বুধবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২.৪০ মিনিটে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের ময়নাতদন্ত কেন্দ্রে তরুণীর দেহ এসে পৌঁছালে মর্গের বাইরে বিক্ষোভ দেখান ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মী, সমর্থকরা।
বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালী থানার রামকৃষ্ণ মিশন পাড়া এলাকায় একটি পুজো মণ্ডপের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় এক তরুণীর মৃতদেহ। তরুণীর মুখ পোড়া ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এরপর তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাহুল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এমনকি গণধর্ষণ ধারায় মামলাও করে পুলিশ। কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপার কে অমরনাথ জানান, বৃস্পতিবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হবে।
অন্যদিকে, ওই তরুণীর মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। পোস্টে লেখা, আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমিই দায়ী। তোমরা সবাই ভালো থেকো। এই পোস্ট তরুণী করেছিল নাকি অন্য কেউ সেই নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
যদিও তরুণীর মায়ের অভিযোগ, মেয়েকে রাহুল বসু ও তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে খুন করেছে। শুধু তাই নয়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
পরিবারের দাবি, ওই তরুণী মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় একটি মুদিখানার দোকানে যায়। বাড়ি না ফেরায় ওই তরুণীকে ফোন করা হলে সে জানায়, রাস্তায় রাহুল ও তার বন্ধুদের সঙ্গে সে কথা বলছে। এরপরও বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন। খোঁজখবর শুরু হয়। বুধবার সকালে তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়।
এদিন ময়নাতদন্ত কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ দেখান ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মী, সমর্থকরা। কৃষ্ণনগরের তরুণীর দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান তুলতে থাকেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা।
এদিন বিশাল পুলিশ বাহিনীর কড়া প্রহরায় নিয়ম মেনে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।