দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এবার পূর্ব বর্ধমানের বাজারে হানা দেবে টাস্ক ফোর্স

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরপরই চড়া দামে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করতে উদ্যোগী পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। হিমঘর খুলে গেলেও এখনও চড়া দামেই আলু-পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। আর এ নিয়ে ক্ষোভ কমাতে এবার বিশেষ টাস্ক ফোর্স বাজার ঘুরে দাম কমানোর জন্য হানাদারি চালাবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে ওই খবর পাওয়া গিয়েছে। এ রাজ্যের অন্যতম আলু উৎপাদনের এলাকা হিসাবে পরিচিত বর্ধমানের বাজারেই এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তরে অভিযোগ যাওয়ার পরই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় বর্ধমানে আলুর দাম বেশি। কিন্তু এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই জেলা জুড়ে তৎপরতা শুরু।

প্রায় দু’তিন মাস শহর বর্ধমান ও অন্যান্য এলাকার বাজারে আলুর দাম বেড়েই চলেছে। এই সময়ে জেলার হিমঘরগুলো খোলা রয়েছে। সরকারিভাবে হিমঘরে আলুর দাম বেধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানেই আলু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ মিলেছে। আর এ নিয়েই ক্ষোভ তুঙ্গে। সূত্রের খবর, হিমঘরগুলো থেকে ২৬ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রি হবার কথা। কিন্তু বেশি দরে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। ফলে ওই দরে কেনা আলু স্বাভাবিকভাবেই বাজারে যাবার পর চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন আলুর কেজি দর ৩৫-৩৭ টাকা। তবে দামে যাতে রাশ টানা যায়, তার জন্য টাস্ক ফোর্স তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে ঘোষণা করেছে।

টাস্ক ফোর্সের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি কৃষি বিপণন দপ্তরের নজরে আনার পর এবার সরাসরি সবজি বাজারে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে আর বেশি দামে বিক্রি করতে না পারে তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বিতর্ক মেটাতে আলু ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সাফাই দেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য, হিমঘরের বাধা ধরা দরেই আলু বিক্রি হচ্ছে। শুধুমাত্র ঝাড়াই বাছাই করা আলুর দাম এক টাকা বা তার বেশি দাম নেওয়া হয়। এদিকে বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হবে। এমনটাই জানা গেছে প্রশাসনিক সূত্রে। এবার থেকে থানাগুলোর মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক নজরদারি বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে।