রিজার্ভারের বিষাক্ত গ্যাসের কবলে মৃত্যু দুই কর্মীর। মৃতদের নাম অনিল সিংহ (২৫) এবং মুন্না যাদব (২৫)। আসানসোলের একটি নবনির্মিত বাড়িতে রিজার্ভারের কাজ করতে নেমেছিলেন তাঁরা। পুলিশের অনুমান, কোনো আগাম সুরক্ষার ব্যবস্থা ছাড়াই ওই দুই নির্মাণকর্মী আন্ডারগ্রাউন্ডের রিজার্ভারে নেমেছিলেন। সেখানে থাকা বিষাক্ত গ্যাসেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আসানসোলের হিরাপুর থানা এলাকার নিকট একটি পুরানো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। সেখানেই বাড়ির সঙ্গে যুক্ত একটি জমিতে নতুন রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছিল। সোমবার সকালে ঢালাইয়ের পাটাতন খুলতে সকাল ৯ টা নাগাদ এক নির্মাণকর্মী রিজার্ভারে নামেন। কিন্তু অনেকক্ষন তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর অপর এক কর্মীও নিচে নামেন। তিনিও ভিতরে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বাড়ির লোকেরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে দেয় এবং প্রতিবেশীদের ডাকে।
অন্যান্য কর্মীদের মধ্যেও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁরা সহকারী কর্মী দু’জনকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় তাঁরা নিচে নামতে পারেনি। খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশ এবং দমকলবাহিনীকে। তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে। সরু দৈর্ঘ্যের রিজার্ভারের ভিতর থেকে দেহ উদ্ধার করতে দমকলকর্মীদেরও প্রাথমিকভাবে খানিক বেগ পেতে হয়েছিল। পরে দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত বলে জানানো হয়।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই রিজার্ভারটি বন্ধ ছিল। তার ফলে ভিতরে বিষাক্ত গ্যাস জমে যায়। অনুমান, সেই গ্যাসেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই নির্মাণকর্মীদের। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার সতর্ক করলেও শ্রমিকরা সুরক্ষা ছাড়াই কাজ করে। এর আগেও অসতর্কতার কারণে বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবাশিস সরকারের দাবি, পুরসভার অনুমতি ছাড়াই এই কাজ চলছিল। আসানসোল পুরসভার মেয়র বিধান উপাধ্যায় সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।