শিক্ষাক্ষেত্রে অব্যবস্থা প্রশাসনিক ব্যর্থতা নাকি বেসরকারি উদ্যোগকে অক্সিজেন?

প্রতীকী ছবি

শোভনলাল চক্রবর্তী

বিগত কয়েক মাসে কলকাতার কয়েকটি বাংলা সংবাদপত্রের শিক্ষা বিষয়ের কয়েকটি খবরের শিরোনাম ছিল এইরকম, “চক-ডাস্টার কেনার টাকাও নেই বহু স্কুলে”,”ট্যাবের গায়েব টাকা ফেরত, প্রক্রিয়া শুরু”,”বাংলা মাধ্যম স্কুলে উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিংয়ে অনুপস্থিত শতাধিক”।পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা অব্যবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে প্রতিটি সংবাদ শিরোনামের প্রতিবেদনে। সন্দেহ নেই, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। পরিকাঠামোগত সমস্যা, শিক্ষক-শিক্ষিকা সংখ্যার ঘাটতি, শিক্ষিত ও সচ্ছল পরিবারের পড়ুয়ার অনুপস্থিতি নিয়ে বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ের সঙ্গে ইংরেজি মাধ্যমের অসম প্রতিযোগিতা চলে। সেখানে উল্লিখিত নির্ধারিত ব্যয় বরাদ্দের অনিয়মিত জোগান, প্রলম্বিত ছুটির আবহ, শিক্ষা উপকরণগুলির বণ্টনে দুর্নীতির যোগ বাস্তবে বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ের পচন, পতনের গতি বৃদ্ধি করে।

এই আবহেই গত শতাব্দীর শুরু থেকে প্রতিটি অঞ্চলে ব্যক্তিগত ও সমবেত উদ্যোগে গড়ে ওঠা প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অনেকগুলিই বন্ধ হয়ে গিয়েছে অথবা হওয়ার মুখে।রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে মুখ্যত এর দায় নিতে হবে। সঙ্গে রাজ্যের নাগরিকদের, সমাজ নির্মাণে নিয়োজিত বিভিন্ন অসরকারি প্রতিষ্ঠান, লেখক, কলাকুশলী, পত্রিকা, সাংস্কৃতিক সংস্থাকেও বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে হবে।‌ এই সরকারের সমর্থক, বিরোধী, সমালোচক— যে যার অবস্থানে থেকে সমবেত ভাবে এই দুরবস্থা দূরীকরণে সরব ও সক্রিয় হোক। নির্ভুল বাংলা বলতে পারা পড়ুয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমে আসা, ভাষাজ্ঞানে অগভীরতা, সমাজ প্রতিষ্ঠায় এই ভাষাগোষ্ঠীর ব্যর্থতা এখনই বিপজ্জনক সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছে। পরবর্তী কালে এর পরিণতি বোঝা যাবে বাংলা পত্রপত্রিকার পাঠক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের দর্শক সংখ্যায় এবং সামাজিক অস্থিরতায়। সুতরাং, বিষয়টির গুরুত্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে দরদি নাগরিক হিসাবে এ‌ সময়ে না বুঝলে অবশিষ্ট বিদ্যালয়গুলিও উঠে যাওয়ার সাক্ষী থাকতে হবে।দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পর যে ব্যাপক সংখ্যায় পড়ুয়ারা শিক্ষাছুট হচ্ছে, তার ফলে কলেজে স্নাতক স্তরে প্রচুর আসন ফাঁকা থাকছে। তাই কাদের কেন ট্যাব দেওয়া হবে, ট্যাব কতটা লেখাপড়ার কাজে লাগছে আর কতগুলো বাজারে ফেরত যাচ্ছে— তার ক্রমাগত মূল্যায়ন খুব জরুরি। উৎসব, অনুদান, না কি টানাটানির কোষাগারে শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি— কোনটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন, স্থির করতে হবে।সর্বোপরি, এই সমস্যার সমাধানে আমাদের নিজেদের এখনকার উদাসীনতা ত্যাগ করে উদ্যোগ করতে হবে শিক্ষার এই অন্ধকার অবস্থা থেকে আমাদের সমাজ কী ভাবে মুক্তি পেতে পারে সেই ভাবনার।


সম্প্রতি খবরের কাগজ পড়ে জানলাম ‘কম্পোজ়িট গ্রান্ট’ বাবদ স্কুলগুলির দৈনন্দিন খরচ চালানোর জন্য কেন্দ্র দেয় ৪০ শতাংশ এবং রাজ্য দেয় ৬০ শতাংশ। পড়ুয়ার সংখ্যার ভিত্তিতে স্কুলকে এই টাকা দেওয়া হয়। রাজ্যে পঞ্চায়েত দফতর পরিচালিত শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতেও এই টাকা ঢোকে। টিএলএম, অভিভাবক মিটিং ইত্যাদি বাবদও আলাদা আলাদা খাতে টাকা আসে। সেই খরচের টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলতে বা পেমেন্ট করতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সই প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অপারেটর হিসাবে মুখ্য সহায়িকা এবং কেন্দ্রের সম্পাদকের সই লাগে চেকে। কেন্দ্রের সম্পাদক হন নির্দেশ অনুসারে কোথাও সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের এগজ়িকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট, কোথাও পঞ্চায়েত সচিব অথবা সহায়ক। সুতরাং তাঁদের সবার সই ছাড়া, অন্তত চেকে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের টাকা তোলা বা কাজে লাগানো যায় না।

এমন অনেক স্কুল আছে যেখানে ম্যানেজিং কমিটি ও স্কুল সম্পাদক এই বিষয়ে কোনও রকম সহযোগিতা করতে চান না। উদাহরণ হিসাবে নদিয়া জেলার একটি ব্লকে এমনই একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের কথা জানি যেখানে গত বছর ডিসেম্বরে প্রথম টিএলএম অঙ্কন হয়েছে। কিন্তু এখনও অক্ষর শিল্পীকে পারিশ্রমিক দেওয়া যায়নি ম্যানেজিং কমিটি (পঞ্চায়েত সদস্য) এবং পঞ্চায়েতের এগজ়িকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট-এর সইয়ের গড়িমসিতে। গত মার্চে ব্লকের বিডিওকে লিখিত ভাবে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। অগত্যা নিজের বেতনের টাকা থেকেই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বিল-সহ স্কুলের দৈনন্দিন খরচ চালাতে হচ্ছে মুখ্য সহায়িকাকে।সুতরাং কম্পোজ়িট গ্রান্ট বা স্কুল অ্যাকাউন্টে যে কোনও খাতের টাকা ঢুকুক বা না ঢুকুক কিছু আসে যায় না। সম্মিলিত সহযোগিতা ছাড়া সে টাকা স্কুলের কাজে লাগে না।

ট্যাব প্রকল্প, লক্ষ্মীর ভান্ডার, ‘শ্রী’ যুক্ত নানা প্রকল্প, আবাস যোজনা, কৃষকবন্ধু ইত্যাদি প্রকল্প এবং মেলা-খেলা-পুজো’সহ ধর্মীয় উৎসব-কার্নিভাল-উদ্বোধন ইত্যাদি সরকারি নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজ্যের নাগরিকের প্রতি আর্থিক অনুদান বেড়ে চলেছে। অথচ, এমন সরকারি অনুদান উপভোক্তা অনেক পরিবারেরই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ‘চক-ডাস্টার কেনার টাকাও নেই বহু স্কুলে’। এ-হেন চরম উদাসীনতা সবাই খালি চোখে দেখছেন, বুঝছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে তাঁদের জিতিয়ে কার্যত মেনেও নিচ্ছেন। আবার অন্য ভাবেও সমর্থন করছেন। যেমন, বড় পুজোর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।বসিরহাটের কাছে আমাদের পৈতৃক গ্রামে এখনও বসবাস করেন এমন এক আত্মীয় জানালেন, এই বছর আবার একটা জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়েছে। ওই গ্রামেই এক মাস আগে অন্তত ১০টা দুর্গাপুজো হয়েছে। এই নিয়ে সেখানে তিনটি জগদ্ধাত্রী পুজো হল। এ ছাড়া অন্নপূর্ণা, সরস্বতী, গাজন, নবান্ন সারা বছর লেগেই আছে। এ বার বন্যায় ধান, আখ ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সরকারি সহায়ক ক্রয়মূল্য ও উৎপাদকের অসহায় বিক্রয়মূল্যের দুষ্টচক্রে কৃষিকাজে লাভ দূরের কথা, উৎপাদনের মূল্যটুকুও ওঠে না। তা হলে এত পুজোর অর্থ কে দেয়, কারা কাজের ফাঁকে এত শ্রম দেয়? এই সরকারি সাহায্যের ভাল-মন্দ ও উপযোগিতা বিষয়ে গবেষণা হয়েই চলেছে, ভবিষ্যতেও হয়তো হবে। কিন্তু এরই মাঝে যে শিক্ষাক্ষেত্র অশিক্ষা ও কুশিক্ষার অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে, সে বিষয়েও ভাবা প্রয়োজন।

বর্তমান শিক্ষানীতি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। আবার শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত, মামলা, বিচার প্রক্রিয়াও দীর্ঘ হচ্ছে। এতে রাজ্যের রাজস্বের অপচয় হচ্ছে, রাজস্ব ব্যয় বেড়ে সরকারের ঋণ বাড়ছে, স্থায়ী সম্পদের জন্য পুঁজি বিনিয়োগের সম্ভাবনা আরও কমছে। এ সবে সরকার ও তার উপদেষ্টা, শাসক দলের রাজনীতি ও তার সমর্থক, বুদ্ধিজীবী— কারও নজর দেওয়ায় সময় নেই। ভয়ে বা ভক্তিতে, শিক্ষার সহযোগী সাহিত্য-সংস্কৃতি জগৎ এই নৈরাজ্য ও নেই-রাজ্য দেখেও নীরবে সমর্থন জানিয়ে যাচ্ছে। বনিয়াদি শিক্ষার সুযোগ কমে যাচ্ছে।

সরকারি স্কুলগুলি একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাসহায়ক সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি যে দ্রুততায় বাড়ছে, তা নিয়ে ভাবা প্র্যাকটিস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিছুতেই হিসাব মিলছে না।এদিকে গত বছর বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্য সরকার মহার্ঘ ভাতা কম দেয় বটে কিন্তু ছুটি দেয় প্রচুর। আসলে যত ছুটি বাড়বে, চক-ডাস্টার কম লাগবে। পড়ানো কমলে শিক্ষকের সংখ্যা, তাঁদের বেতন সবই কমবে। শিক্ষকরা চিকিৎসকদের মতো সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে সংস্কারের দাবি তুলে আন্দোলন করলে হয়তো আলোর দিশা পাওয়া যেতে পারে।

বামফ্রন্টের আমলে কর্মনাশা ‘বন্‌ধ’-এর রাজনীতি রাজ্যের কর্মসংস্কৃতিকে নষ্ট করেছিল, প্রতিবাদীদের রক্ষণশীল, বুর্জোয়া ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত করা হত। বর্তমানের রাজ্য সরকার সেই আন্দোলনের পথ হিসাবে বন্‌ধকে বন্ধ করেছে বটে, কিন্তু উল্টো পথে কর্মনাশা দেদার ছুটিকে রাজনীতির হাতিয়ার করেছে।ছুটিপ্রিয় বাংলার শিক্ষক, কর্মচারীদের অনেকেই নাকের বদলে নরুন পেয়ে বেশ মজাতেই আছেন।

বিদ্যালয়গুলিতে ছুটির সংখ্যা ১৫০ দিনের উপর যুক্ত হচ্ছে নানা ধরনের ব্যক্তিগত ছুটি। সংখ্যা গড়ে বছরে কম করে ৩০ দিন। ছুটির পরে নতুন কর্মোদ্যম সৃষ্টির পরিবর্তে কাজে অনুৎসাহ তীব্র হচ্ছে। সারা বছর ছুটি থাকলেও অনেকেরই তাতে ক্লান্তি আসে না। দেদার ছুটির ফলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও পড়াশোনা এবং বিদ্যালয়ে আসার প্রতি অনীহা লক্ষ করা যাচ্ছে। আসলে ছাত্রছাত্রীরা কিন্তু বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসতেই চায়। বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে চায়, আনন্দ ভাগ করে নিতে চায়। কিন্তু আমরা তাদের সেই অভ্যাস নষ্ট করে দিচ্ছি। তা ছাড়া সস্তায় জনসমর্থন পাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে পাইয়ে দেওয়ার যে রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে, সেগুলি রূপায়িত করতেই শিক্ষক থেকে শিক্ষাধিকারিক, শিক্ষাপ্রশাসন পর্যন্ত সকলেরই সিংহভাগ সময় ও মনোযোগ চলে যাচ্ছে। তাই বিদ্যালয়গুলি যেন পঞ্চায়েতেরই আর এক রূপে পরিবর্তিত হয়েছে। সেখানে যেন অভিভাবকদের আসা-যাওয়া বেড়েছে শুধু পাওনা-গন্ডা বুঝে নেওয়ার জন্য! বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা যেন প্রধান করণিকে পরিণত হয়েছেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ভাব জিনিসটাই সকল অনুষ্ঠানের গোড়ায়। যদি ভাব না থাকে তবে নিয়ম থাকতে পারে, টাকা থাকতে পারে, কমিটি থাকতে পারে কিন্তু কর্মের শিকড় কাটা পড়ে তা শুকিয়ে যায়। রাজ্যে ৮০ শতাংশ পড়ুয়া সরকারি বা সরকারি সহায়তাপ্রাপ্ত স্কুলে পড়াশোনা করে। অনেকের টিউশনের সুযোগ কম, এরা মূলত স্কুলের পড়াশোনার উপর নির্ভরশীল। যত বেশি দিন স্কুল খোলা থাকবে তত এদের লাভ। সরকারি স্কুলের মানোন্নয়ন না হলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের শিক্ষায় আলোকিত করা সম্ভব হবে না। সব গোলমাল করে দিচ্ছে রাজ্যের ছুটি-সংস্কৃতি। এখনও রাজনৈতিক মিটিং হলে স্কুল বন্ধ করে সেখানে পার্টির লোকজনের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। দুয়ারে সরকার, ভোট, শব্দদূষণ স্কুলশিক্ষার প্রভূত ক্ষতি করছে। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি এই অনৈতিক আচরণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিরাট ক্ষতি করবে। অতিমারিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাজগৎ এ বার ধ্বংসই হয়ে যাবে অতিরিক্ত ছুটির দরুন।আজকাল তো দীর্ঘ ছুটির পরেই আবার ছুটির নোটিস আসছে। কখনও বর্ষায়, কখনও বেশি গরমে বাড়তি ছুটি ভোগ করছে শিক্ষার্থীরা। অথচ সেই একই পরিবেশে বেসরকারি স্কুলগুলি খোলা থাকছে। বাড়তি ছুটিতে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে বহু ছাত্রছাত্রী। কত নাবালিকার বিবাহ হয়ে যাচ্ছে ছুটি সংস্কৃতির তোড়ে।

গত কয়েক বছরে রেল, ব্যাঙ্ক, অফিস, স্কুল-কলেজে ছুটির জোয়ার এসেছে। কর্মসংস্থান কমেছে। ফলে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থা তথা বেসরকারি স্কুলের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। বহু সরকারি স্কুল ছাত্রশূন্য হয়ে বন্ধের মুখে। অথচ তারই পাশে বেসরকারি স্কুল চলছে রমরমিয়ে! মানুষের মনে এই ধারণা বদ্ধমূল হচ্ছে যে সরকারি কর্মচারীরা ফাঁকিবাজ। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, যাকে প্রশাসনের ব্যর্থতা বলা হচ্ছে, তা কি শুধুই ব্যর্থতা, না কি সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা? যার মাধ্যমে বেসরকারি উদ্যোগকে অক্সিজেন জোগানো চলছে? উত্তরটা খোঁজা জরুরি।