প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গান্ধীজির সমালোচনা করা সহজ, কিন্তু তাঁকে উপেক্ষা করা কঠিন

গান্ধীজির আদর্শকে পাথেয় করে ‘গান্ধীগিরি’র আবেদন একালেও সমান সক্রিয়। তখন মনে হয়, গান্ধীজির প্রাসঙ্গিকতা আজও কত প্রাসঙ্গিক ও তীব্র আবেদনক্ষম। শুধু তাই নয়, আদর্শ পথ হিসেবে অহিংসার সফল রূপায়ণে গান্ধীজির অবদান ‘গান্ধীগিরি’তে সজীব ও সবুজ হয়ে ওঠে। যেন ‘গান্ধীগিরি’তেই গান্ধীজির উজ্জ্বল উপস্থিতি প্রবহমান। অথচ তাতে গান্ধীজিও নেই, গান্ধীবাদও সুদূরপরাহত। আসলে ছদ্মবেশের মধ্যে নিজেকে আড়াল করা যায়, আত্মগোপন একেবারেই নয়। হিংসাদীর্ণ সমাজজীবনে গান্ধীজির অহিংসার আদর্শের মোড়কের অন্তরালে সংগোপনে থাকা হিংসার দাঁতনখ আড়াল করা যায় না । সেক্ষেত্রে গান্ধীজির প্রাসঙ্গিকতা নয়, তাঁর অস্তিত্বের বিকারই প্রকট হয়ে ওঠে। তাঁর অতুলনীয় ব্যক্তিত্বের আলোয় তাঁকে বরণ করা যত সহজ, ধারণ করা ততই কঠিন। গান্ধীজি ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন, প্রতিষ্ঠান থেকে আদর্শ। সেই আদর্শেই তাঁর প্রকাশ আকাশ হয়ে ওঠে। ভারতবর্ষের সবচেয়ে প্রভাবশালী জনপ্রিয় জননেতাই নন, সারা বিশ্বজুড়ে ভারতীয় হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও আলোচিত ব্যক্তির নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (১৮৬৯-১৯৪৮)। নিজের নামে নয় পদবিতেই তাঁর বিস্ময়কর পরিচিতি। সেক্ষেত্রে তাঁর অবিসংবাদিত জনপ্রিয়তাই সেকথা স্মরণ করিয়ে দেয়। অন্যদিকে জনগণের মনে মহাত্মার স্বীকৃতি তাঁর প্রতি অপরিসীম শ্রদ্ধারই নামান্তর।

এদেশের জনগণনন্দিত জননেতা স্বাভাবিকভাবেই জাতির জনকের আসনে সমাসীন হয়েছেন। সেক্ষেত্রে পরাধীন ভারতবর্ষেই নয়, স্বাধীন ভারতেও গান্ধাজির অপরিসীম প্রভাব অত্যন্ত স্বাভাবিক। আবার সেদিক থেকেই একদিকে তাঁর প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত রাজনৈতিক বিরোধিতা ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে, অন্যদিকে গ্রহণযোগ্যতার অভাববোধে তাঁর প্রতি বিমুখতাও স্ববাকমূর্তি লাভ করেছে এবং নানাভাবে বিতর্কের পরিসরকে জিইয়ে রেখেছে যা আজও সমান সচল। সেক্ষেত্রে গান্ধীজির রাজনৈতিক আদর্শ ও সিদ্ধান্তের প্রতি তাঁর বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমালোচনার মধ্যেই তাঁর প্রভাব যেমন প্রাসঙ্গিকতা লাভ করে, তেমনই স্বাধীন ভারতে গ্রহণযোগ্যতার অভাববোধে তাঁকে অস্বীকার করার প্রবণতাও জেগে ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়, তাঁর জীবন ও আদর্শ কংগ্রেসের দলীয় পরিসরেই ব্রাত্য হয়ে পড়েছে। ক্ষমতাসর্বস্ব রাজনীতিতে তিনি যেভাবে আত্মত্যাগের মহিমায় ব্যবহৃত হয়ে থাকেন,সেভাবে প্রভাব জনজীবনে বিস্তার লাভ করেনি। সেখানে তাঁর মহত্ত্ব শ্রদ্ধাবনত করলেও প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তাঁকে ধারণ করার পরিচয় মেলে না বললেই চলে। অন্যদিকে তাঁর স্বয়ংসেবক শিক্ষাদর্শও স্বাধীন ভারতের শিক্ষাক্ষেত্রে উপেক্ষিত। সমাজে অস্পৃশ্যতা আজও প্রবহমান।

আবার সমাজের নিম্নবর্গের মানুষেরাও তাঁর হরিজন আন্দোলনে আস্থা খুঁজে পায়নি। সবদিক থেকেই গান্ধীজির মত ও পথের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে বলে মনে হতে পারে। তাঁর অহিংস আন্দোলনের পথ ‘গান্ধীগিরি’তে এসে ঠেকেছে, আত্মসুখপরায়ণ দেশবাসীর কাছে তাঁর সত্যাগ্রহের চেয়ে সুখাগ্রহ উগ্র হয়ে উঠেছে, তাঁর আত্মনির্ভরতার আদর্শ শুধু তাঁর জন্মদিনে প্রতীকী চরকা কাটায় টিকে আছে মাত্র। স্বাভাবিকভাবেই গান্ধীজির গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বলে অনেকের ধারণা। আপাতভাবে ভোগসর্বস্ব আধুনিকতায় গান্ধীজির আদর্শ অচল ও তাঁর জীবনাদর্শ কল্পিত মনে হলেও বাস্তবে কি তাই? একেবারেই না। সেক্ষেত্রে গান্ধীজির চিন্তাভাবনা ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বাস্তবতার অভাববোধে মতানৈক্য থেকে বিতর্কের পরিসর যেমন তাঁকে অমান্য করার প্রবণতায় ক্রমশ নিবিড় করে তুলেছে, তেমনই তাঁর গড়ে তোলা ব্যতিক্রমী জীবনাদর্শকে আত্মস্থ করার অক্ষমতা থেকে জীবিতকালেই অপ্রাসঙ্গিকতাবোধে অস্বীকারের প্রবণতা সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। সেদিক থেকে বাস্তবতার সঙ্গে কল্পনার দ্বন্দ্বে গান্ধীজির প্রাসঙ্গিকতা অচিরেই ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ তৈরি করে এবং সেই ধারা ক্রমশ বহমান।


আসলে আত্মত্যাগ ও আত্মসংযমের মহৎ আদর্শের সাধনায় গান্ধীজির স্বরচিত জীবন ও আদর্শ তাঁকে ক্রমশ উত্তরণের পথে সক্রিয় করেছিল। সেখানে তাঁর পথের পরিবর্তন ঘটেছে, কিন্তু স্বকীয় আদর্শে তিনি ছিলেন অবিচল ও অমলিন। স্মরণীয়, যেভাবে তাঁর জীবন উত্তরণের পথে সক্রিয় হয়েছিল, তা বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে বা প্রতিকূলতা জয় করার পথ নয়, রীতিমতো কঠোর থেকে কঠোরতর সাধনার শপথ। ‘গান্ধী’ কথাটির মানে ‘বেনিয়া’ বা ‘বেনে’। সেদিক থেকে বংশগৌরব শিক্ষা ও সাধনায় আভিজাত্যপূর্ণ না হলেও ভোগবিলাসে বনেদি পরিবারেই তাঁর জন্ম হয়েছিল। শুধু তাই নয়, গোঁড়া ধর্মীয় পরিবেশে গান্ধীজি বেড়ে উঠেছেন। তাঁর মা ছিলেন নিষ্ঠাবতী ধর্মপ্রাণা, পূজার্চনায় তাঁর অখণ্ড মনোযোগ। তাঁর বাবা ছিলেন গুজরাটের পোরবন্দর রাজ্যের দেওয়ান। সেদিক থেকে ধর্মীয় গোঁড়ামি আর ভোগবিলাসে স্বাচ্ছন্দ্য সবই তাঁর ভবিষ্যতের সাধক জীবন গড়ার অন্তরায়। অভাব মানুষকে যত চিন্তায় কর্মে সক্রিয় করে, প্রাচুর্য তেমন অলস ও কর্মবিমুখ গড়ে তোলে। অন্যদিকে ছাত্রজীবনে তেরো বছর বয়সেই তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী কস্তুরবাও ছিলেন সুযোগ্যা সহধর্মিণী। সবদিকেই তাঁর আনুকূল্য তাঁর উত্তরণের সহায়ক ছিল না।

অন্যদিকে পরিবারের জনৈক শুভানুধ্যায়ীর পরামর্শে উনিশ বছর বয়সে (১৮৮৭-র সেপ্টেম্বর) বিলেতে ব্যারিস্টারি পড়তে গিয়েছিলেন গান্ধীজি। প্রায় চার বছর বাদে দেশে ফিরে এসে রাজকোটের আইন ব্যবসা শুরু করলেও অসফল হন তিনি। ইত্যবসরে পোরবন্দরের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে তাদের শাখা অফিসের মোকদ্দমা পরিচালনার জন্য অনুরোধ আসে। ১৮৯৩-এর এপ্রিলে গান্ধীজি এক বছরের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যান এবং সেখানে তাঁকে ঘটনাপরম্পরায় বিশ বছরের বেশি সময় কাটাতে হয়। সেদেশে গান্ধীজির ঘটনাবহুল জীবনের অস্থিরতার মধ্যেই তাঁর পরিচিতি যেমন ছড়িয়ে পড়ে, তেমনই নতুন জীবনের উত্তরণের পরিসর ক্রমশ বিস্তার লাভ করে। তাঁর সেই অসাধ্যসাধনে একদিকে পরহিতে আত্মত্যাগ ও স্বকীয় উত্তরণে আত্মসংযম একই সঙ্গে প্রবাহিত।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশের ফেরার অনেক আগেই গান্ধীজি তাঁর জীবনাদর্শকে ‘হিন্দ-স্বরাজ’ (১৯০৯) বইয়ের মধ্যে মেলে ধরেন। বইটি ইংল্যান্ড থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সমুদ্রযাত্রায় দশ দিন ধরে গুজরাঠিতে লেখা। পরের বছর ১৯১০-এ তাঁর স্বকৃত ইংরেজি অনুবাদে প্রকাশিত হয়। এই বইটি শুধু গান্ধীবাদের আকর গ্রন্থই নয়, বিদেশেও উচ্চ সমাদৃত। বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি পড়ানো হয়। ২০১৮-র ২ অক্টোবরে গান্ধীজির সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে আনন্দবাজার পত্রিকায় উত্তরসম্পাদকীয়তে প্রকাশিত হয় শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপেশ চক্রবর্তী একটি নিবন্ধ। তাতে গান্ধীজির অপ্রাসঙ্গিকতার পাশাপাশি ‘হিন্দ-স্বরাজ’-এর অপরিসীম গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন লেখক। অথচ সেখানে গান্ধীজির চিন্তাভাবনা কতখানি বাস্তবসম্মত তা নিয়েও দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ১৯৪৫-এ স্বয়ং জওহরলাল নেহরুও যে গান্ধীজিকে পত্রালাপে তাঁর বইটিকে ‘সম্পূর্ণ অবাস্তব’ বলেছেন, সেকথাও দীপেশ চক্রবর্তী স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন । অথচ বইটির বাস্তব ভিত্তি যে ছিল, তা ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়ে ১৯১০-এ বাজেয়াপ্ত হওয়াতেই স্পষ্ট ।

অন্যদিকে গান্ধীজি তাঁর বইটির বাস্তবতায় আজীবন বিশ্বাসী ছিলেন। তাঁর সেই মতাদর্শ ফলপ্রসূ করার জন্যই তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে রাজনীতির মধ্যেই তাঁর জীনাদর্শ ক্রমশ প্রকট হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক আদর্শ নয়, জীবনাদর্শই তাঁর কাছে আরাধ্য ছিল। এজন্য রাজনৈতিক দিক থেকে গান্ধীজির ত্রুটিবিচ্যুতি বিচার করলে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর ভ্রান্তি বিভ্রান্তি চোখে পড়ে, সেইসঙ্গে তাঁর জীবনাদর্শ নিয়ে ভুল ধারণা বা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে তাঁর সত্যাগ্রহ শুধু রাজনৈতিক দিশা নয়, তা ব্যক্তিগত জীবনাদর্শও, জীবনের দিশারি। নিজের অস্তিত্বকে অবিকৃত ভাবে আত্মনিয়ন্ত্রণের পথে উত্তরণে নিরন্তর উৎকর্ষমুখর অনুশীলন করে সত্যে পৌঁছানোর সত্যাগ্রহেই গান্ধীজির জীবন আবর্তিত হয়েছে। তাঁর আত্মজীবনী ‘The Story of My Experience with Truth'(১৯২৫-২৯)-এ সেই সত্যযাপনের পরিচয় আপনাতেই প্রকাশমুখর। শুধু তাই নয়, ‘My life is my massage’ তথা ‘আমার জীবনী আমার বাণী’ মূর্ত হয়ে ওঠে। গান্ধীজির গড়ে তোলা জীবনাদর্শে সেই আত্মনিয়ন্ত্রিত আত্মত্যাগ ও আত্মসংযমের বহুমুখী বিস্তার লক্ষণীয়। সাঁইত্রিশ বছর বয়সেই গান্ধীজি তাঁর যৌনজীবন ত্যাগ করেন।

অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১৯১৫-তে সত্যাগ্রহের বিজয়তিলক ধারণ করে স্বদেশে ফিরে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সামিল হওয়ার পরিকল্পনায় শুধু রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়াই নয়, সমাজের আপামর মানুষের সঙ্গে একাত্মবোধও জরুরি মনে করেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাতে আইনব্যবসার পোশাকেই ইতি টানেননি, স্বাভাবিক পরিচ্ছেদও বাহুল্যবোধে ত্যাগ করেছেন। উনিশ শতকের বিদ্যাসাগরের পোশাকের চেয়েও বিশ শতকের গান্ধীজি আরও দীনহীন, ‘অর্ধনগ্ন ফকির’। সেদিক থেকে বিষয়-আশয় থেকে তিনি যত মুক্ত হয়ে আমজনতার সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন, তত তাঁর সত্যাগ্রহ আরও নিবিড়তা লাভ করেছে। অবশ্য সেক্ষেত্রে তাঁকে আবার ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ তৈরি করেছে। তাঁর অহিংস আন্দোলনই সমকালে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, তাঁর অপ্রতিশোধাত্মক চেতনা সাধারণের মনে রসিকতার খোরাক মনে হয় । সেখানে কেউ একগালে মারলে অন্য গাল পেতে দেওয়ায় উদারতা নয়, দুর্বলতা বোঝাটাই স্বাভাবিক। আসলে গান্ধীজির আদর্শ শক্তি প্রদর্শনে নেই, আত্মশক্তির বিস্তারেই প্রকাশ। সেখানে ভালবাসা ও করুণা দিয়ে জয় করার বার্তা বিঘোষিত। তার পরিবর্তে দোষী বা অপরাধীর বিরুদ্ধে জোর করে প্রেম প্রদর্শনের ‘গান্ধীগিরি’তে গান্ধীজি নেই, গান্ধীবাদ তো দূরস্থান!

এই ‘গান্ধীগিরি’ নেপথ্য ভালোবাসা নেই, করুণাও অচল। তাতে আছে শুধু গোপন ঈর্ষা ও তীব্র ঘৃণাবোধ, প্রতিশোধের তীব্র আকাঙ্ক্ষাও। স্বাভাবিক ‘গিরি’র প্রদর্শনে গান্ধীজিকে বরং অশ্রদ্ধা করা হয়। অন্যদিকে গান্ধীজির আদর্শ কল্পিত বলে এড়ানোও সহজ নয়, সম্ভবও নয়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা কংগ্রেসের সবচেয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলটি গান্ধীজির তীব্র সমালোচক হিসেবেও পরিচিত। অথচ সরকারি কর্মকাণ্ডেও গান্ধীজির আদর্শ অত্যন্ত প্রকট। ২০১৪-এর ২ অক্টোবরের স্বচ্ছ ভারত অভিযান তো তাঁরই আদর্শে মোড়া। তাঁর চশমার দুই কাচে স্বচ্ছ ভারত জেগে ওঠে। শুধু তাই নয়, ‘সবকা সাথ,সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস,সবকা প্রয়াস’-এও গান্ধীজির কল্যাণকামী রাষ্ট্রে সবার মঙ্গলচেতনা। আত্মনির্ভরশীল ভারতের মধ্যেও গান্ধীজির আদর্শ আমাদের হাতছানি দেয়। সেদিক থেকে আপাত ভাবে গান্ধীজির প্রাসঙ্গিকতার অভাব মনে হলেও বাস্তবে তাঁর অস্তিত্বকেই আমরা বহন করে চলেছি। তাঁর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে বা প্রাতিষ্ঠানিক অস্তিত্বকে সমালোচনা বা অস্বীকার করা যত সহজ, কিন্তু তাঁর আদর্শকে উপেক্ষা করা ততই কঠিন। তাঁর আদর্শ শুধু এদেশে নয়, বিদেশেও দিশারি হয়ে চলেছে।