তিনি যে জমি কিনেছেন সেই জমি থেকে বেরোবার কোন রাস্তা নেই । কেনা জমির সামনে রয়েছে খাস জমি । জমি থেকে বেরোবার রাস্তা তৈরি করতে সেই খাস জমির পাট্টা তার নামে করার জন্য স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের উপর নাছোড়বান্দা চাপ দিচ্ছেন খড়গপুর সদরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সূর্য প্রকাশ রাও। আবাস যোজনার উপভোক্তা তালিকা থেকে তৃণমূল নেতারা যখন নিজেদের নাম কাটাতে ব্যস্ত ঠিক সেই সময় খড়গপুর ২ নং ব্লকের চাঙ্গুয়াল অঞ্চলের ধিতপুরে অঞ্চল প্রধানের উপর তৃণমূল নেতার চাপ তৈরীর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের ধীতপুর মৌজায় একটি জমি সম্প্রতি কেনেন তৃণমূল নেতা সূর্য প্রকাশ রাও । এই জমি ধিতপুর মৌজার ৪০ দাগে ৭২০ ও ৭২১ নং খতিয়ানে। জমির পরিমাণ ১১ ডেসিমেল । এই জমি নিজের নামে রেকর্ডও করিয়ে নিয়েছেন সূর্যপ্রকাশ। মেদিনীপুর খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে অনুমতিও সংগ্রহ করেছেন। আর গোল বেধেছে পর্ষদের এই অনুমতি ঘিরে। মেদিনীপুর খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদ সংক্ষেপে এমকেডিএ-র নিয়ম অনুযায়ী কোনো জমি থেকে বেরোবার রাস্তা না থাকলে সেই জমিতে বাড়ি তৈরির নকশা অনুমোদন করা হয় না। নিয়ম অনুযায়ী সূর্যপ্রকাশেরও এমকেডিএ থেকে অনুমতি পাওয়া সম্ভব নয় । ধিতপুর মৌজার ৩৮ নং দাগে থাকা এই খাস জমির পাট্টা পাওয়ার জন্য তাই চাপ তৈরি করছেন সূর্যপ্রকাশ রাও। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে দলের জেলা স্তরের দুই নেতা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর পাট্টার অনুমোদন দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দীপালী সিং বলেন, সূর্যপ্রকাশ রাও আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি ওই খাস জমির পাট্টা পাওয়ার জন্য আমাকে বারবার বলেছেন । আমি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর সঙ্গে কথা বলেছি । কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েত সূর্যপ্রকাশকে পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেঁকে বসেছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েতের অনুমোদন না থাকলে আমার পক্ষে পাট্টার অনুমোদন দেওয়া কোনোমতেই সম্ভব নয়।
সূর্যপ্রকাশ কি করে অনুমোদন পেলেন সেই প্রসঙ্গে এমকেডিএ চেয়ারম্যান বিধায়ক দীনেন রায় বলেন , আমাদের টেকনিক্যাল জ্ঞান নেই । যিনি সার্ভে করতে গিয়েছিলেন বা আমাদের দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন । আমি এই বিষয়ে খোঁজ নেব।
রাজ্যের শাসক দলের নেতা হওয়ার কারণেই কি অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন সূর্যপ্রকাশ রাও , আপাতত সেই প্রশ্নে তোলপাড় খড়্গপুরের রাজনৈতিক মহল।