তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। পুজোর আবহে ফের উত্তপ্ত মুর্শিবাদের কান্দি। দফায় দফায় বোমাবাজি। সালার থানার মালিহাটি বাস স্টপেজ সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। দুই পক্ষের হাতাহাতিতে জখম ১।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মালিহাটি পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা থেকেই বচসার সূত্রপাত। একটি চায়ের দোকানে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা চলছিল তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে। আলোচনা থেকেই দু’পক্ষের বচসা শুরু হয় এবং বচসা থেকেই শুরু হয় হাতাহাতি। দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতিতে এক তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর। এখানেই শেষ নয়, এলাকায় দফায় দফায় বোমাবাজিও চলে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বোমাবাজির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সালার থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ পর পর ৫টি বিস্ফোরণের শব্দ পান তাঁরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে বোমাবাজির সংখ্যাও। এর পর অন্ততপক্ষে আরও ১০-১২টি বোমা ফাটার শব্দ শোনা যায় বলে জানান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও থমথমে সালার থানার মালিহাটি বাস স্টপেজ সংলগ্ন এলাকা।
কেন অশান্তি? গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণই বা কী? এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মালিহাটি অঞ্চল সভাপতি তথা মালিহাটি পঞ্চায়েত প্রধান রাবিয়া বিবির স্বামী রেজাউল ইসলামের দাবি, পুজোর আগে এলাকায় অশান্ত ছড়াতেই বোমাবাজি করেছে দুষ্কৃতীরা। তবে গোটা ঘটনার সঙ্গে শাসকদলের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সালার থানার পুলিশ।