• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা

সম্প্রতি দু'টি সংবাদ পরিবেশনকারী টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে মুম্বই চলচ্চিত্র শিল্পকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে এই অভিযােগে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দিল্লি হাইকোর্ট (File Photo: IANS)

সম্প্রতি দু’টি সংবাদ পরিবেশনকারী টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে মুম্বই চলচ্চিত্র শিল্পকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে এই অভিযােগে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা করার প্রধান উদ্দেশ্য হল পরিবেশনযােগ্য সংবাদের মান রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙানাে। এই ধরনের আক্রমণাত্মক সংবাদ পরিবেশনে বিরত করার জন্যই সংশ্লিষ্ট পর্ষদের প্রতিষ্ঠা। 

এনবিএসএ সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নীতি এবং সম্প্রচারের মান নিরপেক্ষ ও যথাযথ করার জন্যই কোনও মানহানিরকর ও বিচারাধীন সংবাদ এড়িয়ে চলা, নিরপেক্ষতা বজায় রাখা, কোনও অভিযােগকে ঘটনা হিসেবে না প্রচার করা বা অভিযােগ অপরাধ হিসেবে প্রচার না করা। কোনও অপরাধমূলক বা হিংসাত্মক ঘটনা সম্প্রচারকালে অরুচিকর কোনও দৃশ্যের অবতারণা না করা বিশেষত ‘আত্মহত্যামূলক’ বা প্রতিবাদস্বরূপ হিংসাত্মকভাবে কোনও আত্মহননের চিত্র সম্প্রচারের সময়ে নির্দিষ্ট সীমা লঙঘন না করা। 

প্রথমত অধিকাংশ দর্শকই যাতে মূল্যায়ন করতে পারেন টেলিভিশন চ্যানেলগুলি নির্দিষ্ট নীতিগুলি মেনে চলবে এবং তারা কতটা নিরপেক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট সংবাদ সম্প্রচার করছে, বা অভিযােগকে তারা ঘটনা বলে চালাতে চাইছে কিনা বা তারা মানুষের সুস্থ ভাবনাকে অতিক্রম করছে কিনা সেটাই বিবেচ্য। দ্বিতীয়ত এনবিএসএর কাছে আরও ভয়ের কারণটি হল চলচ্চিত্র শিল্পের মানুষ টেলিভিশনের স্বনিয়ন্ত্রিত নীতি নির্ধারক সংস্থার ওপর ভরসা না রেখে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

এনবিএসএ পরিচালন কমিটির প্রধান হিসেবে একজন অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারক এবং চারজন অবসরপ্রাপ্ত আমলা সদস্য হিসেবে রয়েছেন। পর্ষদে টেলিভিশন চ্যানেলের চারজন প্রতিনিধিও রয়েছেন। এনবিএসএ নির্ধারিত ক্ষমতাবলে নির্দিষ্ট নীতি লঙঘনের বিষয়ে তদন্ত করতে পারে, কিন্তু অধিকাংশ সময়েই তা করে না, অভিযােগ দায়ের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাকেই শ্রেয় বলে মনে করে তাদের কাজের বিচার শুরু করার পূর্বে। 

কিন্তু এনবিএসএ’র নিকট অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনও অভিযােগ জমা পড়ে না, কারণ গত জানুয়ারি মাস থেকে অর্থাৎ ন’মাসে সংস্থাটি কোনও অভিযােগের কিনারা করতে পারেনি। জানুয়ারি মাসে এনবিএসএ সরকারের অভিযােগের ভিত্তিতে এবং সরকারি ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকির পর সংস্থাটি চারটি অভিযােগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, তার মধ্যে একটি চ্যানেলে ধর্ষণের ঘটনা সম্প্রচারিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বাকিগুলির অভিযােগ নস্যাত করা হয়েছে।

এনবিএসএ’র সামনে হাজির করা তথ্য কতটা গুরুত্ব পেল সেটাই বিবেচ্য এবং টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির সংশ্লিষ্ট পরিষেবায় মদত দেওয়া অনেক সহজ স্বনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা কায়েমের থেকে। চলচ্চিত্র শিল্পের কাজকে বর্ণনা করতে গিয়ে ‘নেংরা’, ‘কেলেঙ্কারীযুক্ত এবং মাদকাসক্ত’ বা ‘কোকেন এবং এলএসডি নেশাযুক্ত’ বলা হয়েছে যা এখন আদালতের বিচারাধীন। প্রমাণ দাখিলের ক্ষেত্রে যে অসুবিধা তা বিবেচনা করেও আবেদনকারীদের পক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানাে হয়েছে। তবে বিবাদীপক্ষেরও এই লড়াইয়ে তাদের বক্তব্য পেশের অধিকার রয়েছে। তবে এনবিএস নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও আদালত তা এড়িয়ে যাবে না বলেই আশা।