গুপ্তিপাড়া শিশু হত্যায় তান্ত্রিক যোগ? পারিবারিক জেরেই হত্যা, জানাল পুলিশ

পুলিশের হাতে ধৃত শম্ভু সাহা। ছবি: সংগৃহীত।

গুপ্তিপাড়ায় শিশু হত্যার ঘটনায় উঠে এল তান্ত্রিক যোগ! এমনটাই জানা গেল পুলিশি সূত্রে। গত রবিবারই শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তার পরিবারের ৩ সদস্যকে। এমনই সময়ে তদন্তে উঠে এলো এরকম চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মৃত স্বর্ণাভ সাহা (৫) শনিবার সকাল থেকেই হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায়। বাড়ির লোক খবর দেয় বলাগড় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিরুনিতল্লাশি করেও খুঁজে পায়নি স্বর্ণাভকে। স্নিফার ডগ এবং ড্রোন ব্যবহার করেও মেলেনি খোঁজ। সেই সময়ে স্বর্ণাভর ঠাকুরদা শম্ভু সাহাও বেশ অনেকক্ষণ নিখোঁজ ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় তিনি জানান, তিনি নাতি কোথায় আছে জানতে স্থানীয় এক তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি লক্ষ্য করে পুলিশ। শেষমেশ জেরা চালিয়ে জানতে পারে, শম্ভুই তাঁর নাতিকে খুন করেছেন। হঠাৎ করে পুলিশ এসে পড়ায় তিনি দেহ পাচার করতে পারেননি। পরে সুযোগ বুঝে বাড়ির শৌচালয়ে নাতির মৃতদেহ ফেলে দেন তিনি।

অপরাধ স্বীকারের পর বলাগড় থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে শম্ভুকে। জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনার সঙ্গে মৃত স্বর্ণাভর ঠাকুমা চায়না সাহা এবং জেঠিমা টুম্পা সাহার যোগ আবিষ্কার করে পুলিশ। ফলে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


তদন্তের ফলে উঠে আসে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর পিছনের রহস্য। পারিবারিক বিবাদের জেরেই প্রাণ হারাতে হয় ছোট্ট স্বর্ণাভকে। স্থানীয়দের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, শম্ভু অত্যন্ত রগচটা প্রকৃতির মানুষ। নিজের নাতি বা ছোটো ছেলের বৌ (স্বর্ণাভর মা)-কে সহ্য করতে পারতেন না। সেই কারণেই তিনি নিজের হাতে শেষ করে দেন ফুলের মতো ছোট্ট শিশুটিকে। এই ঘটনার আকস্মিকতা এবং নৃশংসতায় মুহ্যমান সবাই।