বাংলাদেশের ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ গণ আন্দোলন নিয়ে বিদেশভূমে বোমা ফাটালেন মুহাম্মদ ইউনূস

ফাইল চিত্র

বরুণ দাস

বাঙলাদেশে কোটা (কথান্তরে বৈষম্য) বিরোধি ‘স্বতঃস্ফূর্ত গণ-আন্দোলন’ নিয়ে এ যাবৎ অনেক লেখালেখি হয়েছে। বাঙালি তথা একই ভাষাভাষির মানুষ বলে এপার বাংলায়ও ওই ‘স্বতঃস্ফূর্ত গণ-আন্দোলন’-এর স্বপক্ষে লেখালেখির পাশাপাশি মিটিং-মিছিলও হয়েছে। কলকাতার রাজপথে নেমেছেন কতিপয় বাম ও অতিবাম রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ, সুতরাং ওপার বাংলার ঘটনাবলীর প্রভাব এপার বাংলায় পড়াটাই খুব স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিক পথ ধরেই কিছু বিভ্রান্তির স্বরলিপিও তৈরি হয়েছিল।

যার বাংলাদেশের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভালোভাবে জানেন না, কেবল বইপত্রের মধ্যেই জেনেছেন কিছুটা, তাঁরা স্বভাবতই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন ওই ছাত্র-আন্দোলনে। যারা শুধু বহান্ন’র ভাষা আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীদের গৌরবময় ভূমিকার কথা জানেন, বর্তমান বাঙলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে ততোটা খোঁজ-খবর রাখেন না-তাঁদের পক্ষে হয়তো কোটা (কথান্তরে বৈষম্য) বিরোধি গণ-আন্দোলনের পশ্চাৎপট অনুধাবন করাটা সহজ হয়নি। তাই ওদেশের ছাত্রছাত্রীদের রাজপথে নেমে পড়ার ঘটনায় প্রভাবিত হয়েছিলেন।


এরা রাতরাতি শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সরকারকে ফ্যাসিস্ত আখ্যা দিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। মিডিয়া ট্রায়েলের মুখোমুখি হয়েছিলেন হাসিনা সরকার। এরা জিয়ায়ুর রহমান, হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ কিংবা বেগম খালেদা জিয়া সরকারের হালহকিকৎ নিয়েও অস্পষ্ট ধারণার বশবর্তী ছিলেন একথা নিশ্চিত। বিশেষ করে বিএনপি-র বেগম খালেদা জিয়া সরকারের অন্যতম উগ্র সাম্প্রদায়িক দোসর জামায়েত ইসলাম সম্বন্ধেও তেমন ওয়াকিবহাল নন। তাই আওয়ামি লিগের হাসিনা সরকারকেও একই পঙক্তিতে ফেলেছিলেন।

একথা ঠিক, পরপর তিনদফায় একচ্ছত্রভাবে সরকারে থেকে হাসিনা সরকার কিছুটা ডি-রেলড হয়েছিল। বিশেষ করে হাসিনা মন্ত্রিসভার কতিপয় সদস্য এবং সংগঠন তথা আওয়ামি লিগের নানাস্তরের নেতারা। শাসকদলের প্রথম সারির নেতা ওবায়েদুল কাদের সহ বেশ কিছু নেতা-মন্ত্রীর কথাবার্তা, আচার-আচরণ এবং সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট দেখে (বিশেষ করে ফেসবুকে আর ইন্সট্রাগাম) মনে হচ্ছিল এরা বোধহয় বরাবরের জন্য শাসন ক্ষমতায় এসেছেন; কোনওদিন ট্রেজারি থেকে বিরোধি বেঞ্চে বসবেন না।

দীর্ঘদিন শাসন ক্ষমতায় থাকলে যেকোনও শাসকদলেরই তাই হয়। এদেশে একসময় জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের হয়েছিল। এ রাজ্যে সিপিএমেরও হয়েছিল; এখন তৃণমূল কংগ্রেসে আচার-আচরণ দেখে অনেকের তাই মনে হচ্ছে নিশ্চিত। বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রাসী আচরণের মধ্য দিয়ে এরা সেকথাই প্রমাণ করতে ব্যস্ত। কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবেই। চৌত্রিশ বছরের মৌরসিপাট্টা ভেঙে চুলমার করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসে। কিন্তু তিন দফায় শাসন ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসকে সরানোর অবস্থায় নেই বিরোধিরা। হয়তো ভবিষ্যতে তৈরি হবে নিশ্চিত এবং গণতন্ত্রের পথ ধরে তারাও একদিন না-একদিন ট্রেজারি থেকে বিরোধি বেঞ্চে বসবেন। এর অন্যথা হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ পরিবর্তনই সময়ের ধর্ম। এই বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা আমাদের কারও নেই। যদিও শাসকেরা শাসনের সুরমা চোখে লাগিয়ে একথা ভুলে যান। কিন্তু তাঁদের ভুলের মাসুলও গুণতে হয় কড়ায়গন্ডায়। যেমন গুণচ্ছেন সিপিআই (এম)-এর মতো একটি সুসংগঠিত রেজিমেন্টেড দল। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তাঁরা প্রায় হারিয়ে (নাকি বিলুপ্তি হয়ে) যাওয়ার মুখে।
এ রাজ্যের বিধানসভায় তাঁদের কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই। নেই লোকসভাও। এককালের দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী দলের এই সকরুণ পরিণতির কথা কে ভেবেছিলেন? বাঙলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ সরকারও ভাবতে পারেনি তাঁদেরও একদিন ক্ষমতা ছেড়ে চলে যেতে হবে। আর ভাবেননি বলেই স্বজনপোষণ-দুর্নীতি-বিরোধিদের অবজ্ঞা সহ সাধারণ মানুষের প্রতি ঔদাসিন্য দেখাতে পিছপা হয়নি। শুধু তাই নয়; শাসন ক্ষমতা ধরে রাখার তীব্র বাসনায় তলে তলে উগ্র মৌলবাদিদের তোল্লা দিতেও দেখা গেছে।

বিরোধিহীন নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে। তাঁরা ভেবেছিল এভাবেই বুঝি কাটিয়ে দেওয়া যাবে। দিনগুলি। দিনে দিনে ক্ষোভ বাড়ছিল সাধারণ মানুষের মনে। তাঁরা সাত-পাঁচ না ভেবে এই আওয়ামি-শাসন থেকে আপাত মুক্তি চেয়েছিলেন এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ‘মুক্তি’ পেতে গিয়ে যে দেশকে চূড়ান্ত নৈরাশ্য আর অরাজকতার মধ্যে ফেলে দেওয়া হবে তা নিশ্চয় বুঝতে পারেননি। বুঝতে পারলে বোধহয় ‘জন-জাগরণ’-এ ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ সাড়া দিতেন না। ছাত্রছাত্রীদের কোটা-বিরোধি আন্দোলনে পা মেলাতেন না।

এখন প্রশ্ন হল, ছাত্রছাত্রীদের কোটা-বিরোধি বা বৈষম্যবিরোধি আন্দোলন কী সত্যিই ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ গন-আন্দোলন ছিল? নাকি এর আড়ালে ছিল এক পরিকল্পিত আন্দোলন যে আন্দোলনের দ্বারা দেশের আওয়ামি শাসকদের ক্ষমতাচ্যুত করা হবে? বিশেষ করে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদকে শুধু পদচ্যুতই নয়, দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার সুপরিকল্পিত বন্দোবস্থ? মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর একথাই বাঙলাদেশের মানুষের মনে জেগেছে। সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনূস।

কী সেই জবাব? সম্প্রতি (২৮ সেপ্টেম্বর ’২৪) আমেরিকার নিউ ইয়র্ক সফরে গিয়ে ক্লিন্টন গ্লোবাল ফাউন্ডেশন-এর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ সরকারকে উৎখাতের আন্দোলন নিয়ে হাটে হাড়ি ভেঙেছেন তিনি। কোনও রাখঢাক না রেখেই তিনি ছাত্রছাত্রীদের এই ‘স্বতঃস্ফূর্ত গণ-আন্দোলন’কে এক ‘পরিকল্পিত পদক্ষেপ’ বলে স্বীকার করেছেন এবং এই আন্দোলনের ‘নেপথ্যের মূল মস্তিষ্ক’কে তিনি প্রকাশ্য মঞ্চে ডেকে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়। আরও আছে।

যেমন তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া দুই সাংবাদিককেও মঞ্চে ডেকে নিয়েচেন আমেরিকা সফরের ঠিক আগে যাদের নিয়োগ করা হয়েছে ইউনূসের সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে। এরা হলেন সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলি। এই দুই সাংবাদিকের প্রধান ভূমিকা ছিল—সে সময়ে বেশ কিছু সংবাদপত্রে নানা অসত্য খবর ও গুজব প্রকাশিত হয়েছে যা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের জ্বালামুখকে দারুনভাবে উস্কে দিয়েছে। ইউনূসের কথা অনুযায়ী যা ছিল ‘পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান অংশ!’

উল্লেখ্য, কোট-বিরোধি আন্দোলনকে সরকার উচ্ছেদের এক দফার আন্দোলনে পরিণত করা, মৌলবাদি ও জঙ্গি শক্তির তাতে অংশগ্রহণ থেকে অনেকেই দাবি করেছিলেন-নিষিদ্ধ ইসলামি ছাত্রশিবির ও হিমবুত তাহরীরের নেতৃত্বে এই আন্দোলন হয়েছে। এখানে স্বতঃস্ফূর্ততার কোনও জায়গা নেই। এটা গণ-আন্দোলনও নয়। নয় জন-জাগরণও। এটা আসলে হাসিনা সরকারকে উচ্ছেদের এক সপরিকল্পিত পদক্ষেপ। যেখানে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে। আমেরিকা আর পাকিস্তানের আছে সরাসরি মদত এবং নেপথ্যে আছে রহস্যময় চিন।

বাঙলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের প্রধান সহকারী হলেন আন্দোলনের ‘নেপথ্যের মস্তিষ্ক’ মহফূজ আলম। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের অন্যতম প্রধান নেতা। যারা ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ আন্দোলন বলে এক আখ্যায়িত করেছিলেন, তাঁরা এখন সম্ভবতঃ মাথা চুলকোতে ব্যস্ত! বাঙলাদেশকে যারা ইসলামিকরণে বিশেষভাবে আগ্রহী, তাঁদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। গণতান্ত্রকে মুছে দিয়ে যারা শরিয়তিকরণ চাইছেন-তাদেরকে একত্রিত করেছেন বাঙলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস।

এবার তাঁর লক্ষ্য দেশের প্রেসিডেন্টের পদ। তাই বর্তমান প্রেসিডেন্ট সরাতেও মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। ছাত্রছাত্রীদের উসকে দিয়েছেন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে। ছাত্রছাত্রীদের আড়ালে একদল মৌলবাদি ইতিমধ্যে রাজপথে নেমে পড়েছেন। তাঁদের শ্লোগান হল—‘প্রেসিডেন্টের অপসারণ চাই।’ গোটা দেশজুড়ে চরম নৈরাজ্য আর অরাজকতার যেটুকুও বাকি ছিল সেটুকুও পূরণ করতে চান তিনি ও তাঁর উপদেষ্টা-সাগরেদরা! এভাবেই পরিকল্পিত পথে এগোচ্ছেন একদা ‘সুদের কারবারি’ মুহাম্মদ ইউনূস।

এই আন্দোলনকে ঘিরে বহু ছাত্র যেমন মারা গিয়েছে, তেমনি বহু পুলিশ-কর্মীও মারা গিয়েছেন যাদের সঠিক হিসেব কেউ জানে না। দু’পক্ষের এই মৃত্যুই সমান বেদনাদায়ক। এই বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ আর মৃতদেহের পাহাড় নির্মাণও কী তাহলে ‘পরিকল্পিত পরিকল্পনা’র ফসল? জেল ভেঙে কুখ্যাত জঙ্গি ও জেহাদিদের মুক্ত করাটাও? এমন কি, ভারতীয় দূতাবাসের সংস্কৃতি কেন্দ্রে আগুন দিয়ে লুটপাটের ছকও? অথচ এই ধ্বংসাত্মক আন্দোলনকে আড়াল করার জন্য মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে অনেক দেশাত্মবোধক গানটানও গাওয়া হয়েছে।

এবার একটি প্রশ্ন তুলে এই প্রতিবেদনের ইতি টানা যাক। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রাক্তন সেনাকর্তা এম সাখাওয়াত হোসেন সরেজমিন তদন্তের পর বলেছিলেন, নিহতদের অধিকাংশের দেহ থেকে যে বিশেষ ধরনের বুলেট মিলেছে, তা পুলিশ ব্যবহার করে না। এমন বুলেটে নিহতের সংখ্যা পুলিশের বুলেটে নিহতের চেয়ে বেশি! আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নেটোর ব্যবহৃত এই বিপুল পরিমাণ বুলেট কী ভাবে বাহলাদেশে এলো এবং কারা ব্যবহার করে এতো খুন করল-তা কিন্তু রীতিমতো রহস্যের ব্যাপার। এই রহস্যের তদন্ত করতে নারাজ ইউনূস সাহেব।

বরং বুলেট-কাণ্ড নিয়ে অপ্রিয় প্রশ্ন তোলার জন্য এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে গুরুত্বহীন এক দফতরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমেরিকায় দাঁড়িয়ে আমেরিকান-পন্থি ‘সুদের করাবারি’ মুহাম্মদ ইউনূস যখন দ্বিধাহীন কণ্ঠে গর্ব করে বলেন, ‘আন্দোলনের প্রতিটি বাঁক ও পথ পূর্ব পরিকল্পিত’-তখন আমাদের বুঝতে আর বাকি থাকে না যে, হাসিনা সরকারকে হাটিয়ে বাঙলাদেশে ‘পুতুল সরকার’ বসানোই আমেরিকার একমাত্র লক্ষ্য ছিল। যে সরকার পাকিস্তানেরও পছন্দের হবে। এমন কি, ভারত-বিদ্বেষী চিনেরও। যাতে ভারতকে বেগ দিতে সুবিধে হয়। না, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’-বিরোধিদের সমালোচনা নয়, আওয়ামি লিগের দোষারোপ-খোদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবই হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছেন বিদেশ-ভূমে দাঁড়িয়ে। শাহরিয়ার কবিরের মতো প্রবীণ মানবতাবাদি সমাজকর্মী মানুষকে মিথ্যে মামলায় গ্রেপ্তার করে করাগারে বন্দি করা হয়েছে। ধর-পাকড় চলছে স্পষ্টকথার মানুষজনদের। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর চরম নির্যাতন চলছে-অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস নিশ্চুপ! এরপরও কী আমাদের চেতনার সামান্যতম উন্মেষ ঘটবে না?

জাতীয় সংগীত থেকে জাতীয় পতাকা, সংবিধান থেকে জাতির জনকের পরিবর্তনের কর্মকাণ্ড চলছে। বাঙলাদেশের মানুষ কী এরপরও জাগবেন না? অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ‘সুদের কারবারি’ মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রেসিডেন্টের পদে বসিয়ে বাঙলাদেশকে উচ্ছন্নে দেওয়ার বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করবেন? ভারত-বিরোধিতার নামে গোটা দেশজুড়ে যে নিম্নরুচির আস্ফালন চলছে, তাকে অবিলম্বে কড়া হাতে লাগাম পরাতে না পারলে ওই দেশের ক্ষতি কেউ রুখতে পারবেন না একথা বলাই বাহুল্য। বাঙলাদেশ কি সে পথের দিকেই এগুচ্ছে?