনি সুনিতা সোসাইটি অফ এক্সপেরিমেন্টাল টেস্ট পাইলটের সদস্য।পেয়েছেন নৌবাহিনীর প্রশংসা পদক,নৌবাহিনী ও মেরিন কর্পস অ্যাচিভমেন্ট মেডেল,মানবিক সেবা পদক,নাসার স্পেসফ্লাইট মেডেল, “মহাকাশ অনুসন্ধানে যোগ্যতার জন্য” , রাশিয়া সরকার (২০১১)র পদক।ভারত সরকার ২০০৮ সালে দিয়েছে পদ্মভূষণ সম্মাননা। অনারারি ডক্টরেট পেয়েছেন গুজরাট টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৩ সালে।।মেধার জন্য, স্লোভেনিয়া সরকার দিয়েছিল ২০১৩ গোল্ডেন অর্ডার আর ভারত থেকে এসেছিল সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিশ্ব প্রতিভা পুরষ্কার।

এখন সবচেয়ে বেশী চিন্তার বিষয় সুনীতাদর শারীরিক সুস্থতা। জার্নাল অফ স্পেস মেডিসিনে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, মহাকাশে দীর্ঘ সময় যে সকল মহাকাশচারীরা কাটিয়েছেন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেই গিয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। গবেষকরা মহাকাশ অভিযানের আগে এবং পরে নভোচারীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সেটি বিশ্লেষণ করেছেন। দেখা গিয়েছে মহাকাশচারীদের শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। এই কোষগুলি মানবদেহে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। কম মাধ্যাকর্ষণের কারণে মহাকাশচারীদের ইমিউন সিস্টেমের স্বাভাবিক ফাংশন প্রবাবিত করে। যার কারণে ঠান্ডা ও ফ্লুর মতো রোগে আক্রান্ত হতে হয় মহাকাশচারীরা। তার কারণেই পৃথিবীতে ফিরে আসার পরেও, মহাকাশচারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায় বলে তিনি মনে করেন। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে মহাকাশ ভ্রমণে মহাকাশচারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে৷

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত মহাকাশচারী দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ অভিযানে গিয়েছেন ফিরে আসার স্বাস্থ্যের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলেছে। জার্নাল অফ স্পেস মেডিসিনে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, মহাকাশে দীর্ঘ সময় যে সকল মহাকাশচারীরা কাটিয়েছেন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেই গিয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। গবেষকরা মহাকাশ অভিযানের আগে এবং পরে নভোচারীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সেটি বিশ্লেষণ করেছেন। দেখা গিয়েছে মহাকাশচারীদের শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। এই কোষগুলি মানবদেহে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। কম মাধ্যাকর্ষণের কারণে মহাকাশচারীদের ইমিউন সিস্টেমের স্বাভাবিক ফাংশন প্রবাবিত করে। যার কারণে ঠান্ডা ও ফ্লুর মতো রোগে আক্রান্ত হতে হয় মহাকাশচারীরা। তার কারণেই পৃথিবীতে ফিরে আসার পরেও, মহাকাশচারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়।কল্পনা চাওলার কথা আজ খুব মনে পড়ছে।তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান নভোচারী এবং মহাকাশে প্রথম ভারতীয় মহিলা।২০০৩ সালে চাওলার দ্বিতীয় ফ্লাইট ছিল STS-107, যা কলম্বিয়ার শেষ ফ্লাইট ছিল। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৩ তারিখে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময় মহাকাশযানটি ভেঙে পড়লে মহাকাশযানটি বিধ্বস্ত হয়ে মারা যাওয়া সাতজন ক্রু সদস্যের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন।এরকম কোন দুর্ঘটনা এবার ঘটেনি তার মূল কারণ অতীতের ভুলগুলো আর না করা এবং অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন। তবে ভারতীয় কন্যা সুনীতার মহাকাশ অভিযানের সাফল্য ভারত ও আমেরিকার যৌথ সহায়তায় এখন আরো বেশী উৎসাহ যোগাবে।সাধারণ মানুষরাও মহাকাশ গবষণাতে আকর্ষণ হচ্ছে।এখন মহাকাশে তৈরি হচ্ছে শক্তির নতুন এক বিন্যাস— আমেরিকা ও চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতা। কিন্তু মহাকাশ অন্বেষণের যে চাহিদা তৈরি হয়েছে, এই দুটো পরাক্রমশালী দেশও নিজেরা এককভাবে এই কাজ করতে পারবে না। এর আগে প্রযুক্তিগতভাবে চ্যালেঞ্জিং এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল নানা লক্ষ্য তুলে ধরা হয়েছে, বলা হয়েছে আগামী ১০ বছরের মধ্যে অন্য গ্রহে মানুষের বসবাস ও কাজ করার কথাও— কিন্তু বিভাজিত এই বিশ্বে, যেখানে আন্তর্জাতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে, সেখানে এই স্বপ্ন বাস্তবসম্মত নয়। আর্টেমিস কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নাসার চাঁদে প্রত্যাবর্তনের অভিযান শুরু হয়েছে। এর তিনটি মিশনের প্রথমটি শুরু হয়েছে সফলভাবে।

মানব-বিহীন এই ফ্লাইট দেখিয়ে দিয়েছে রকেট এবং প্রযুক্তি ঠিকভাবেই কাজ করছে।ভারতে মহাকাশ অভিযান ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা বিভিন্ন সফল মিশনের মাধ্যমে মহাকাশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, যেমন চন্দ্রযান, গগনযান এবং অন্যান্য উপগ্রহ প্রোগ্রাম। ১৪ জুলাই ২০২৩ য়ে চন্দ্রযান-৩ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে LVM3 M4 দ্বারা উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এর মূল বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্য হল চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ অবতরণ এবং ঘোরাফেরা করার ক্ষেত্রে এন্ড-টু-এন্ড ক্ষমতা প্রদর্শন করা। ৩০শে ডিসেম্বর ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের নেলোর জেলার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ভারতীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ লঞ্চ করা হয়েছে ‘স্পেডেক্স’ মিশন। এই ‘স্পেডেক্স’ অর্থাৎ স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্টের উদ্দেশ্য হলো মহাকাশযানকে ‘ডক’ এবং ‘আনডক’ প্রযুক্তির বিকাশ এবং প্রদর্শন। এর মানে হচ্ছে, পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান দু’টো মহাকাশযানকে সংযুক্ত করা বা ডকিং এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করা বা আনডকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যে প্রযুক্তি, তারই বিকাশ। এ অভিযান সফল হলে ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে এই গুরুত্বপূর্ণ অথচ জটিল প্রযুক্তি রপ্তকারী দেশ হবে। এর আগে কেবল রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন এ প্রযুক্তি আয়ত্ত করেছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দীর্ঘমেয়াদী মানব মহাকাশ অভিযান সহ মহাকাশ অনুসন্ধানে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালকে “মার্কিন-ভারত বেসামরিক মহাকাশ সহযোগিতার জন্য অগ্রণী বছর” হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। এক কথায় মহাকাশ বিজয়ের নানা উদ্যোগে উৎসাহের নূতন জোয়ার আনল সুনীতাদের সফলভাবে ঘরে ফেরা।