• facebook
  • twitter
Thursday, 14 November, 2024

অবশেষে ধ্রুপদী স্বীকৃতি এল বাংলা ভাষার

অসম-আগরতলা-মেঘালয় সহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালি এবং বহির্বিশ্বের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দু'পারের বাঙালি মিলিয়ে সংখ্যাটি তো ৩৫ কোটি হবেই। বেশি হওয়াটাও বরং আশ্চর্যের কিছু নয়। সুতরাং যারা কারণে-অকারণে নিজের প্রিয় মাতৃভাষা বাঙলা নিয়ে হামেশাই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন এবং ইংরেজি ভাষা জানার জন্য বেশ গর্ববোধ করেন-তাঁরা কী জানেন গোটা বিশ্বে বাঙলাভাষার গুরুত্ব ঠিক কতোটা? যদি জানতেন তাহলে নিজেদেরকে হয়তো কিছুটা সংযত রাখতেন।

প্রতীকী চিত্র

বরুণ দাস

বাংলাভাষার ধ্রুপদী স্বীকৃতি এলো বটে; তবে অনেক পরে। প্রাজ্ঞজনেরা বলেন, অনেক আগেই বাংলাভাষার ধ্রুপদী স্বীকৃতি আসা উচিত ছিল। যেসব ভাষা ধ্রুপদী স্বীকৃতি পেয়েছে, তাঁদের প্রতি আমাদের সামান্যতম বিদ্বেষ নেই একথা ঠিক; তবে এই বিলম্বের কারণ অবশ্যই তাঁর যোগ্যতার অভাব নয়; রাজনৈতিক সমীকরণের ফল! এদেশে সবকিছুই ‘রাজনীতির চোখে’ দেখা হয়। বিচার-বিবেচনা করা হয়। ফলে অনিবার্যতাকেও অস্বীকার করার রেওয়াজ চলে আসছে। এর থেকে মুক্তির পথ আমাদের জানা নেই।

যেমন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর দেশপ্রেমকে স্বীকার করে তাঁর জন্মদিনটিকে ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসেবে আখ্যা দিতেও আমাদের ভীষণ আপত্তি। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অনেক বীরের অবদানই আছে একথা নির্দ্বিধায় স্বীকার করতে অসুবিধে নেই। সবার সম্মিলিত অবদানেই এসেছে দেশের স্বাধীনতা একথাও ঠিক। কিন্তু এঁদের মধ্যে ব্যতিক্রমী চরিত্র নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নিঃসন্দেহে। যিনি বৃটিশের চোখে ধুলো দিয়ে এক আকাশ ঝুঁকি নিয়ে রাতের অন্ধকারে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য।

তাঁর প্রতিপদক্ষেপে ছিল প্রাণনাশের অসীম আশঙ্কা। কিন্তু দমবার পাত্র নন তিনি। মাতৃভূমিকে বিদেশী শাসনমুক্ত করার জন্য নিজেকে বলিদান দিতে প্রস্তুত ছিলেন এই বিপ্লবী। এক ‘দানবিক দেশপ্রেম’ তাঁকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। যেখানে অন্যকোনও চিন্তাই তাঁর মাথায় আসেনি। এই মানুষটিকে কেন যে আজও সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি তা আমাদের বিস্মিত করে বৈকি। যদিও জানি, তাঁকে নিয়ে ‘বেশি মাতামাতি করলে অন্যকারও ইমেজে আঘাত লাগতে পারে-এই আশঙ্কায়ই হয়তো তাঁকে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে।

তো ‘এই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে।’ বাঙলা ও বাঙালির প্রতি এক অদৃশ্য বিরূপতা কাজ করে এদেশের কেন্দ্রীয় শাসকদের মধ্যে। যে বিরূপতার কোনও যথাযথ কারণ নেই। কিন্তু কারণ না থাকাটাই যেন ‘কারণ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দেশভাগের সময় পঞ্জাব যেখানে উপযুক্ত পুনর্বাসন পায়- বাঙলা সেখানে বঞ্চিত থেকে যায়। যার রেশ এখনও সমানতালে চলছে এবং বাঙালিরা দু’দেশেই মানবতের জীবনধারণ করছেন। যারা সর্বস্বান্ত হয়ে এসেছেন তারাও এবং যারা ওদেশে আজও রয়ে গেছেন- তাঁরাও।

এ এক চরম বিড়ম্বনা ছাড়া আর কী। যাক সেকথা। এবার ফেরা যাক বাঙলা ভাষার ধ্রুপদী স্বীকৃতির কথায়। ৫ অগাস্ট এলো সুসংবাদটি। ভোরের কাগজে চোখ রেখে যেন এক তৃপ্তির রেশ ছড়িয়ে পড়ল মনে। যদিও সমাজমাধ্যমে আগের দিনই অর্থাৎ ৪ঠা অগাস্ট অনেকে লক্ষ্য করেছেন ঘটনাটি। একটি প্রথম শ্রেণির দৈনিকের খবরের শিরোনাম ছিল- ‘প্রাচীন বাঙালির সূত্র খুঁজেই ধ্রুপদী স্বীকৃতি এল বাংলার।’ ওই কাগজের ৫ম পাতায় প্রকাশিত খবরটি সবার আগেই আগ্রহ নিয়ে পড়ে ফেলা গেল।

উল্লেখ্য, এর আগে দশটি ভারতীয় ভাষা ধ্রুপদী স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙলা নিয়ে এ পর্যন্ত ১১টি। এমন কি, ওড়িয়া ভাষাও। এছাড়া সংস্কৃত দক্ষিণের তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালম তো আছেই। তবে দেরিতে এলেও এসেছে তো-এই আনন্দই বা কম কিসের? কিন্তু এই আনন্দ কী সব বাঙালিকে আনন্দিত করেছে? আজকের অনেক শিক্ষিত ও সচেতন বাঙালি আর নিজের মাতৃভাষাকে গ্রাহ্যের মধ্যে আনেন না। তাঁরা ইংরেজি কিংবা হিন্দি নিয়েই বেশি আগ্রহী। বাঙলা তাঁদের কাছে ‘পিছিয়ে পড়া’ ভাষা! ‘ব্যাক ডেটেড।’

না, মাতৃভাষার প্রতি আবেগ কিংবা অন্ধপ্রেম নয়, গবেষণায় দেখা গেছে এর প্রাচীনত্বের দিকটিও। যা নাকি ওই স্বীকৃতির পক্ষে সহায়ক এবং চারখণ্ডের যে দাবিপত্রটি পেশ করা হয়েছিল তাঁর পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ২২০০। বেশ বোঝাই যাচ্ছে, এ নিয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস কাজ করেছেন গবেষকরা। বাঙলাভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা আখ্যা দিয়ে তৈরি দাবিপত্রটি দুবলা বা কৃশ নয়-বেশ বলিষ্ঠ এবং বলাবাহুল্য, ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বেশির ভাগ ভাষার দাবিপত্রের থেকেই তা কলেবরে বৃহৎ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

শোনা যায়, এ নিয়ে বঙ্গ-ওড়িশা দ্বৈরথ সৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা ছিল; যা নাকি সচেতনভাবে এড়িয়ে যান রাজ্যের গবেষকরা। অনেকেই জানেন, বছর দশেক আগে ১১৯ পাতার দাবিপত্র পেশ করে ওড়িয়া ভাষা যে স্বীকৃতি পায়, তাতে চর্যাগীতিকেও ‘ওড়িয়া’ বলে দাবি করা হয়েছিল। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর লেখা প্রাচীন গ্রন্থের নামও নাকি বদলে দেওয়া হয় বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল! বিতর্কে না ঢুকে বাঙলা ভাষার দাবি মেলে ধরা অভিজ্ঞ গবেষকরা বাঙলা ভাষার প্রাচীনত্ব নিয়ে অনুসন্ধানের গভীরেই ডুব দিয়েছিলেন।

ভাষাবিদ সুকুমার সেন ও সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাঙলাভাষার জন্ম হয়েছে দশম দ্বাদশ শতাব্দীতে। কিন্তু বাঙলাসাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাগীতির কবিদের সময়কাল অনুযায়ী ডঃ শহীদুল্লাহ প্রমাণ করেছেন যে, চর্যার আদি কবি মৎস্যেন্দ্রনাথ বা মীননাথের সময়কাল সপ্তম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়। আনুমানিক ৬৫০ খৃস্টাব্দ। তাঁর কথায়, ‘পত্রসম্ভব’-এ উল্লেখ আছে শবরপা যখন তিব্বতে যান, তখন তাঁর সঙ্গে হে-দেউ বচন রাজার সাক্ষাৎ হয়। যার সময়কাল ছিল ৬০০-৬৫০ খৃস্টাব্দ বা তারও আগে থেকেই।

ভাষাবিদ সুকুমার সেন অবশ্য পরে আবার বলেছিলেন, ‘বিক্রোমোব্বশী’ নাটকের অপভ্রংশ গানগুলি যদি সপ্তম-অষ্টম শতাব্দীর রচনা হইয়া থাকে, তাহা হইলে চর্যার গানগুলিও সেই সময়কালে পৌঁছাইতে পারে। সুতরাং বাঙলাভাষার প্রাচীনত্ব নিয়ে সংশয়ের কোনও অবকাশ নেই। বয়সের বিচারে তাঁর ধ্রুপদী আখ্যা পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল মাত্র। এতোদিন বাঙলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি বা মর্যাদা না দেওয়াটাই ছিল বরং বাঙলা ও বাঙালির কাছে চরম দুর্ভাগ্যের বিষয় একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

অনেকেই হয়তো জানেন, বাঙলাভাষা সুইডিশ ন্যাশনাল এনসাইক্লোপিডিয়া-র হিসেবে বিশ্বের ১০০টি ভাষার মধ্যে রয়েছে সপ্তম স্থানে, অর্থাৎ সমস্ত ভাষাভাষির সংখ্যা যদি গণনা করা যায়- তাহলে দেখা যাবে বাঙলাভাষার চেয়ে সংখ্যায় এগিয়ে মাত্র ৬টি ভাষা। গোটা বিশ্বে এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে নিয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাঙলা। বেসরকারি সমীক্ষায় দেখা গেছে, কমবেশি প্রায় ৩৫ কোটি মানুষের মুখের ভাষা বাঙলা। শুধু এপার- ওপার মিলিয়ে দুই পারের ২৮ কোটি মানুষের মুখের ভাষা বাঙলা।

এছাড়া অসম-আগরতলা-মেঘালয় সহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বসবাসকারী বাঙালি এবং বহির্বিশ্বের নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দু’পারের বাঙালি মিলিয়ে সংখ্যাটি তো ৩৫ কোটি হবেই। বেশি হওয়াটাও বরং আশ্চর্যের কিছু নয়। সুতরাং যারা কারণে-অকারণে নিজের প্রিয় মাতৃভাষা বাঙলা নিয়ে হামেশাই তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন এবং ইংরেজি ভাষা জানার জন্য বেশ গর্ববোধ করেন-তাঁরা কী জানেন গোটা বিশ্বে বাঙলাভাষার গুরুত্ব ঠিক কতোটা? যদি জানতেন তাহলে নিজেদেরকে হয়তো কিছুটা সংযত রাখতেন।

খবরে প্রকাশ, রাজ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধীনে ইন্সটিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজ স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ (সংক্ষেপে যাকে বলা হয় আইএসএসআর)-এর তৈরি দাবিপত্রটি গত জানুয়ারিতে তৈরি হয়। রাজ্য সরকারের তরফে তা কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং সাহিত্য অকাদেমির কাছে যথারীতি পেশও করা হয়। এবং নিয়ম মেনে রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রের কাছে আর্জি এবং পরে কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় সায়-এভাবেই স্বীকৃতি আসে বাঙলা ভাষাকে ধ্রুপদী আখ্যা দেওয়ার রাজ্য সরকারের গবেষণালব্ধ দাবির।

কারা ছিলেন এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত? জানা গেছে, আইএসএসআর-এর স্কুল অব লিঙ্গুয়িস্টিক স্টাডিজ-এর অধ্যাপক অমিতাভ দাসের নেতৃত্বে ভাষাতত্ববিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদ মিলে পাঁচ সদস্যের দল দাবিপত্রটি তৈরি করেন। অধ্যাপক অমিতাভ দাস জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দারুণ উৎসাহে কাজ করেন তাঁরা। পাঁচ বছরের কাজ দু’বছরে সারা হয়েছে। তাঁর আরও সংযোজন, বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম প্রমাণ খোঁজা ছাড়াও বাঙালিকে পেলেই বাংলারও খোঁজ মিলবে ভেবেই এগিয়েছেন এবং তাঁর ফলও মিলেছে হাতেনাতে।

উল্লেখ্য, ধ্রুপদী ভাষার মাপকাঠি হিসেবে কোনও ভাষার দেড় থেকে দু’হাজার বছরের পুরনো প্রত্নপুরাণকেই ধরা হয়। বাংলার ক্ষেত্রে খৃস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে মহাস্থানগড়ের (এখন বাঙলাদেশের বগুড়া) শিলালিপি মিলেছে। তাতে ব্রাহ্মি লিপিতে সংবঙ্গীয় (সম্যক রূপে বঙ্গীয়) শব্দটি তাৎপর্যবাহী বলে ধরেছেন গবেষকরা। ঐতরেয় ব্রাহ্মণ গ্রন্থেও বঙ্গদেশিয়দের প্রসঙ্গ আছে। আবার সম্রাট অশোকের আমলে গিরনার শিলালিপিতে ‘দ্বাদশ’ শব্দটির বানান ব্রাহ্মিলিপিতে বাংলা উচ্চারণ রীতি মেনে চলা হচ্ছে বলেও গবেষকদের দাবি।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, অষ্টম শতকে প্রকাশিত সংস্কৃত-চিনা অভিধানটির সূত্রও দাবিপত্রটিতে তাৎপর্যপূর্ণ বলা হয়েছে। গবেষক অধ্যাপক অমিতাভ দাস আরও জানিয়েছেন, লি যেনের সংকলিত অভিধানটি ১৯২৯ খৃস্টাবে ফরাসিতে প্রকাশ করেন প্রবোধচন্দ্র বাগচী। তাতেও পঞ্চাশটির বেশি বাংলা শব্দ রয়েছে। সংস্কৃত-চিনা অভিধানে বেশ কয়েকটি শব্দকে বাংলা বলে দাবি করা মানে বাংলার প্রভাব বিশ্বের নানা প্রান্তেই ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে আইস, বইস, মাংস, মোটা ভতর (ভাতার) প্রভৃতি বাঙলা শব্দগুলি রয়েছে।

অনেকে আবার এমন প্রশ্নও তুলেছেন যে, ধ্রুপদী স্বীকৃতি তো পেল; কিন্তু তাতে বাঙালি ও বাঙলাভাষার লাভটা কী হল? ‘ধ্রুপদী স্বীকৃতি’র শংসাপত্র গলায় ঝুলিয়েই-বা আখেরে কী হবে আমাদের? যারা এসব প্রশ্ন করছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলা, স্থূল লাভ-ক্ষতির বহর দিয়ে সবসময় সবকিছু বিচার করা ঠিক নয়। নিজের জাতি কিংবা মাতৃভাষার সম্মান ও গৌরবের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে আমাদের নিজেদেরও সম্মান ও গৌরবের দিকটি। যা হয়তো সাধারণ লাভ-ক্ষতি কিংবা অর্থের মূল্যে নয়, মর্যাদার মূল্যে বিচার করা উচিত।

তবে বস্তুগত লাভ যে একেবারেই নেই তা কিন্তু আদৌ নয়। যেমন বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই অবশ্য মনে করেন, এরফলে অর্থাৎ ধ্রুপদী স্বীকৃতি লাভের ফলে বাঙলাভাষা চর্চায় উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে উঠবে, অন্তত: দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘চেয়ার প্রফেসর’-এর বেশ কিছু পদও তৈরি হবে নিশ্চিত। কী হবে আর কী না হবে-তা ভবিষ্যতই বলবে। কারণ আগেই উল্লেখ করা হয়েছে এদেশে সবকিছুই ‘রাজনীতির চোখে দেখা হয়’। সেক্ষেত্রে আগাম আশা-ভরসা না করাই বরং ভালো।