সুরঞ্জন আচার্য
মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভারতে হিন্দু জনসংখ্যার হার কমছে আর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যার হার৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেই বিষয়ে রিপোর্টও হয়েছে৷ ভারতে বিগত দুই দশকে হিন্দু-মুসলিম কার্ডের থেকে ভাল ভোটদায়ী অস্ত্র আর নেই৷ তাই বিজেপি যে এই তথ্যকে ফায়দা তোলার জন্য লুফে নেবে, তাতেও অবাক হবার কিছু নেই৷ বিজেপির আই টি সেলের প্রধান অমিত মালব্য তাই তড়িঘড়ি তার টুইটারে লিখেছেন, এর জন্য দায়ী কংগ্রেস৷ কংগ্রেসের হাতে ক্ষমতা থাকলে হিন্দুদের শেষ পর্যন্ত আর কোনো দেশ থাকবে না৷ অন্যান্য বেশকিছু বিজেপি নেতাও একই সুরে কথা বলতে শুরু করেছেন৷
নতুন অবশ্য কিছুই নয়৷ সমাজ মাধ্যমে এমন বক্তব্য দীর্ঘদিন ধরেই চালিয়ে আসা হচ্ছে৷ তবে সেগুলো মূলত হয় হোয়াটস অ্যাপে, যাতে নির্দিষ্ট মানুষটি ছাড়া অন্য কেউ সরাসরি সেই লেখা পড়তে না পারেন৷ আর এভাবেই ব্রেন ওয়াশ করা হয়, হয়ে আসছে৷ সম্ভবত তিন দফা নির্বাচনের পরে বিজেপি কিছুটা আশঙ্কিত৷ তাই চতুর্থ দফার আগে আর সেই লাগাম বজায় রাখার কোন প্রয়োজনীয়তা দেখছে না৷ তাই আর্থিক উপদেষ্টা কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সরাসরি ভোটের বাজারে নেমে পড়া হচ্ছে৷ এবং সেটাও করা হচ্ছে রিপোর্টের একটি শব্দের বিকৃত ব্যাখ্যার মাধ্যমে৷ কী সেটা? দেখাই যাক৷
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী উপদেষ্টা কমিটির যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, সেটি হল ‘A decrease in the share of the majority population and a consequent increase in the share of minorities…’৷ বাংলায় এর অনুবাদ হবে, সংখ্যাগরিষ্ট জনসংখ্যার শতাংশের হ্রাস এবং সংখ্যালঘু জনসংখ্যার শতাংশের বৃদ্ধি৷ অর্থাৎ বিষয়টা মোট সংখ্যা নিয়ে নয়, স্রেফ শতাংশ নিয়ে৷ অবশ্য কেউ কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন, তাতে কি বিষয়টা বদলায়? সংখ্যা বাড়লেই তো শতাংশ বাড়বে, কিংবা উল্টোটা৷ আপাতদৃষ্টিতে তেমনটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক৷ তাহলে একটু ব্যাখ্যাই করা যাক৷
ধরা যাক, আপনার মাসিক এবং আমার দুজনেরই উপার্জন বেড়েছে মাসে ১ হাজার টাকা৷ আপনার মাসিক আয় ছিল ১ লক্ষ টাকা আর আমার ১০ হাজার টাকা৷ সেক্ষেত্রে আপনার আয় বৃদ্ধি হল ১% আর আমার ১০%৷ তাহলে শতাংশ দিয়ে কি উপার্জন বৃদ্ধির আদত চেহারাটা বোঝা যাবে? আরেকভাবে দেখা যাক৷ শেষ ১০ বছরে আপনার এবং আপনার সন্তানের বয়স ঠিক ১০ বছর করেই বেড়েছে৷ ১০ বছর আগে আপনার বয়স ছিল ৫০৷ কাজেই আপনার বয়স বেড়েছে ২০%৷ আর আপনার সন্তানের বয়স ছিল ২০৷ তাই তার ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ৫০%৷ এখন ছেলের বয়স বৃদ্ধির হার আপনার তুলনায় আড়াই গুণ কেন, এই নিয়ে ছেলের মাকে গালিগালাজ করবেন কিনা, সেটা আপনার মস্তিষ্কের সুস্থতার উপর নির্ভর করে৷ মোদ্দা কথা, ভিত্তি সংখ্যার উপরই এই শতাংশের কার্যকারিতা নির্ভরশীল৷ ভারতে জনসংখ্যার হার হ্রাস-বৃদ্ধির এই তারতম্যটাও সেই একই সূত্রে গাঁথা৷
প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা মণ্ডলীর রিপোর্টে ১৯৫০ থেকে ২০১৫, এই ৬৫ বছরের হিসাব কষা হয়েছে৷ স্বাধীন ভারতের প্রথম সেনসাস হয়েছিল ১৯৫১ সালে৷ আর এখনো পর্যন্ত শেষটি হয়েছে ২০১১ সালে৷ ২০২১ সালের সেনসাস কোভিডের অজুহাতে হয়নি৷ যদিও বিবিধ নির্বাচন কিন্ত্ত তারপরেও অবাধেই হয়েছে৷ সেনসাস কেন হচ্ছে না, সেই নিয়ে নানা মতামতও আছে৷ সেই প্রসঙ্গ থাক৷ কিন্ত্ত ২০১৫ সালের তথ্য কমিটি কোন সূত্র থেকে পেয়েছেন, সেটি এক রহস্য হয়েই রয়ে গেল৷ আপাতত আমরা ১৯৫১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সেনসাসে উল্লেখ করা তথ্যের ভিত্তিতেই আলোচনা করি৷ তাতে সময়ের পরিমাপটা ৬৫-র বদলে না হয় ৬০-ই হল৷ তাহলেও প্রবণতা বুঝতে অসুবিধা হবে না৷
১৯৫১ সালে ভারতে মোট জনসংখ্যা ছিল ৩৬.১০ কোটি যা ২০১১ সালে হয় ১২১.০১ কোটি৷ অর্থাৎ ৬০ বছরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় ৮৪.৯১ কোটি৷ তার মানে ২০১১ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৯৫১ সালের ৩.৩৫ গুণ৷ প্রতি বছর জনসংখ্যা গড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৪২ কোটি৷ বর্তমানে ভারত চিনকে টপকে বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশ৷ অনেকেই বলে থাকেন, ভারতে জনসংখ্যাই সবথেকে বড় সমস্যা৷ দেড়শো কোটি মানুষের চাহিদা পূরণ করা কি সম্ভব! নিশ্চয়ই সমস্যা৷ তবে বিপরীত চিত্রটাও যথেষ্ট আশাব্যাঞ্জক৷ ১৯৫১ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ভারতে দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল উর্ধমুখী৷ কিন্ত্ত তার পর থেকেও সেই হার ক্রমাগত কমছে৷ ১৯৭১-এর সেনসাসে যে হার ছিল ২৪.৮০, সেটিই পরবর্তী চারটি দশকে কমতে কমতে ২০১১-র সেনসাসে হয়েছে ১৭.৬৪৷ স্পষ্টতই মোট জনসংখ্যা বাড়লেও, বৃদ্ধির হার কিন্ত্ত কমছে৷
হ্যাঁ, আপাতত যে আলোচনাটা করা হল, সেখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-জৈন-শিখ সবাই আছেন৷ কিন্ত্ত প্রসঙ্গটা যে হিন্দু হ্রাস আর মুসলিম বৃদ্ধির, তার কী হল? প্রথমত, প্রধানমন্ত্রী আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের রিপোর্টে যে স্রেফ শতাংশ নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে, সেটা আমরা আগেই দেখেছি৷ কাজেই সেটিই আগে দেখা যাক৷ ১৯৫১ সালের রিপোর্টে ভারতে হিন্দুরা ছিলেন মোট জনসংখ্যার ৮৪.১০% আর মুসলিমরা ছিলেন ৯.৮%৷ ২০১১ সালের রিপোর্টে সেটাই হল যথাক্রমে ৭৯.৮০% এবং ১৪.২২%৷ তাহলে তো স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে মোট জনসংখ্যায় হিন্দুদের শতকরা হার কমেছে ৪.৩% আর বিপরীতে মুসলিমদের বেড়েছে ৪.৪৩%৷ কিংবা হিন্দুদের শতাংশ হ্রাসের হার ৫.১১% আর মুসলিমদের বৃদ্ধির হার ৪৫.১%৷ তাহলে কি অমিত মালব্যের করা দোষারোপ ঠিক নয়? কিংবা হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে হাতে হাতে ঘোরা সেই আশঙ্কা যে একদিন মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ট হয়ে যাবে, সেটাই সত্যি হচ্ছে না?
সত্যি কি মিথ্যে বোঝার জন্য সংখ্যার হিসাবে আসা যাক৷ ১৯৫১ সালে ভারতে মোট জনসংখ্যা ছিল ৩৬.১০ কোটি যার মধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৩০.৩৬ কোটি আর মুসলিম ছিলেন ৩.৫৪ কোটি৷ অর্থাৎ ১৯৫১ সালে মুসলিমদের তুলনায় হিন্দুরা সংখ্যায় বেশি ছিলেন ২৬.৮২ কোটি৷ আবার ২০১১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা বেড়ে হল ৯৬.৬২ কোটি আর মুসলিমদের সংখ্যা হল ১৭.২২ কোটি৷ তার মানে ২০১১ সালে হিন্দুদের জনসংখ্যা মুসলিমদের তুলনায় বেশি ছিল ৭৯.৪০ কোটি৷ তাহলে কি হিন্দুদের সংখ্যা কমে গেল? অঙ্ক কি তেমনটাই দেখাচ্ছে?
দেখা যাচ্ছে, ৬০ বছরে হিন্দু জনসংখ্যা হয়েছে ১৯৫১ সালের তুলনায় ৩.১৮ গুণ, আর মুসলিম জনসংখ্যা ৪.৮৬ গুণ৷ জানি, কেউ কেউ লাফিয়ে উঠে বলবেন, স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে মুসলিমদের বৃদ্ধি হিন্দুদের তুলনায় ১.৬৮ গুণ বেশি৷ এরপরেও কি বলতে চান হিন্দুরা কমছে না? না কমছে না, বরং বাড়ছে৷ ১৯৫১ সালের তুলনায় ২০১১ সালের সেনসাসে মুসলিমদের তুলনায় হিন্দুদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে ২.৯৬ গুণ, ২৬.৮২ কোটি থেকে ৭৯.৪০ কোটি৷ মুসলিম জনসংখ্যার শতাংশ যাই হোক, প্রতি বছর মুসলিমদের তুলনায় হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ এটাই সেনসাস রিপোর্টের সার সত্য৷ সম্ভবত এই সত্যকে চাপা দেবার জন্যই মূল সংখ্যাগুলো কখনৈ আলোচনায় আনা হয় না, স্রেফ শতাংশের দোহাই পাড়া হয়৷
মাথা কি ঘুলিয়ে যাচ্ছে? সংখ্যা দেখাচ্ছে এক আর শতাংশ দেখাচ্ছে অন্য কিছু৷ কেন? নাকি সবটাই জাগলারি? তাহলে আবার পুরনো কথাগুলো স্মরণ করি৷ একদা আপনার পরিবারের মোট মাসিক উপার্জন ছিল ২ লক্ষ টাকা৷ কিছুদিন আগে আপনার অবসরপ্রাপ্ত বাবা মারা গেছেন৷ ফলে এখন আপনাদের মাসিক উপার্জন হয়ে গেছে পৌনে ২ লক্ষ টাকা৷ তার মানে আপনাদের পারিবারিক উপার্জন হ্রাস পেয়েছে ১২.৫%৷ উল্টোদিকে আপনার পরিচিত মুনাব্বর শেখের পরিবারে সে ছিল একমাত্র উপার্জনকারী, যার মাসিক আয় ছিল ২০ হাজার টাকা৷ এখন তার ছেলেও উপার্জন শুরু করেছে, মাসে ২০ হাজার করে৷ ফলে মুনাব্বর শেখের পারিবারিক উপার্জন বাড়ল ১০০%৷ তাহলে আর্থিক অবস্থা কার ভাল? ধরে নিই দুজনের পরিবারেই সদস্য সংখ্যা সমান৷ উপার্জন যত শতাংশই বাড়ুক, আর্থিক সক্ষমতায় মুনাব্বর শেখ এখনো আপনার পরিবারের তুলনায় অনেক নিচে৷ বিপরীতে আপনাদের মাসিক উপার্জন যতই কমুক, এখনো মুনাব্বর শেখ আপনাদের সম্ভ্রম করেই চলতে বাধ্য, ওই উপার্জনের কারণেই৷
আসলে সংখ্যার ভিত্তিটা যদি সমান বা প্রায় সমান না হয়, তাহলে শতাংশের তুলনা অর্থহীন৷ ভারতে জনসংখ্যার ক্ষেত্রেও সেটিই সত্য৷ ১৯৫১ সালের প্রথম সেনসাসের ভিত্তিটাই তো হিন্দুদের দিকে প্রবল ঝুঁকে রয়েছে৷ মুসলিমদের তুলনায় সেই সময়েই হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৮.৫৮ গুণ৷ এই বিস্তর ফারাককে বিবেচনায় না রাখলে তুলনামূলক যে কোনো আলোচনাই ত্রুটিপূর্ণ হতে বাধ্য৷ কারো কারো ক্ষেত্রে সেই ত্রুটি অবশ্যই ইচ্ছাকৃত৷ শুরুর এই ফারাক মেটানো আদপেই সম্ভব নয়৷ আর আমরা তো বরং দেখলাম, ফারাক কমার বদলে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে৷ তাহলে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির শতাংশ নিয়ে এত আশঙ্কার কী কারণ? কারণ একটাই৷ সেই প্রচার ভোট দেয়৷ অর্থাৎ নিতান্ত রাজনৈতিক অভিসন্ধি ছাড়া এই প্রচারের কোনো বাস্তবতা নেই৷
এর পাশাপাশি আরেকটা প্রচারও চলে৷ প্রথমত মুসলিমরা চারটে করে শাদি করতে পারে আর একেকটা মুসলিম বিবি ১২-১২টা করে বাচ্চা পয়দা করে৷ চারটে শাদি কতজন করে বা আদৌ করে কিনা, সেই বিতর্কে ঢুকে লাভ নেই৷ স্রেফ অঙ্কের হিসাবেই একজন মুসলিম পুরুষ যদি চারটে শাদি করেন, তাহলে অন্তত তিনজন পুরুষ অবিবাহিত থেকে যাতে বাধ্য৷ কারণ সমাজে নারীর সংখ্যা সবসময়ই পুরুষের তুলনায় কম, সে হিন্দুই হোক আর মুসলিম৷ তাহলে চারটে শাদি করে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটানোর কাহিনীটা একেবারে গল্প৷ চারজন মহিলাকে একজন পুরুষই শাদি করুক আর চারজন, জনসংখ্যায় প্রভাবটা কমবেশি একই থেকে যাবে৷ আর পড়ে রইল অতিরিক্ত বাচ্চা পয়দা করার বিষয়টা৷
গড়ে একেকজন মহিলা কতজন শিশুর জন্ম দেন, সেটাকে বলা হয় গড় গর্ভধারণ ক্ষমতা৷ বিশ্বব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারতে গড় গর্ভধারণ ক্ষমতা ১৯৫০ সালে ছিল ৬.২ যা ২০২০-তে হয়েছে ২৷ প্রায় তিনভাগের একভাগ হয়ে গেছে৷ ১৯৯২-৯৩ সালে হিন্দু মহিলাদের গড় গর্ভধারণ ক্ষমতা ছিল ৩.৩ যা সাম্প্রতিক কালে হয়েছে ১.৯৪৷ বিপরীতে ১৯৯২-৯৩ সালে মুসলিম মহিলাদের গড় গর্ভধারণ ক্ষমতা ছিল ৪.৪, যা নেমে হয়েছে ২.৩৷ শতাংশের কারবারীদের আশ্বস্ত করার জন্য বলা যাক, হিন্দুদের ক্ষেত্রে এই হার কমেছে ৪১.২%৷ আর মুসলিমদের ক্ষেত্রে ৪৬.৫%৷ অর্থাৎ এখানে আবার ব্যাপারটা হয়ে গেল উলটো৷ মুসলিম মহিলাদের গড় গর্ভধারণ ক্ষমতা হিন্দুদের তুলনায় অনেক বেশি কমেছে৷ জানি, প্রশ্ন আসবে, তাতেও তো মুসলিমদের গড় গর্ভধারণ ক্ষমতা এখনো বেশি৷ ঠিকই তো৷ এক্ষেত্রে ভিত্তি সংখ্যাটাও মুসলিমদের ক্ষেত্রে ছিল বেশি৷ তাই সমান হতে আরেকটু সময় লাগবে৷ কিন্ত্ত কিছুদিনের মধ্যেই যে সেটা জাতীয় গড়ের সমান হবে, নিশ্চিত করেই বলা যায়৷
মোদ্দা কথা, হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে এইসব উদ্ভট তথ্যের প্রচার নিতান্তই উদ্দেশ্যমূলক৷ ভারতে কোনদিন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা হওয়া সম্ভবই নয়৷ কারণ সেই হিন্দু জনসংখ্যার আধিক্য৷ পরিসংখ্যানও সেটাই প্রমাণ করছে৷ হ্যাঁ, এর পরেও এমন প্রচার চলবে৷ কারণ সেই রাজনীতি৷