বিগ বাজেট নয় তবুও জেন জি’দের প্রথম পছন্দ কল্যাণী সেন্ট্রাল পার্কের পুজো। কিন্তু কেন? বিশাল মাঠ। মাঠের মাঝখানে নিখুঁত ভাবে সাজানো ছোট প্যান্ডেল। সাবেকি প্রতিমা। এবার প্রতিমার পিছনে থাকছে পটের শিল্প। মাঠজুড়ে মেলা। আর প্যান্ডেলজুড়ে জেন জি’দের ভিড়। নিখাদ আড্ডা, খাওয়া, প্রেম, পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ। সবটাই সেন্ট্রাল পার্ক জুড়ে। কল্যাণীর ম্যাডক্স স্কোয়ার।
সেন্ট্রাল পার্ক সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা কমিটি, এবার ৬৯ তম বর্ষ। ঘরোয়া পরিবেশে। পুজোর কটা দিন হাজার হাজার জেন জি’দের ভিড় এখানেই। তাঁদের কাছে বিগ বাজেটের পুজো নয়, সেন্ট্রাল পার্কের পুজোই সবার আগে।
শুধু তাই নয়, পুজোর প্রতিদিন থাকছে কর্মসূচি, নানা রকমের অনুষ্ঠান। সেন্ট্রাল পার্ক সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা কমিটির অন্যতম সদস্য নিবেদিতা বসু বলেন, সপ্তমীতে রক্তদান শিবির রয়েছে। বসে আঁকা প্রতিযোগিতা, ফ্যাশন শো সবই আয়োজন করা হয়। এমনকী ট্রান্সজেন্ডাররাও আমাদের পুজোতে অংশগ্রহণ করেন।
সেন্ট্রাল পার্কের ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে তিন তিনটে বিগ বাজেটের পুজো। লম্বা লাইন, পুলিশের কড়া নিরাপত্তা। কিন্তু সেই চিত্র নেই সেন্ট্রাল পার্কে। তবু জেন জি’দের কাছে ম্যাডক্স স্কোয়ার কল্যাণীর সেন্ট্রাল পার্ক। এই প্রসঙ্গে নিবেদিতা বসু বলেন, বিগ বাজেটের পুজোগুলি নিঃসন্দেহে ভালো পুজো। দূর-দূরান্তের দর্শনার্থীরা লম্বা লাইন দেন ঠিকই কিন্তু সেন্ট্রাল পার্কের পুজোতে রয়েছে, মণ্ডপে বসে আড্ডা, মেলা, জমিয়ে খাওয়া। এইসব জিনিস বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপে দেখা যায় না, আর এটাই সেন্ট্রাল পার্ক পুজোর ইউএসপি।
নিবেদিতা বসু আরও বলেন, সাবেকি প্রতিমা। প্রতিমার পিছনে রয়েছে পটের শিল্প। এছাড়া পুজোর সম্পাদক শিবাজী সেন, রয়েছেন শমিক দাস, ইন্দ্রজিৎ মুখার্জি, সর্বজিৎ সেন ছাড়াও আরো অনেকে রয়েছেন যাঁদের সহযোগিতা ছাড়া এই পুজো করা সম্ভব হতো না। যতই লম্বা লাইন থাকুক বিগ বাজেটের পুজো মণ্ডপে, পুজোতে জেন জি’দের জমিয়ে আড্ডা-খাওয়া-প্রেম-বন্ধুত্বের একটাই ঠিকানা, কল্যাণীর ‘ম্যাডক্স স্কোয়ার’ সেন্ট্রাল পার্কের পুজো।