নেপালের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েমের দাবি ও আচনা যতটা বেশি। আগ্রহ দেখিয়েছে তা কায়েমের ফলিত ক্ষেত্রে তেমন দক্ষতা প্রদর্শনে সম ব্যর্থ হয়েছে। নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি শাসক দলকেই সে দেশের নির্বাচন কমিশন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার কারণে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে এনসিপি’র প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে অপসারণের পর কে জিতল কে হারল তার কোনও হিসেব রাখাই অনর্থক।
ইতিমধ্যেই ওলি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা প্রয়োগ করে সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা ঘােষণা করেছেন, কিন্তু সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর সংসদ বা প্রতিনিধি সভা ভেঙে দেওয়ার কোনও ক্ষমতাই দেওয়া হয়নি। ফলে সাংবিধানিক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রশাসনিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন শাসক উভয় কমিউনিস্ট পার্টিকেই কোনও স্বীকৃতি দিতে রাজি নয়, কারণ তারা কোনও সাংবিধানিক প্রক্রিয়াই পালন করেনি। ফলে নেপালে যে দলের শাসন চলছে তার কোনও অক্তিত্বই নেই। দলটি সরাসরি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে দুই দলের দুই চেয়ারম্যান ওলি ও প্রচণ্ড। এর আগে প্রচণ্ড দলের চেয়ারম্যানের পদ থেকে কেপি শর্মা ওলিকে অপসারণ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাধবকুমার নেপালকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। এখন দল ওলিকে দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও নির্বাসিত রার কথা ঘােষণা করেছে।
এদিকে প্রচণ্ড তাদের গােষ্ঠীকেই কার্যকরী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, কারণ দলের সম্পাদক মন্ডলীর, স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং সেন্ট্রাল কমিটির সমর্থন তাদের দিকেই রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে দুই গােষ্ঠীর কোনও গােষ্ঠীয় এই মুহুর্তে দলের সংবিধানে। কোনও সংশােধন পরিবর্তন বা খাতায় কলমে কোনও পবির্তন করতে পারবে-যেমনটি দুই বিমান এনসিপি দলের দুই গােষ্ঠী দাবি করছে। এখন দলটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওলি প্রতিনিধি সভা ভেঙে দেওয়ার কথা ঘােষণা করে এবং পরবর্তী অন্তবর্তীকালীন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘােষণা করার মলে।
আগামী ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে পরবর্তী নির্বাচনের দিনও ওলি ঘােষণা করেছেন। নেপালে কমিউনিস্ট আন্দোলন শাসন ক্ষমতায় আসার পর চরম অস্বস্তিকর অবস্থা মুখােমুখি হয়েছে। এখানে কোনও আদর্শগত বিরােধ নেই। কেবল ব্যক্তিগত মান অভিমানের পালা চলছে। এর ফলে সরকার ও পার্টি উভাই অভিনিতায় ভুগছে। নেপালে এমন ব্যক্তির মান সম্মান নিয়ে দড়ি টানাটানি আমেরিকার। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তুলনা করা চলে।
নেপালে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত র্যাতি বেরি কেন এনসিপি’র বিভক্ত গােষ্ঠী প্রচন্ডর সঙ্গে সােমবার মার্কিন প্রশাসনের পছন্দের বিষয়গুলি নিয়ে আলােচনা করলেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নের ঝড় উঠেছে। আর নেপালের এমন চরম সাংবিধানিক অস্থিরতার মধ্যে প্রচণ্ডর সঙ্গে আলােচনার ফলে তা বিভিন্ন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত বহন করছে।
বেরি আলােচনার পর টুইট করেছেন, যে নেপালের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা মজবুত করার জন্য আমেরিকা যথাসাধ্য চেষ্টা করবে, আবহাওয়ার পরিবর্তনঃ মহিলা ও শিশু কন্যাদের অধিকার রক্ষায় তাদের সহযােগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। ২২ জানুয়ারি বেরি প্রধানমন্ত্রী ওলির সঙ্গেও দেখা করেন। সেখানেও তিনি মার্কিন প্রশাসনের অগ্রাধিকারভুক্ত বিষয়গুলি অকাত করেন। তবে নেপালে কোনও প্রশাসনই নেই এই মুহূর্তে।