একই দিনে দুই মহিলার অর্ধনগ্ন  দেহ উদ্ধার

একই দিনে দুটি মহিলার দেহ উদ্ধার। দুই জেলার দুটি পৃথক ঘটনায় ওই দুই মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথম ঘটনাটি ঘটে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে, দ্বিতীয়টি বীরভূমের মল্লারপুর এলাকায়।

জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত বাঁকাদহ এলাকার কাঠগুড়ির জঙ্গলে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন ৪৬ বছরের এক গৃহবধূ। সারারাত না ফেরায় মৃতার পরিবারের লোকজন জঙ্গলে গিয়ে চিরুনি তল্লাশি চালান। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাননি। সকালে জঙ্গলে ফের খুঁজতে গিয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহের পাশে ঘষটে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। যা দেখে আত্মীয়দের দাবি, অন্তত ২০০ মিটার তাঁকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের।

এব্যাপারে বিষ্ণুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ শীঘ্রই অকুস্থলে পৌঁছয়। পৌঁছন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিরাও। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ উদ্ধার করে বাঁকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ফের ময়নাতদন্তের জন্য দেহ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নিয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। যদিও, তদন্তকারী অফিসাররা জানান, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পরেই জানা সম্ভব হবে।


অন্যদিকে, আরেকজন মহিলার অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বীরভূম জেলার মল্লারপুর থানার অন্তর্গত খরাসিমপুর গ্রামে। একটি পরিত্যক্ত ইটভাঁটার পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে গ্রামবাসীরা মৃতদেহটি দেখতে পান। মৃতা স্থানীয় কেউ নন। গ্রামবাসীরাই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। মৃতার গলায় কালশিটের দাগ ছিল। যা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দড়ি জাতীয় কোনও কিছু দিয়ে শক্ত করে পেঁচিয়ে তাঁর শ্বাসরোধ করা হয়েছে। যার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে, ময়নাতদন্ত না হলে এখনই জোর দিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।

ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলার বাড়ি কোথায়, এখানে কীভাবে এলেন, তাঁকে অন্য কোথাও হত্যা করে এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে, নাকি এখানে এনে হত্যা করা হয়েছে, সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।