পর্যাপ্ত ত্রাণ নেই, সরব সুকান্ত, পাল্টা ক্ষোভ এলাকাবাসীর

প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি ডেবরা। জলের তলায় রাস্তাঘাট, জমি। সাধারণ মানুষের মধ্যে খাবার-জলের চাহিদা তুঙ্গে। এই আবেহে বন্যা দুর্গতদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে রবিবার ডেবরার ত্রিলোচনপুরের খাজুরি গ্রামে পৌঁছে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। ত্রাণ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন সরকারের।

গ্রামে পৌঁছে স্থানীয়দের ত্রাণ বিলি করেন সুকান্ত মজুমদার। কথা বলেন গ্রামেরই বাসিন্দাদের সঙ্গে। এরপরই সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘রাস্তার উপরে এক মানুষ জল ছিল। এখন সরে গিয়েছে। কিন্তু মানুষ নৌকা চেয়েও পায়নি। মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রীর চাহিদা রয়েছে। আমাদের যতক্ষণ ক্ষমতা আছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা প্রাণ দেওয়ার চেষ্টা করব’।

ঘাটালের সাংসদ দেবকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুকান্ত। তাঁর কথায়, ‘দেব বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি ত্রাণ দিতে এলে একদিনে কয়েক লক্ষ টাকার লোকসান হবে। তিনি কেন আসবেন? এমন লোককে আপনারা সাংসদ করেছেন’। পাশাপাশি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ঘাটালের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় প্রতি বছর উদ্বাস্তু হচ্ছে। এখানকার সংসদ বলে দিয়েছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়িত না হলে ২০২৬-এর নির্বাচনে তিনি প্রচারে নামবেন না। কিন্তু সরকারের হাতে টাকা নেই। খেলা-মেলা-উৎসব করে সব টাকা শেষ হয়ে গিয়েছে।


দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি টানা বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরবঙ্গও। উত্তরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বলেন, তিস্তাসহ নদীগুলিতে জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে, যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপের দিকে যাচ্ছে।

বন্যা কবলিত এলাকায়  ত্রাণ বিতরণ করে বেরিয়ে যাওয়ার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, মাত্র ৫০ জনের ত্রাণ নিয়ে মুখ দেখাতে এসেছে। ৫০ জন বিজেপি দলের কর্মীদের বেছে  বেছে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কথায়, ত্রাণ দেওয়াটাই লক্ষ্য নয়, রাজনীতি করাই একমাত্র লক্ষ্য ছিল সুকান্ত মজুমদারের।