• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

ফের লকডাউনের পথে

ইউরােপের দেশগুলি আবারও করােনা সংক্রমণের বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন। আবারও নতুন করে বিভিন্ন দেশে লকডাউনের মতাে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কায়েমের দিকেই ঝুঁকছে।

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

ইউরােপের দেশগুলি আবারও করােনা সংক্রমণের বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন। আবারও নতুন করে বিভিন্ন দেশে লকডাউনের মতাে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কায়েমের দিকেই ঝুঁকছে। দীর্ঘ ছয় মাস আর্থিক বন্ধ্যা অবস্থার পর যখন আর্থিক কার্যকলাপ একটু একটু করে শুরু হচ্ছিল তখনই এমন ভয়ের আবহ তৈরি হল।

করােনার সঙ্গে যেন আর্থিক কার্যকলাপের একটা বৈরী সম্পর্ক রয়েছে । ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম তাদের দেশে ইতিমধ্যেই আর্থিক কার্যকলাপের মন্দার কারণে আয় যেমন একদিকে কমেছে, তেমনই চিকিৎসার খরচ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডের লন্ডন সংলগ্ন এসেক্স জনবহুল এলাকা হিসেবে সেখানে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ তাদের আত্মীয়দের সঙ্গেও তাদের বাড়ি গিয়ে বা কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানে মিলিত হতে পারবেন না। ম্যাঞ্চেস্টারেও চরম সতর্কতা জারির জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ফলে এলাকার যাবতীয় পানশালা ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষকে বাইরে যেতে নিষেধ করা হবে। আর্থিক কাজ বন্ধের ফলে সেখানকার দরিদ্র মানুষ একেবারে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্রান্সে নিয়ন্ত্রণ দৃঢ়করার অর্থ হল প্যারিস এবং অন্যান্য শহরে রাতে কার্ফু বলবৎ করা।

বেলজিয়ামে ইতিমধ্যেই চার সপ্তাহের জন্য সকল কাফে ও রেস্তোরাঁ বান্ধের নােটিশ জারি হয়েছে। বেলজিয়ামের উপ প্রধানমন্ত্রী জর্জেস গিলকিনেট জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যের পক্ষে অবস্থা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সে কারণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই তা রক্ষার জন্য প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। ইউরােপ মহাদেশের মধ্যে ইউকে তে করােনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা সব থেকে বেশি। এখন সেখানে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা পনেরাে হাজারের বেশি।

ফ্রান্সের অবস্থা আরও সঙ্গীন, সেখানে প্রতিদিন ত্রিশ হাজারের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ে বিগত সপ্তাহে। ফ্রান্সে রাতের কারফিউ মানুষের মধ্যে তেমন বিরক্তির কারণ হয়নি কারণ তার আগে পর্যন্ত পানশালা বা কাফেতে যাতায়াতের সুযােগ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এমন আংশিক নিয়ন্ত্রণের ফলে সংক্রমণ কত হারে বাড়ছে তা ভবিষ্যৎই বলবে। বিশেষত ফ্রান্সে বরিষ্ঠ নাগরিকদের মধ্যে সংক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি। ফ্রান্সের স্বাস্থ্য দফতর থেকে সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে। ঘরে আবদ্ধ থাকা বয়স্ক মানুষদের প্রতি। ফ্রান্সের অধিকাংশ মানুষই কন্টেনমেন্ট জোনের পক্ষে এবং অধিকাংশ মানুষই রাতের কারফিউ বলবতের পক্ষে। অবস্থার উন্নতি না হলে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লকডাউন জারি করা হতে পারে, ফলে ফ্রান্সের আর্থিক ক্ষতি চরম আকার নিতে বাধ্য বলে প্রশাসনের পক্ষে মন্তব্য করা হয়েছে। তবে এমন অবস্থাতেও ফ্রান্সে মানুষের ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়নি। এর ফলে দলে দলে মানুষের ঢল নামবে শহরে বা সমুদ্র তটবর্তী শহরগুলিতে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।