নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল সিউড়ি

প্রতীকী চিত্র

এলাকার পরিচিত মুদিখানার দোকানে চকোলেট কিনতে গিয়ে, দোকান মালিক প্রদীপ কীর্তনিয়ার যৌন লালসার শিকার হলো বারো বছর বয়সী এক নাবালিকা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার ২২ জানুয়ারি সকাল থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ীর হাটজনবাজার এলাকা। জানা যায়, আগের দিন মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পরে হাটজনবাজারের বারো বছর বয়সী ওই নাবালিকা স্থানীয় পরিচিত প্রদীপ কীর্তনিয়ার মুদিখানার দোকানে চকোলেট কিনতে যায়। ওই সময় দোকান ফাঁকা ছিলো। সেই সময়ই দোকান মালিক প্রদীপ কীর্তনিয়া ওই নাবালিকাকে দোকানের মধ্যে ভরে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা জানিয়েছেন, তিনি নিজের বাড়ির জানালার কাছে দাঁড়িয়ে থাকার সময় ওই নাবালিকাকে প্রদীপ কীর্তনিয়ার মুদিখানার দোকানে ঢুকতে দেখলেও, দীর্ঘসময় ধরে তিনি ওই নাবালিকাকে দোকান থেকে বেরুতে দেখেননি। তখন রাত নেমে এসেছে। কৌতূহলবশে তিনি ওই দোকানের কাছে গিয়ে দোকানের ভিতর থেকে নাবালিকার আর্তচিৎকার এবং ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পান। তিনি দোকানের ভিতর দিকে এগিয়ে যেতেই দোকান মালিক ওই নাবালিকাকে ছেড়ে দোকান থেকে চম্পট দেয়। তারপর থেকেই সে নিরুদ্দেশ। বিধ্বস্ত অবস্থায় ওই নাবালিকাকে ওই মহিলা তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেন। কীর্তিমান দোকান মালিক প্রদীপ কীর্তনিয়া তাঁকে বলপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।

এই ঘটনার কথা বুধবার ২২ জানুয়ারি সকালে জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কাতারে কাতারে মানুষ এসে হাটজনবাজারে প্রদীপ কীর্তনিয়ার দোকানের সামনে জমায়েত হন এবং তারপরই উত্তেজিত জনতা প্রদীপ কীর্তনিয়ার দোকানে ভাঙচুর শুরু করে এবং পরে সামনের রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বহু জিনিসপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরফলে হাটজনবাজারের উপর দিয়ে যাওয়া বিভিন্ন সড়কে যাত্রীবাহী বাস এবং অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।


খবর পেয়ে সিউড়ী থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক অবরোধমুক্ত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ করা হয়েছে যে, কীর্তিমান প্রদীপ কীর্তনিয়া দোকান থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রথমে স্থানীয় রেল স্টেশন এলাকার একটি পতিতালয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় এবং তারপরই সে সুবিধামতো নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সিউড়ী থানার পুলিশ অভিযুক্ত প্রদীপ কীর্তনিয়ার দাদাকে আটক করলে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নেন। পুলিশ অভিযুক্ত প্রদীপ কীর্তনিয়ার সন্ধানে জোর তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।