বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক কোটি টাকা লোপাটের পর বর্ধমান পৌরসভার অ্যাকাউন্ট থেকেও টাকা উধাও হয়ে গেল। আর এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে শহর বর্ধমানে। তবে রাতারাতি প্রায় দেড় কোটি টাকারও বেশি তুলে নেওয়ার পর পৌরসভার কেউ যুক্ত নন বলে আগাম জানিয়ে দেন চেয়ারম্যান। বর্ধমান থানায় এ নিয়ে পৌরসভার পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
চলতি বছরেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত থেকে জাল সই সাবুদ করে প্রায় তিন কোটি টাকার বেশি তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার এখনও তদন্ত শেষ হয়নি,সব অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। তার পরই বর্ধমান পৌরসভার তহবিল থেকে গত শনিবার ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা তুলে নেবার ঘটনা ঘটেছে। নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ। বর্ধমান পৌরসভার পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, পৌরসভার পাশেই একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক রয়েছে। সেখানেই আছে বর্ধমান পৌরসভার একটি অ্যাকাউন্ট। ওই অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা তুলে নেওয়ার পর টনক নড়ে। চেক দিয়ে টাকা তোলা হলে এসও সহ দুজনের সই থাকে। চেকে টাকা তোলা হয়নি বলে পৌরসভার পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। পুলিশ অবশ্য মনে করছে ক্লোন করে টাকা তুলে নেওয়া হতে পারে। যদিও কোনও বিষয়টাই খুব পরিষ্কার নয়। পুলিশ জানিয়েছে সাইবার ক্রাইম শাখার সাহায্য নেওয়া হতে পারে। এদিকে এই ঘটনার পর পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক এর শাখায় যোগাযোগ করা হয়। পৌরসভাকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকের ম্যানেজার সুদীপ্ত ঘোষ টাকা লোপাটের কথা স্বীকার করেছেন।
পাশাপাশি এটাও বলেছেন, এখানে টাকা তোলা হয়নি, যা কিছু হয়েছে মুম্বই থেকেই হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে এই টাকা লোপাটের ঘটনায় পৌরসভাকে দায়ী করা হয়। এ ব্যাপারে পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, এর মধ্যে পৌরসভার কোন জড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই,যা হয়েছে ব্যাংকের শাখায় হয়েছে।