নারায়ণ দাস
ভারতের তিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং নেপাল এখন ভারত বিরোধিতায় নেমে তাকে চাপের মুখে রেখেছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের বৈদেশিক নীতির এখন পুনমূর্ল্যায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। পাকিস্তান তো তার জন্মলগ্ন থেকেই ভারত বিদ্বেষী এবং ভারতকে কোণঠাসা করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে চলেছে। এই দেশ ১৯৭১-এ তার এক টুকরো পূর্ব পাকিস্তানকে হারিয়েছে। পূর্ব পাকিস্তান এখন স্বাধীন বাংলাদেশ, যা হতে ভারতের অবদান অবিস্মরণীয়। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনও দিনই উন্নতি হয়নি। এখন যা পরিস্থিতি তা আরও খারাপ। পাকিস্তান এখন নতুন করে আরও একটি সুযোগ পেয়েছে ভারতকে চাপে রাখার। বাংলাদেশ হিন্দু নিদনের এবং বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের সঙ্গে একটা মৈত্রীর বন্ধন সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের পর থেকে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার যার নেতৃত্বে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মহম্মদ ইউনূস খান পাকিস্তানকে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়তে। এ কাজে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশের প্রধান দল বিএনপি এবং আর দোসর জামায়েতে ইসলামী, কট্টর মৌলবাদী সম্প্রদায় এবং পাকিস্তানী ভক্তরা।
বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের সময় তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা প্রাণ বাঁচাতে দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। ভারতও তাঁকে সমাদরকরে আশ্রয় দিয়েছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র সম্প্রতি বলেছেন হাসিনা ভারতে আছেন এবং থাকবেনও। হাসিনাও বলেছেন, তিনি সবকিছু ফেলে চলে এসেছেন এবং ভারতই তাঁকে তা দিয়ে সাহায্য করেছে। হাসিনা ভারতে অবস্থান করে মাঝেমধ্যে যেসব বিবৃতি দিচ্ছেন, তা নিয়ে সরব বিএনপি।
পাকিস্তান দেখল এই সুযোগ বাংলাদেশে যে করেই হোক তার প্রাধান্য বিস্তার করা এবং তা করতে আরম্ভও করে দিয়েছে ভালোভাবে। বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কোলাকুলির আগেই নানা পণ্যসাম্গরী নিয়ে একটি জাহাজ করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। আবার এই দু’জন সম্প্রতি আলিঙ্গনবদ্ধ হওয়ার পর আরও একটি জাহাজ বিভিন্ন পণ্য ও অস্ত্রশস্ত্র সহ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে ভিড়েছে। ইউনূস খানকে পাক প্রধানমন্ত্রী ভরসা দিয়েছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান বাংলাদেশের পাশে আছে এবং সবরকম সাহায্য দেবে।
এই দু’টি জাহাজে আসলে কী কী রয়েছে, তা নিয়ে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে এবং কিছুটা ভারতেরও। অনেকের ধারণা, জাহাজে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে অস্ত্রাদি রয়েছে। কৌতূহল আরও ব্যাপক আকার ধারণ করেছে যখন তদারকি সরকারের প্রধান খান সাহেব জাহাজ দু’টিতে তল্লাশি চালাতে নিষেধ করেছে গোয়েন্দা পুলিশকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই সর্বপ্রথম এ দেশে তার প্রভাব ও প্রতিপত্তি বিস্তার করার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান শাসকের বদান্যতায়। বিএনপি’র নেতারা এবং প্রাক্তন সেনাকর্তারা মাঝে মাঝেই জিগির তুলছে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে নামার। এই জিগিরকে সাধুবাদ জানিয়েছে পাকিস্তানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী। ভারত এ ব্যাপারে কিছু না বলে যথেষ্ট সংযমের পরিচয় দিয়েছে, যা মনঃপুত নয় বিরোধী নেতাদের। তাঁরা চান ভারত সরকার বাংলাদেশ নিয়ে একটি কড়া মনোভাব নিক। কারণ বাংলাদেশে এখন ভারত-বিরোধিতার সঙ্গে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছেই।
মন্দির ধ্বংস এবং মূর্তি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। হিন্দু নাগরিকরা এখন বাংলাদেশে নিরাপত্তার অভাবে মহা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি। ভারত শুধু তার বিদেশ সচিবকে সম্প্রতি বাংলাদেশে পাঠিয়েছে সে দেশের বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করতে। বিদেশ সচিবের বৈঠকের পরেও বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিপীড়নএবং মন্দির ধ্বংস বন্ধ হয়নি। প্রায় প্রতিদিনই খবর আসছে মন্দির ধ্বংসের।
বাংলাদেশে যদি পাকিস্তানের আধিপত্য বাড়ে এবং এটি একটি ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়, তাহলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈরিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। যদিও এখনও পর্যন্ত দুই দেশের সম্পর্কে সে ধরনের তিক্ততার সৃষ্টি হয়নি। ব্যবসাবাণিজ্য চলছে। ভারতের পণ্য সামগ্রীও বাংলাদেশে যাচ্ছে। আবার সেই সঙ্গে ভারতের পণ্য বর্জন করারও ডাক দিয়েছে বিএনপি-র নেতারা। বাংলাদেশ যেভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোর চেষ্টা করছে, তা দেখে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে এই বাংলাদেশ আবার সাবেক পূর্ব পাকিস্তানেররূপ নেবে, যা ভারতের কাছে সর্বদা অস্বস্তির কারণ হয়ে দেখা দেবে। বিএনপি নেতারা তদারকি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন অবিলম্বে বাংলাদেশে নির্বাচন করার জন্য।
কিন্তু তদারকি সরকারের প্রধান বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে বাংলাদেশে ২০২৫-এর শেষে অথবা ২০২৬-এর প্রথম দিকে নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু নির্বাচনের জন্য এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতেরাজি নন বিএনপি নেতারা। যখনই নির্বাচন হোক না কেন, বিএনপি এবং জামায়েত ইসলামীদের জেতার সম্ভাবনা বেশি। আওয়ামি লিগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিলেও, এই দলের প্রার্থীরা যাতে ভোট না পায়, তার জন্য বাংলাদেশ প্রশাসন এবং বিএনপি এবং মৌলবাদীরা সবরকম চেষ্টা করবে। তদারকি সরকারের প্রধান ইউনূস খান তাড়াতাড়ি গদি ছাড়বে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশে এখন যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য ভারতের উদ্বেগের কারণ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশ মানেই মিনি পাকিস্তান। যদিও যে সরকারই বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আসুক না কেন, ভারতের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে চলতে পারবে না। তবে ভারতকে সবসময়ই একটা অস্বস্তিতে রাখবে এই সরকার। দিল্লির সাউথ ব্লক সূত্রে বলা হয়েছে, ভারত কখনও চায় না বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কে অবনতি হয়ে একটি তিক্ততার সৃষ্টি হোক। যদি হয়ও তা হবে পাকিস্তানের জন্য। এখন দেখার ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক কোন দিকে গড়ায়। ভারতের চিন্তা বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের জন্য— কারণ তাদের ওপর পীড়ন ও অত্যাচার বন্ধ না হলে, তারাই বা কোথায় যাবে? কারণ এখনও বহু হিন্দু পরিবার অত্যাচারিত হয়ে, সর্বস্ব খুইয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার জন্য সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছে। বিএসএফ তদের ঢুকতে দিচ্ছে না।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মাঝে বাংলাদেশের মতোই অপর নিকটবর্তী প্রবেশী হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল। নেপালের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কে দীর্ঘদিনের। কিন্তু এই দেশটি ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের গুরুত্ব না দিয়ে এখন চিনের সঙ্গে মিত্রতা বাড়াতে বিশেষ উৎসাহী ও তৎপর। চিনও নেপালকে সাহায্য করতে বিশেষ আগ্রহী। কারণ নেপালে চিন যদি তার আধিপত্য বিস্তারকরতে পারে তাহলে ভারতের সঙ্গে অস্বস্তির কারণ হবে। চিনও ভারতকে একটা চাপে রাখতে চায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেন, তকন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেচিলেন, তিনি সুযোগ পেলেই ভারতে যাবেন ভারত সরকারের আমন্ত্রণে। কিন্তু ভারত আমন্ত্রণ জানালেও ওলি ভারতে না এসে বেজিং চলে গেলেন চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ঐক্যের সম্পর্ক পাকাপোক্ত করতে। ওলির চিন সফরের ফলে বেজিং নেপালের আরও কাছে চলে এল। নেপলের চিনের সঙ্গে এই মাখামাখি দিল্লির সাউথ ব্লককে আরও দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দিল। যদিও ভারত-নেপাল সম্পর্কে চির ধরবে না বলে মোদী সরকার আশা করে। কিন্তু নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির মতিগতি বোঝা দায়। ওলি চিনের বন্ধুত্বকে বেশি গুরুত্ব দেয়।
বেজিং সফর শেষে দেশে ফিরে এসে ওলি সাংবাদিকদের জানালেন, তাঁর সঙ্গে বেজিংয়ের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। চিন নেপালকে সবদিক থেকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বেজিংয়ের সঙ্গে নেপালের ১০টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তিগুলি বাস্তবে রূপ দিতে চিনের শীর্ষ নেতারা আগ্রহ দেখিয়েছেন। চুক্তিগুলির মধ্যে অন্যতম বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ—(বিআরআই)। ২০১৭ সালে চিনের এই প্রকল্পে যোগ দেয় নেপাল। এই প্রকল্প বাস্তবীকরণ হলে, তৈরি হবে নতুন সড়ক, রেল সম্প্রসারণ এবং বিমানপথ। এই প্রকল্প মারফত চিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, এমনকি ইউরোপ পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়তে চায়। কিন্তু চিন ও নেপাল এই প্রকল্পকে গুরুত্ব দিলেও, এই প্রকল্পের কাজে তেমন গতি আসেনি। সেই জট কীভাবে কাটানো যায়, তার জন্য বেজিংয়ের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ওলির কথা হয়েছে। ওলি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপংয়ের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বিআরআই প্রকল্প ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ নিয়ে ওলি কথা বলেছেন চিনের নেতাদের সঙ্গে। কথা হয়েছে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়েও। ঠিক হয়েছে ২০২৫ সাল থেকে ২০২৯ পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চিন সর্বতোভাবে নেপালকে সাহায্য করবে। ওলি চিনের শিল্পপতিদের নেপালে বিভিন্ন প্রকল্পে লগ্নি করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে দিল্লির ঘোর আপত্তি সত্ত্বেও পোথরা বিমান বন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নতির জন্য নেপাল চিনের কাছ থেকে ২০ কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য নিয়েছে। কারণ ভারতের আশঙ্কা সামরিক ওড়ান ঘাঁটি হিসেবে পোথরা বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে চিন।
চিনের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। অনেক সময় সম্পর্কের সাময়িক উন্নতি হয়, আবার অবনতিও চোখে পড়ে। অরুণাচল প্রদেশের অনেক অঞ্চল চিন অন্যায়ভাবে দখলকরে রেখেছে বলে ভারতের অভিযোগ। সংসদে রাহুল গান্ধি চিনের এই আগ্রাসী নীতির বিরোধী। তিনি চান যে কোনও উপায়ে ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। চিন বাংলাদেশেও তার আধিপত্য বিস্তার করেছে। যা ভারতের উদ্বেগের কারণ। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, জাতীয় সড়কে নির্মাণে বিভিন্নভাবে সহায়তা করছে। দিয়েছে একটি সাবমেরিনও। চিন তার প্রভাব প্রতিপত্তি বালাদেেশ বিস্তার করেছে শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রিত্ব কালেই। এই ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা হলে শেখ হাসিনা দিল্লিকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, চিন আমাদের বাণিজ্যিক বন্ধু। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক চিরস্থায়ী— এ সম্পর্কে কোনও দিন ফাটল ধরবে না।
হাসিনা বললেও চিন বাংলাদেশের মাধ্যমে ভারতের ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে। যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে সাউথ ব্লকের।
কিন্তু ভারত চিনের নেপাল ও বাংলাদেশে তার আধিপত্য বিস্তারকে কখনও ভালোভাবে নিতে পারছে না। এবারও বাংলাদেশে যখন নানা অশান্তি চলেছে গণ অভ্যুত্থানের পর, চিন বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে বলেছে, বেজিং সবসময়ই বাংলাদেশের এই দুঃসময়ে পাশে আছে এবং এই দেশকে নানাভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও বাংলাদেশে এখন উন্নয়ন প্রক্রিয়া প্রায় স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্য সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে গেছে।
বিরোধী নেতারা মনে করেন পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং চিন যেভাবে ভারত বিরোধিতায় নেমেছে, তা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। তাঁদের অভিযোগ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে নেমেছে মোদী সরকারের আমলেই। এখন বাংলাদেশও ভারতের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে। পাকিস্তান তাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে। চিন ও পাকিস্তান যদি বাংলাদেশে এসে তাদের আধিপত্য বিস্তারকরে, তাহলে ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে। আবার নেপাল যদি চিনের সঙ্গে ভারত বিরোধিতায় নামে, তাহলে তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রই ভারতের কাছে বিপদস্বরূপ। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি চিন ঘুরে এসেছেন। সেখানে তিনি চিনের নেতাদের সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথাবার্তা বলেন।
ভারতের উচিত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করা। এখন বাংলাদেশে যা চলছে, তা ভারতের কাছে উদ্বেগের। এই দেশের ঘটনাবলী এবং সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের জন্য ভারত চিন্তিত।