পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা পূর্বস্থলী-১ ব্লকের শ্রীরামপুর ইউনাইটেড স্কুল মাঠে গড়ে উঠতে অত্যাধুনিক স্টেডিয়াম। মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় খেলাধুলায় উৎসাহ দিতে বিধায়ক ও সাংসদ তহবিলের টাকায় এই স্টেডিয়াম তৈরির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। আর এবার ইঞ্জিনিয়রদের সঙ্গে নিয়ে স্টেডিয়াম তৈরির কাজ ঘুরে দেখলেন এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ইতিমধ্যে ব্লকের বিদ্যানগর এলাকায় একটি ইনডোর কমপ্লেক্স গড়ে উঠছে। সেখানে জিমনাস্টিক থেকে যোগাসন প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। পূর্বস্থলী-১ ব্লকে খেলাধুলোর উন্নয়নে বছর দুয়েক আগে স্টেডিয়াম গড়ার ভাবনা শুরু করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। খোঁজ শুরু করেন বড় খেলার মাঠের। শ্রীরামপুর ইউনাইটেড স্কুলের মাঠকে বেছে নেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অর্থের ব্যবস্থা করতে নেমে পড়েন। নিজের বিধায়ক তহবিল থেকে মাঠের বাউন্ডারি ওয়ালের জন্য ২০ লক্ষ টাকা অনুমোদন দেন। এরপর স্টেডিয়াম গড়ার জন্য ২০২৩ সালে তৎকালীন সাংসদ সুনীল মণ্ডলের কাছে তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে আর্থিক অনুমোদনের জন্য অনুরোধ জানান। অনুমোদন হয় এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা। সেই টাকায় স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
এসটিকেকে রোড সংলগ্ন এই স্টেডিয়ামের নীচে থাকবে দোকান ঘর। মাঠে থাকবে আধুনিক ড্রেসিংরুম সহ শৌচাগার। মাঠের একদিকে রয়েছে হাইটেনশন বৈদ্যুতিক খুঁটি। এই বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে খরচ হবে ২৬ লক্ষ টাকা। এই বিষয়েও স্বপনবাবু বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী থেকে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। স্টেডিয়াম তৈরি হলেই চাই উন্নত খেলার গ্রাউন্ড ও সবুজ মাঠ। সে ব্যাপারেও তিনি যুব কল্যান দপ্তরের মন্ত্রীর কাছে মাঠের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তার জন্য কথাবার্তা বলেছেন। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক নুরুল ইসলামের সঙ্গেও মাঠের বিষয়ে কথাবার্তা বলেন। মন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি , স্টেডিয়াম যুক্ত খেলার মাঠ গড়ে উঠলে একদিকে যেমন যুব সমাজ খেলাধুলোর উৎসাহ পাবে, তেমনি মাঠে নানান ধরনের খেলাধুলো দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে।আর মন্ত্রী বলেন, ভালো খেলাধুলো করতে গেলে ভালো মাঠ চাই। শ্রীরামপুর ইউনাইটেড স্কুল মাঠটি এসটিকেকে রোড সংলগ্ন হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। স্টেডিয়াম যুক্ত উন্নত খেলার মাঠ গড়ে তুলতে বিপুল টাকা দরকার। আমি বিধায়ক তহবিল থেকে মাঠ ঘেরার জন্য ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়াম তৈরির জন্য প্রাক্তন সাংসদের তহবিল থেকে এক কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। মাঠ ঘেরার পর ননস্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সবুজ ঘাসের মাঠের জন্য যুব কল্যান দপ্তরের মন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে। সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে।