সংসদের অনুমোদন চাই

‘আপনারা কি খেয়াল করেছেন, কৃষি আইনগুলি বাতিল করার আগে মন্ত্রিসভার কোনও বৈঠক হয়নি।’ শনিবার টুইট করে এই মন্তব্য করলেন শীর্ষস্থানীয় কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। 

গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেন, বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করা হল। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব দাবি করে, মোদি কৃষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলেই আইনগুলি বাতিল করলেন। 

এরপরে চিদম্বরম টুইট করে বলেন, একমাত্র বিজেপির আমলেই কোনও আইন তৈরি বা বাতিল করতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন লাগে না।


শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের একাংশকে নতুন আইনগুলি সম্পর্কে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজনাথ সিং মোদির সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। 

চিদম্বরম বলেন, ভোটের দিকে তাকিয়েই কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে সরকার। তাঁর কথায়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে গুরুত্ব দেয়নি মোদি সরকার। ভোটের ভয়েই তারা আইন রদ করেছে। 

শনিবার উত্তরপ্রদেশের মহোবায় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী পালটা আক্রমণ করেন বিরোধীদের। তাঁর বক্তব্য, কোনও কোনও পার্টির রাজনীতির মূল কথাই হল, কৃষকদের সমস্যার মধ্যে আটকে রাখা। 

রাজনীতিতে ‘পরিবারতন্ত্রে’রও সমালোচনা করেন মোদি । তিনি বলেন, যে দলগুলি কোনও পরিবারের কুক্ষিগত হয়ে আছে, তারা কৃষকদের সমস্যার সমাধান করতে চায় না। 

এরপরেই মোদি বলেন, বিরোধীরা মানুষের সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করে। বিজেপি করে সমাধানের রাজনীতি। 

তাঁর কথায়, ‘পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি চায়, কৃষকরা সমস্যার মধ্যে থাকুন। তারা কৃষকদের জন্য অনেক কিছু ঘোষণা করে ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে কৃষকরা কানাকড়িও পান না।’ 

মোদির দাবি, ‘আমাদের সরকার কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে কৃষক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছে।’ 

পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিকর্মের প্রতিটি পর্যায়ে যাতে কৃষকরা উপকৃত হন, তার ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে মোদি জানিয়ে দেন, নভেম্বরের শেষেই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তখন তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। 

শুক্রবার মোদি কৃষি আইন বাতিলের কথা ঘোষণা করার পরে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা জানায়, এখনই আন্দোলন শেষ হচ্ছে না। যতদিন না সংসদে তিনটি আইন বাতিল বলে ঘোষিত হবে, ততদিন আন্দোলন চলবে।