এ রাজ্যে এমনও একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে শুধুই বইয়ে ঠাসা। সেই গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষ বইকে ভালোবাসেন। শুধু তা-ই নয়, মানুষকে সুশিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে অবিচল গ্রামবাসী। এবার সেই গ্রাম, রাজ্যের প্রথম বইগ্রামের তকমা পেল।
আলিপুরদুয়ার জেলার রাজাভাতখাওয়ার পানিঝোড়া গ্রাম। একদিকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ঘন জঙ্গল, অন্য দিকে এই পানিঝোড়া গ্রাম। এই গ্রামে রয়েছে একাধিক লাইব্রেরি। তার মধ্যে ১৫টা ছোট গ্রন্থাগার ছাড়াও রয়েছে ১টা সেন্ট্রাল লাইব্রেরিও। বক্সাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাধিক জনপদের মধ্যে পানিঝোড়া এদিন থেকে বইগ্রাম হিসাবে পরিচিতি পেল।
শনিবার বিকালে এই বইগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেল। এদিন থেকে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় এক সংস্থার উদ্যোগে এই বইগ্রামের পথ চলা শুরু হয়েছে। পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে এই প্রকল্প। এদিনের অনুষ্ঠানে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এই গ্রন্থাগারগুলিতে শিশুপাঠ্য থেকে শুরু করে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির সমস্ত বইও থাকছে।
এবিষয় দমনপুর হাই স্কুলের শিক্ষক তথা উদ্যোক্তা পার্থ সাহা বলেন, ’অনেক প্রচেষ্টার পর এটা হল। রাজ্যে এটাই প্রথম বই গ্রাম। তিনি আরও বলেন, ‘আর্থ সামাজিক দিক দিয়ে এই এলাকা অনেকটাই পিছিয়ে। এখানে সাত থেকে আটটি আদিবাসী জনজাতি, রাজবংশী এবং সাধারণ মানুষ থাকেন। অনেকেই এখানে ‘ফার্স্ট জেনারেশন লার্নার’। করোনার পর এখানে স্কুলছুটের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। তারা আজ আবার স্কুলে ফিরেছে, বইমুখী হয়েছে। এটাই বইগ্রামের উদ্দেশ্য। এখানে একাধিক লাইব্রেরি রয়েছে। ১৫টা ছোট গ্রন্থাগার, ১টা সেন্ট্রাল লাইব্রেরি আছে এই গ্রামে। গুগল করে যা দেখেছি সম্ভবত এটাই রাজ্যে একমাত্র বইগ্রাম।’
প্রসঙ্গত, কেরল কিংবা মহারাষ্ট্রে এমন বইগ্রাম রয়েছে। এবার থেকে রাজাভাতখাওয়ার পানিঝোড়া গ্রামই বাংলার প্রথম বইগ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল।