• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 April, 2025

রাজারহাটে মহিলার দেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ছেলে

রাজারহাটে বৈদিক ভিলেজের আবাসন থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। মৃতের ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ।

রাজারহাটে বৈদিক ভিলেজের একটি আবাসন থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম সৌমিক মজুমদার। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই যুবক খুন করেছেন তাঁর মাকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধৃত। ঘটনার তদন্ত করেছে রাজারহাট থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সৌমিকদের বাড়ি মালদহে। ২০২১ সালে রাজারহাটে বৈদিক ভিলেজের মধ্যে একটি আবাসনে ফ্ল্যাট কেনে মজুমদার পরিবার। সৌমিকের বাবা সরকারি চাকরি করতেন। মা-বাবা-ছেলে মালদহ থেকে রাজারহাটে এসে ওঠেন। কিন্তু নতুন ফ্ল্যাটে আসার কিছুদিনের মধ্যেই স্বামীকে হারান দেবযানী মজুমদার। তারপর থেকে তিনি ছেলে সৌমিক মজুমদারকে নিয়েই থাকতেন।

সৌমিক আইটি সেক্টরে কাজ করতেন। বাবা মারা যাওয়ার পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। চাকরি ছেড়ে বাড়িতে থাকা শুরু করেন। এরপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সৌমিক। মাঝেমধ্যেই মায়ের সঙ্গে ঝামেলা হত তাঁর। ব্যাঙ্কের জমানো টাকা পয়সা তুলেই মা-ছেলের সংসার চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, কষ্ট করেই সংসার চলত তাঁদের।

অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে আলমারি থেকে টাকা বের করতে চান সৌমিক। তাতে দেবযানী বাধা দেন। এর পরই ছুরি দিয়ে মাকে খুন করেন সৌমিক। শুক্রবার সকালে আবাসনের নীচে চায়ের দোকানে যান সৌমিক। সেখানেই প্রথম এই ঘটনা জানান। পরে সিকিউরিটি গার্ড গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পান।

খবর দেওয়া হয় রাজারহাট থানায়। সেখানে পুলিশ গিয়ে দেখতে পায়, মেঝেয় পড়ে রয়েছেন মহিলা। কিছুটা দূরে পড়ে ধারালো অস্ত্র। মহিলার গলায় গভীর আঘাতের দাগ মিলেছে। রাজারহাট থানার পুলিশ মহিলার দেহ উদ্ধার করে রেকজোয়ানী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত মেঝেয় পড়ে থাকা অস্ত্র দিয়ে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। মৃতের ছেলে সৌমিক মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই যুবক। তাঁর দাবি, ‘সকালে উঠে দেখতে পাই এই দৃশ্য। আমি মারিনি।’ প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।