বরুণ দাস
মিটিং-মিছিল, অবস্থান-সমাবেশ-বিক্ষোভ, মানববন্ধন, রাত দখল, মোমবাতি জ্বালানো, অনশন, দ্রোহ-কার্নিভাল, এমনকি, পুজোর আনন্দ থেকে সরে আসার মতো কঠোর ও কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলার প্রতিবাদী মানুষের ঢল। আরজি কর কাণ্ডে এমনই সব প্রতিবাদী পদক্ষেপে নিজেদেরকে শামিল করেছেন নাগরিক সমাজ। না, এমন ‘জনজাগরণ’ এর আগে কখনও দেখেননি বাংলার মানুষ। তিলোত্তমা ‘মরিয়া’ (ধর্ষণ ও খুন) প্রমাণ করিয়াছে যে, জীবিত তিলোত্তমার চেয়েও মৃত তিলোত্তমার শক্তি অনেকগুণ বেশি।
শুধু এই ‘এগিয়ে থাকা’ ‘অভিশপ্ত বাংলা’ কেন, গোটা ভারত জুড়েই প্রতিবাদের ঢেউ সুনামির মতো আছড়ে পড়েছে। এমনকি, বিদেশের মাটিতেও আরজি কর কাণ্ড আশাতীত নাড়া দিয়েছে। বিশ্বের ১৩টি দেশের ১৩০টির বেশি শহরের মানুষপ্রতিবাদে নিজেদেরকে শামিল করেছেন। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যকে একই সূত্রে বেঁধেছেন তিলোত্তমা (নামান্তরে অভয়া)। অথচ ৯ আগস্ট ধর্ষণ ও খুন হওয়ার আগে পর্যন্ত হাসপাতালের পড়ুয়া-চিকিৎসক সহপাঠী ছাড়া অন্য কেউ তাঁর নামও জানতেন না। তিনি আজ ইতিহাস।
উল্লেখ্য, দিল্লির অভয়া-কাণ্ডও ব্যাপক নাড়া দিয়েছিল গোটা ভারতকে। কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ আইন তৈরি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। তার নামে ফান্ডও তৈরি হয়েছিল। পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডও কম সাড়া ফেলেনি। এছাড়া কামদুনি সহ আরও অনেক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে হইচই হতে আমরা দেখেছি। কিন্তু মিডিয়া মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কিছুদিন পর তা থিতিয়েও গেছে। আরজি কর কাণ্ডের জেরে কিন্তু এখনও প্রায় সমানতালে চলছে। শহর ও শহরতলিজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-আন্দোলন সহ প্রতিকী অনশন পর্ব চলছে।
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অবস্থান মঞ্চে একবার, কালীঘাটে একবার এবং নবান্নে দু-দু’বার আলোচনার পর জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁদের অনশন-অবস্থান তুলে নিয়েছেন। যেভাবে একের পর এক অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা অসুস্থ হয়ে আইসিইউ’তে ভর্তি হচ্ছিলেন, তাতে আমাদের সবার মধ্যেই একটা আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল। যারা রোগীদের সুস্থ করে তুলবেন, তাঁরা নিজেরাই যদি অনশনের ফলে এভাবে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তো রাজ্যের সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের পরিস্থিতি ঘোরালো হতে বাধ্য।
তিলোত্তমার খুনিদের দ্রুত শনাক্ত করে ‘ন্যয্য বিচার’-এর দাবি সহ সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা দুর্নীতিমুক্ত এবং উন্নত করার যে দশ দফা দাবিতে জুনিয়র পড়ুয়া চিকিৎসকরা অনশন-আন্দোলনের পথে নেমেছিলেন, রাজ্য সরকার অবশেষে দেরিতে হলেও, তার সবটা মেনে না নিলেও কিছু দাবির প্রতি ‘সহমত’ পোষণ করে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং শীর্ষ আদালতের চাপে কিছু কাজও শুরু করে দিয়েছেন। যেহেতু শীর্ষ আদালতে এ নিয়ে মামলা চলছে। এ পর্যন্ত আমরা কমবেশি তার সবই জানি।
যে দশ দফা দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান-অনশন আন্দোলন, তাতে তিলোত্তমার খুনিদের দ্রুত ন্যায় বিচারের দাবি অনেকটা পিছনের সারিতে পড়ে গেছে। সামনে এসেছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজের নিরাপত্তা সহ অন্যান্য দাবিগুলি। নৈবেদ্যের ওপর কদলির টুকরোর মতো নাম-কা-ওয়াস্তে এসেছে প্রান্তিক রোগীদের স্বার্থ। আর সত্যি কথা বলতে কী, ফলে যে আন্দোলন জনপরিসরে ব্যাপক মানুষের সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়েছিল, সেই মানুষদের হয়তো সচরাচর সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের দিকে যেতে হয় না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেরও দরকার পড়ে না। কারণ তাঁদের সিংহভাগই আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই স্বাবলম্বী। সামান্য অসুস্থতার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কজেই এই শ্রেণির মানুষের তেমন কোনও অসুবিধে হবে না। কিন্তু ভেঙে পড়া অপর্যাপ্ত সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতি না হলে রাজ্যের প্রান্তিক রোগীদের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে এবং হচ্ছেও। জেলা বা মহকুমার হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসা দূর-দূরান্তের রোগীরা কলকাতার এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ করেও চিকিৎসার সুযোগ পান না।
এমনও দেখা গেছে, ৮-৯ হাজার টাকা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দিয়ে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন বিনা চিকিৎসায়। গুরুতর অসুস্থদের কেউ কেউ আবার অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই প্রাণ হারাতে বাধ্য হয়েছেন। এই করুণ অবস্থার কোনও সুরাহা হল কি? কিংবা প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসকদের আকাশছোঁয়া ফি-এর ব্যাপারে? সামান্য সর্দি-জ্বরেও একজন জেনারেল ফিজিশিয়ানের (এমবিবিএস ডাক্তার) ফি ন্যূনতম ৬০০ টাকা। সঙ্গে একগাদা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কমপক্ষে দেড়-দু’হাজার টাকা আর সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম তো আছেই।
অনেক চিকিৎসকই ইচ্ছে করেই ওষুধ কোম্পানির স্বার্থে বাজারে কম দামের ওষুধ থাকা সত্ত্বেও বেশি দামের ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। ফলে অধিকাংশ মানুষ বাধ্য হচ্ছেন, ওষুধের দোকানে গিয়ে বলে-কয়ে ওষুধ কিনে এনে খেতে। এটা বিপজ্জনক জেনেও কিছু করার থাকছে না। আর সুযোগ বুঝে ওষুধের দোকানিরাও দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে ওই ওষুধ বিক্রি করছেন। অনেক সময়েই ওষুধের প্যাকেট ছিঁড়ে সাদা কাগজের খামে দেওয়ায় তাঁর সঠিক দাম বোঝা যায় না। এই কঠিন বাস্তব পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষের পরিত্রাণের পথ কোথায়?
রোগীদের স্বার্থে জুনিয়র কিংবা বা সিনিয়র চিকিৎসকরা কী এ নিয়ে কখনও একটু ভেবে দেখেছেন? উত্তর সম্ভবতঃ না। অন্ততঃ তাঁদের দশ দফা দাবিদাওয়া থেকে তেমন কিছু স্পষ্ট নয়। নিজেদের কর্মস্থানের ন্যূনতম সুযোগসুবিধার দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালের সামগ্রিক পরিবেশের সুস্থতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও সচেষ্ট হোন। প্রান্তিক রোগীদের প্রতি আরও একটু সদয় হন। যত্নবান হন। তাহলে অনেক প্রাণ বেঁচে যাবে। যাদের কোনও আর্থিক সংগতি নেই বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানোর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহামান্য শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই এবং অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি পুরো বিষয়টি দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে আরজি কর কাণ্ডের ‘মূলনায়ক’ তথা ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় সহ ওই হাসপাতালের সরকারি অবৈধ প্রশ্রয় পাওয়া কীর্তিমান অধ্যক্ষ শ্রীমান সন্দীপ ঘোষ সহ আরও বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়ে জেরার মুখোমুখি। এর মধ্যে তথ্য লোপাটের অভিযোগে অভিযুক্ত টালা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিজিৎ মণ্ডলও আছেন।
আন্দোলনরত জুনিয়র পড়ুয়া-চিকিৎসকদের দাবিতে কলকাতার অভিযুক্ত পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং স্বাস্থ্য ভবনের কতিপয় স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও পড়ুয়া-চিকিৎসকদের বারবার চাপ সত্ত্বেও রাজ্যের অভিযুক্ত স্বাস্থ্যসচিবকে সরানো হয়নি। কিন্তু প্রশ্ন হল, এদের অপসারণে কি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের চেহারা-চরিত্র আদৌ বদলাবে? সম্ভাবনা কম। কারণ স্বাস্থ্য ভবনের আনাচে-কানাচে যে ‘ঘুঘুর বাসা’ রয়েছে, তা যে বাস্তুঘুঘুরা এই আমলেই বেঁধেছে, তা কিন্তু নয়। এই আমলে তা পরিমাণে অনেকটা বেড়েছে।
তারই উজ্জ্বল নজির আরজি করের ‘কলঙ্কিত সুপার’ সন্দীপ ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি। বাম আমলে প্রথম সরকারি হাসপাতালের হাল-হকিকৎ ফেরাতে চেয়েছিলেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কমরেড প্রশান্ত শূর। খোদ এনআরএস-এ সারপ্রাইজ ভিজিট দিয়ে তাঁর দুর্নীতি-বিরোধী কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। বাধা আসে হাসপাতালের সিটু নিয়ন্ত্রিত কর্মী সংগঠনের তরফ থেকে। মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু (সিটুর সর্বভারতীয় সহসভাপতিও) স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রশান্ত শূরকে মহাকরণে তাঁর গরে ডেকে হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট বন্ধ করতে নির্দেশ দেন।
হাত গুটিয়ে নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রসান্ত শূর। জ্যোতি বসুকে অমান্য করার রাজনৈতিক কিংবা প্রশাসনিক ক্ষমতা তাঁর কোথায়? নিজের দলের বিরোধিতায়ই সরকারি হাসপাতালে ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙতে পারেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রশান্ত শূর। মহাকরণ থেকে নবান্ন— সরকার ও প্রশাসনিক কার্যালয় বদলেছে বটে; কিন্তু আজকের শাসকরাই কি ওই ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙতে আদৌ আগ্রহী? অভিযুক্ত সুপার সন্দীপ ঘোষ তাহলে কী করে আরজি কর হাসপাতাল থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে ‘নিরাপদ পুনর্বাসন’ পান?
বলাবাহুল্য, তিলোত্তমার ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি তুলেছেন সবাই। এই সবাইয়ের মধ্যে আছেন তাঁর সহপাঠীরা। আছেন তার বাবা-মা-আত্মীয়-পরিজনরা, আছেন রাজ্যের অগণিত সাধারণ মানুষ। এমন কি, রাজ্যেরস্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যাঁর হাতে, অর্থাৎ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীও। অথচ আরজি কর কাণ্ডে মূল অভিযোগের তির কিন্তু রাজ্যের স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধেই। দ্রুত ন্যায্য বিচারের জন্য যে মন্ত্রকের ভূমিকা প্রধান, সেই মন্ত্রকের কর্তা-ব্যক্তিরাই তথ্যপ্রমাণ বদল ও লোপাটের দায়ে অভিযুক্ত!
তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনে প্রধান অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় এবং হাসপাতালের সুপার সন্দীপ ঘোষও দ্রুত্য ন্যায্য বিচারের ‘দাবি’ জানিয়েছেন। এবার শীর্ষ আদালতের মাননীয় বিচারকগণও কিতাহলেরাজপথে নেমে দ্রুত ন্যায্য বিচারের দাবিতে সরব হবেন? কিংবা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ইডি’র কর্তাব্যক্তিরা? এগুলি আরজি কর কাণ্ডে সবকিছুকে গুলিয়ে দেওয়ারএকটা ষড়যন্ত্র বা সচেতন প্রচেষ্টা নয়তো? দুর্ঘটনার পর প্রায় তিন মাসগড়াতে চলল। সময়ের নিরিখেই ‘জনজাগরণ’ ক্রমশঃ স্তিমিত হবে।
প্রশ্ন হল, মহামান্য শীর্ষ আদালতে শুনানির সময় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ‘ঢিলেমি’র অভিযোগে মাননীয় বিচারকদের ভর্ৎসনা এবং বিচার-ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতার জন্য আরজি কর কাণ্ডে পড়ুয়া-চিকিৎসক তিলোত্তমা আদৌ বিচার পাবেন কি? তাঁর যন্ত্রণাকাতর বাবা-মা-আত্মীয়-পরিজনের সাময়িক (পুজোর সময় বাড়ির সামনে) অনশন-অবস্থান এবং সুবিচারের আসায় দৌড়ঝাঁড় সব বিফলে যাবে না তো? এদেশে অনেক ক্ষেত্রেই ‘যেমনটা হয়ে থাকে’ আর কী! এই লাখ টাকার প্রশ্নটাই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আমাদের অনেকের মাথায়।
আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার ডা. আখতার আলির পুরনো অভিযোগকে যদি সেদিন গুরুত্ব দিয়ে দেখা হত তো আজ আমরা হারাতাম না পড়ুয়া-চিকিৎসক তিলোত্তমাকে। সন্দীপ ঘোষেরাও ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়ে ওঠার অবাধ সুযোগ পেত না। কিন্তু সেদিন টালা থানা কিংবা স্বাস্থ্যভবন, এমনকি, নবান্নর খোদ স্বাস্থ্যসচিবও আখতার আলির অভিযোগকে গুরুত্ব তো দেননি; পরন্তু অভিযোগ জানানোর শাস্তি হিসেবে আখতার আলিকেই বদলি করে দিয়েছিলেন অন্যত্র! তার অভিযোগকে কার্পেটের তলায় চেপে রেখে দিয়েছিলেন।
আজ যা কাঁপিয়ে দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন থেকে প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্ন, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কালীঘাট থেকে উত্তরবঙ্গ (পড়ুন উত্তরবঙ্গ লবির কুখ্যাত মোড়লদের)! রেহাই পাননি সরকারি হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ এবং যাবতীয় মস্তানি-অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতিতে ওতোপ্রতোভবে অভিযুক্ত অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস অ্যান্ড কোম্পানি সহ আরজি করের রোগী কল্যাণ কমিটির চেয়ারম্যান ডাক্তার সুদীপ্ত রায়ও। ডা. শান্তনু সেনকে সরিয়ে যাকে আনা হয় আরজি করের রোগী কল্যাণ কমিটির মাথায়।