• facebook
  • twitter
Wednesday, 18 December, 2024

বাংলাদেশ সংকট: উত্তরণে আস্থা জনগণেই

ফ্যাসিবাদের সবচাইতে বড় কৌশল হল মিথ্যা বয়ান তৈরি করে জনমত তৈরি করা। পরে সম্মতি উৎপাদনের মাধ্যমে সেই বয়ানকে জিইয়ে রাখা হয়। ফলে সরকার, প্রশাসন আর রাষ্ট্র যে আলাদা – জনগণ এই ধারণা ক্রমশ হারিয়ে ফেলে। একথা ঐতিহাসিকভাবে সত্য যে জনগণের এক অংশকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে টিকে থাকতে হয় আর মাঝখানে যদি কাঁটাতার থাকে, তাহলে ব্যাপারটা আরও সহজ হয়। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের জনগণের এক ঐতিহাসিক আত্মিক বন্ধুত্ব রয়েছে, যা বহুকালের।

প্রবীর মজুমদার

প্রথমেই নিরপেক্ষতার ধারণাটা পরিষ্কার হওয়া দরকার। আসলে কেউ নিরপেক্ষ নয়। সাংবাদিক দূরে থাক, ক্রিকেট খেলার আম্পায়ার পর্যন্ত নিরপেক্ষ নন। বোল্ড আর দিনের আলোর মত পরিষ্কার ক্যাচ আউট ছাড়া আর সব আউটের ক্ষেত্রেই ফিল্ডিং দল আম্পায়ারের কাছে আবেদন করে। তিনি আইন মেনে নিজের বিবেচনা মত আউট দেন, প্রয়োজনে অন্য আম্পায়ারের পরামর্শ নেন, কখনো বা প্রযুক্তির সাহায্য নেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত এক দলের পক্ষে যায়, অন্য দলের বিপক্ষে। অর্থাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে তাঁকে একটা পক্ষ বাছতেই হয়। বিশেষ করে লেগ বিফোর উইকেটের মত আউটের ক্ষেত্রে শেষ কথা বলে আম্পায়ারের ব্যক্তিগত মত। আগে এই মতের গুরুত্ব অনেক বেশি ছিল, এখন বিপুল পরিমাণ প্রযুক্তির ব্যবহারে অনেকখানি কমেছে। তবু দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিও শেষ কথা বলতে পারছে না। তখন টিভি আম্পায়ারের বিবেচনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে ছাড়ে না, অনেকসময় পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার অভিযোগও ওঠে। ক্রিকেট খেলার দৃষ্টান্ত এই কারণেই দেওয়া, যে জীবনের মত ক্রিকেট খেলাতেও বহু জিনিস মানবিক বিবেচনার উপরেই শেষপর্যন্ত নির্ভরশীল। যেমন বৃষ্টি হওয়ার পরে মাঠ খেলার উপযুক্ত হয়েছে কিনা সেই সিদ্ধান্ত অন্তত এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র দুই আম্পায়ারের বিবেচনার ভিত্তিতেই ঠিক হয়।

কালই ফোনে কথা হচ্ছিল বাংলাদেশের এক অনুজপ্রতিম সাংবাদিকের সঙ্গে। সে বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তার অনুযোগ, ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের যে চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে তা অনেক অংশে শুধু অতিরঞ্জনই নয়, অপতথ্যে পরিপূর্ণ বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন প্রচার। এই বয়ান বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে টালমাটাল করে দিয়ে আধিপত্যবাদী আচরণ বজায় রাখারও এক কৌশল। এই কৌশল বৃহত্তর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা থেকে ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দলগুলো চর্চা করে থাকে, ভোটের রাজনীতি তো আছেই। ভারতীয় গণমাধ্যমের এই ভূমিকা কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক বাংলাদেশি হিন্দুদের জন্য। এর ফলে হিন্দু জনগণ স্থানীয় রাজনীতিতে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। একইভাবে জমি দখল, আর্থিক বৈষম্য এবং সাম্প্রদায়িক হামলার যেসব ঘটনা সত্যিই ঘটে, সেসবের সমাধান এবং বিচার ধামাচাপা পড়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। তার সবচেয়ে বড় শিকার হয় আর্থিক ও সামাজিকভাবে তুলনামূলকভাবে দুর্বল হিন্দুরা। শাসকশ্রেণি ধর্মীয় চেতনাকে হাতিয়ার বানিয়ে বরাবরই জনতাকে বিভক্ত করে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখে। এই প্রক্রিয়া সাধারণ মানুষের মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির অনুঘটক হিসাবে কাজ করে। ফলে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। তাই এই বিপদ যতখানি বাংলাদেশি হিন্দুর, ততখানি ভারতীয় হিন্দুরও।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটেছে। একইসঙ্গে এই পতন রাষ্ট্রীয় কাঠামো, সরকার এবং জনগণ সম্পর্কের কিছু নতুন বিষয় উন্মোচন করেছে। ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী যে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে নানাবিধ নৈরাজ্য দেখা দিচ্ছে দেশে। এর কারণ অভ্যুত্থানে শুধুমাত্র একটা সরকারের পতন ঘটেনি, একটা আস্ত শাসনকাঠামোর পতন ঘটেছে। বিশেষ করে জনগণের উপর রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখতে সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা ক্ষুণ্ণ করেছে। ফলে ৫ অগাস্ট পরবর্তী পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পুনর্গঠন একটি দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়া হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যা অবশ্যই সময়সাপেক্ষ।

এই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর হামলার অতিরঞ্জিত, অবাস্তব, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন খবর বাংলাদেশের সামাজিক সংহতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কেও আরও বিপদে ফেলছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এই কৌশলী প্রচার মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ও বিভেদ সৃষ্টি করছে।

একথা সত্য যে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বরাবরই ছিল, এখনো চলছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, এই নির্যাতন বা সাম্প্রদায়িক আচরণ কি স্বতঃস্ফূর্ত জনতার কীর্তি, নাকি শাসকশ্রেণির চাপিয়ে দেওয়া? বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শাসকশ্রেণির বিবর্তন, বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতার পরিস্থিতি, হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের বিবর্তনের স্বরূপ সম্পর্কে ধারণা না থাকার ফলে ভারত, এমনকি পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও এখানকার মিডিয়ার প্রচারে প্রভাবিত হচ্ছেন।

ইতিমধ্যে কিছু বালখিল্য অবসরপ্রাপ্ত বাংলাদেশী সেনা কর্মকর্তা ঢাকার মিছিল থেকে হুঙ্কার ছেড়েছেন, চাইলে চারদিনের মধ্যে কলকাতা, ত্রিপুরা, অসম দখল করে নিতে পারি। অন্যদিকে, এপারেও শুরু হয়েছে দুই দেশের সামরিক শক্তি নিয়ে মিডিয়ার আস্ফালন। এরই নাম দেশপ্রেমের জিগির। ফলে দায়িত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদে আসীন নেতার আস্ফালন, সীমান্তে গিয়ে অশান্তি সৃষ্টি, বাংলাদেশের মানুষকে ভাতে মারার হুঙ্কার সীমান্তের দুই প্রান্তের মোটা মাথাদের এক বন্ধনীতে এনে দিয়েছে, ধর্মকে যারা রাজনীতির অস্ত্র ছাড়া কিছু ভাবতে পারেনা।

যদিও এটাই সব নয়। এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেও সময়ের দাবি মেনে ওপারের কিছু মানুষ ভিন্ন কথা বলেছেন। জাতীয় ঐক্য রক্ষার নামে নিজের গদি বাঁচাতে ইউনুসের ডাকা বৈঠকে যেমন বাংলাদেশের কবি ও মানবতাবাদী বিশিষ্টজন ফরহাদ মজহার জোর গলায় প্রশ্ন তোলেন, চিন্ময়কৃষ্ণ দাস কী এমন অপরাধ করেছেন যে সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে জামিন না দিয়ে জেলে আটকে রেখেছে? তিনি তো তাঁর ধর্ম সম্প্রদায়ের দাবিদাওয়া পেশ করতেই পারেন।

বাংলাদেশের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভারতের জাতীয় পতাকা ও প্রতীকের অমর্যাদার ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণজ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপক শামিম রেজা বললেন, ‘কেন আমরা ভারতের জাতীয় প্রতীকের অবমাননা করলাম? ভারতে ঘটেছে বলেই আমাদের করতে হবে?’ আরও বলেছেন, ‘দূতাবাসে কতিপয় মানুষ হামলা করেছে। তার জন্য গোটা ভারতকে কেন শত্রু ভাবছি আমরা?’ ক’দিন আগে আর একটি টিভি শো’য়ে তিনি সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে ইউনুস সরকারকে বিদ্ধ করে বলেছেন, ‘কম বা বেশি, সংখ্যাটা আসল নয়, যে ক’টি ঘটনাই হয়ে থাক না কেন, সেগুলি স্বীকার করে নিতে হবে। এড়িয়ে গেলে, উপেক্ষা করলে চলবে না।’ সংখ্যালঘু নিপীড়ন, নির্যাতনের ঘটনাগুলি নিয়ে তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরির দাবিও তুলেছেন এই প্রবীণ অধ্যাপক।

বাংলাদেশের হিন্দু জনগণের পশ্চিমবঙ্গে অভিবাসনের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯০৫ সালের পর থেকে হিন্দুদের যে অভিবাসন পশ্চিমবাংলায় ঘটেছিল, তা ১৯৪৭ সালের পর থেকে ত্বরান্বিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর তা আরও তীব্র হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক হিংসায় আক্রান্ত হয়ে বহু হিন্দু বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে চলে যান, যা পশ্চিমবাংলার স্মৃতিতে এখনো তাজা। সেই স্মৃতির কারণে বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতনের গল্প প্রচার করে পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে প্রভাবিত করা অনেক সহজ। তবে ২০২৪ সালের বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে হিন্দু শরণার্থীর সেই চাপ ভারতকে নিতে হয়নি। অথচ ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে হাজার হাজার হিন্দু অত্যাচারিত, আহত এবং নিহত হচ্ছেন। যদি বাস্তব পরিস্থিতি এর কাছাকাছিও হত, তবে ভারতের পক্ষে শরণার্থীর স্রোত ঠেকানো কঠিন হত।

দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর হিসাব জটিল এবং রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত, যা দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রচার এবং নির্বাচনী কৌশলের অন্যতম বড় অস্ত্র সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা। অথচ গত ১৬ বছরে হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে অগ্নি সংযোগ ও সম্পত্তি দখলের ঘটনা নজিরবিহীন। বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২১ সালের দুর্গাপুজোতেই ৫১৭ খানা মন্দির এবং পুজো মণ্ডপে হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ১৩-১৭ অক্টোবর, মাত্র তিনদিনেই হামলা হয় ৭০-এর বেশি মন্দিরে। অথচ হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় গণমাধ্যম ৫ অগাস্টের আগে বাংলাদেশি হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে এত উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। বলা বাহুল্য, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার প্রশ্ন তাদের চিন্তার মূলে নেই। থাকলে একই ধরনের উদ্বেগ বিগত বছরগুলোতেও প্রকাশ করা হত।

পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালিদের স্বাধিকার আন্দোলন, বাংলা ভাষার জন্য লড়াই-সংগ্রামের মোকাবিলায় পাকিস্তানের পশ্চিমী শাসকেরা কথায় কথায় ‘ইসলাম খতরে মে হ্যায়’ এবং যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিকে হিন্দুস্থানের ষড়যন্ত্র বলে চালাত। ইউনুস তাঁর অনন্ত ব্যর্থতা ঢাকতে ইসলাম এবং বাংলাদেশকে এক করে বিপন্নতার রব তুলেছেন। এপারে হিন্দুত্ববাদীদের হুংকার শুনে মনে হচ্ছে, সীমান্তের অপারে এমন পরিস্থিতিই তাদের প্রত্যাশিত ছিল। ভারতের দুই প্রান্তে দুটি ইসলামী মৌলবাদী শাসিত দেশ থাকলে দেশের ক্ষতি বটে, হিন্দুত্ববাদীদের লাভ। তারা আরও গলা চড়িয়ে বলতে পারবে, ‘হিন্দু খতরে মে হ্যাঁয়’। ভারতের আম নাগরিক, নাগরিক নেতৃত্বকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চান।

ফ্যাসিবাদের সবচাইতে বড় কৌশল হল মিথ্যা বয়ান তৈরি করে জনমত তৈরি করা। পরে সম্মতি উৎপাদনের মাধ্যমে সেই বয়ানকে জিইয়ে রাখা হয়। ফলে সরকার, প্রশাসন আর রাষ্ট্র যে আলাদা – জনগণ এই ধারণা ক্রমশ হারিয়ে ফেলে। একথা ঐতিহাসিকভাবে সত্য যে জনগণের এক অংশকে অন্যের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকে টিকে থাকতে হয় আর মাঝখানে যদি কাঁটাতার থাকে, তাহলে ব্যাপারটা আরও সহজ হয়। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের জনগণের এক ঐতিহাসিক আত্মিক বন্ধুত্ব রয়েছে, যা বহুকালের। তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা জনগণকেই নস্যাৎ করে দিতে হবে, কারণ এই সম্পর্কের ভিত্তি একে অপরের সংস্কৃতি। তাই যে জনগণ আর জি করের ঘটনায় মধ্যরাতে ঢাকার রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদ জানায় অথবা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে সংহতি মিছিল করে, আমরা সেই জনগণে আস্থা রাখি।