দিব্য হেঁটে চলে বেড়াচ্ছেন। শারীরিক সমস্যাও খুব একটা নেই। কিন্তু তাঁকে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘মৃত’। এমনকী পঞ্চায়েত থেকে তাঁর জমির ওয়ারিশন সার্টিফিকেট তোলা হয়েছে। সেখানেই কাগজেকলমে ওই প্রৌঢ়কে মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে। বনগাঁর পেট্রাপোল থানার ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে নরহরিপুর এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর বিশ্বাস। তাঁর ৩০ শতক জমি রয়েছে জয়ন্তপুর এলাকায়। ওই জমি ঘিরেই সমস্ত ঝামেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, কানাই সরকার নামে এলাকারই এক বাসিন্দা ওই জমি হাতানোর ছক কষছেন। ওই জমির জাল দলিল ও রেকর্ড বানানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। এরপর শঙ্করবাবু বিএলআরও অফিসের দ্বারস্থ হন।
বিএলআরও অফিসে গিয়ে শঙ্করবাবু জানতে পারেন, তাঁকে মৃত দেখিয়ে ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জমির ওয়ারিশন সার্টিফিকেট তোলা হয়েছে। প্রায় ৪০ বছর আগে নাকি মৃত্যু হয়েছে তাঁর, পঞ্চায়েতে এমন তথ্য দেখিয়ে সার্টিফিকেট তোলা হয়েছে। এরপরে তিনি ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ১৯৬৫ সালে জন্ম শঙ্করবাবু। অর্থাৎ, এখন তাঁর বয়স ৬৯ বছর। অথচ ১৯৮৫ সালে মৃত দেখানো হয়েছে তাঁকে।
শঙ্কর বিশ্বাস জানান, ওই জমির মালিক ছিলেন তাঁর বাবা। ২০১৬ সালে ওই জমি দানপত্র করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। জাল ওয়ারিশন বের করে ওই জমি রেকর্ড করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর পিছনে কোনও চক্রের হাত থাকতে পারে। ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ওয়ারিশনটি জাল। পঞ্চায়েতের মেমো নম্বরের সঙ্গে সেটির কোনও মিল নেই। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।